হাতের লেখা
হাতের লেখা
মাগো তোমাকে তো লিখেছি অসংখ্য চিরকুট,
সত্যিই বা কল্পনায় করে যে কথাগুলো মনে খুটখুট।
আসলে আমি তো আছি তোমার কাছেই,
যতো দূরেই থাকি তবু আছি তোমার মাঝেই।
ফোনে কথা বলার চেয়ে ভাবি বেশি তুমি তা জানোই,
আজকাল তো সবাই কথা সারে ফোনেই !
ফোনে বলতে গিয়ে কথা, আমি যে যাই সব ভুলেই।
তার চাইতে ভালো কথা বলা এভাবে লিখেই,
সত্যিকারের চিঠি নয় এ, দেবে কি তুমি ফেলেই !
হাতের লেখা আমার নয় যে ভালো মোটেই,
বলেছো তো এ নিয়ে কতবার কতো কথাই!
এখন তবে দেখো এ কেমন সুদিন এলো,
লিখবো কথা, খুশিমতো, অন্ধকারে না নিয়ে আলো।
হাতের লেখা নিয়ে থাকবেনা আর চিন্তা কোনোই !
বলতে তুমি সময় নিয়ে লিখলে, লিখতে পারি ভালো,
অতো সময় নষ্ট করা কি ঠিক কথা ? তুমিই বলো !
লেখা না হয়ে এগুলো যদি হতো কোনও ছবিই,
যত্ন করে সময় তখন দিতাম ওদের অবশ্যই !
জানো তো পরীক্ষাতে সময় থাকতো ভীষণ মাপা,
সময় মত লিখে শেষ করাটাই একটা বিশাল হ্যাপা।
কাকের ঠ্যাং, বকের ঠ্যাং যা হোক খুশী লেখাজোখা,
বোঝা গেলেই হলো, শুধু চোখে যেন যায় দেখা।
দিদিমনির শ্রুতিলিখনের ক্লাসে,নিজের লেখার সাথে,
পাশের জনের লেখাও দিতাম লিখে নিজের হাতে।
কথাটা তোমাকে বলা হয়নি কখনও,
মনে পড়লে হাসি পায় যে আমার এখনও।
ছোটোবেলায় তোমার দেওয়া "ঢিলাগোবিন্দো" নাম!
খন্ডন করতে আমি তো যথেষ্ট সচেতন ছিলাম।
পাবোনা যে সিস্টার শীলার মতো মানুষ সারাজীবন ,
কেউ খাতা জমা নিতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবেন?
এই করেই পরীক্ষা দিতে গিয়ে মধ্যমা তে হতো ব্যাথা,
কলম চেপে বসে কড়া পড়ে যেত আঙুলে অযথা।
