হ য ব র ল
হ য ব র ল
আমি যা খুশি তাই লিখে কবিতা লিখতে পারি,
মাস্কাবারি মুদি খানার বিল
বেকারত্ব কিংবা মূল্যবৃদ্ধি
ডি এ ধর্না আন্দোলন
কিংবা ফাঁসির দড়ির দাম!
যা খুশী তাই।
তারপর জনৈক রাজনীতিবিদের মত
চিৎকার করে বলতে পারি -
তুই শালা কোন হরিদাস পাল হে...
তোকে কৈফিয়ত দেবো।
অতএব..
আমি যা খুশি তাই লিখে
কবিতা লিখতে পারি।
কিভাবে স্কুলের ফিস ,বই ,খাতা কিনতে না পারায়
পড়াশুনা ছুটলো মাঝপথে।
কিভাবে পণের টাকা যোগাড় করতে না পারায়
ছোট বোনের বিয়ে ভাঙলো মণ্ডপে।
কিংবা দেনার দায়ে কিভাবে আত্মহত্যা করে
বাবা পালিয়ে গেলো আমাদের ছেড়ে একা একা।
যা খুশি তাই।।
আমাদের কথা কেউ শোনেনা,
একবার আমাদের কথা , মানে আমার আপনার আমাদের সবার কথা শোনাবো বলে
নকশালে যোগ দিয়েছিলাম শুরুর দিকে।
পুলিশ এসে বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
চাকরি না পেয়ে নিজেকে
কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিতে গেছিলাম বলে,
কতজন এসে বুঝিয়ে দিয়ে গেছিলো,
পরিবর্তন আসবে ।
সব ঠিক হয়ে যাবে।
তারপর দীর্ঘদিন আমি অপেক্ষা করেছি, কিন্তু
পরিবর্তন আসেনি !
পরিবর্তে এসেছিল একরাশ ক্ষিদে আর বাকির খাতার লম্বা বিল...
সুদ হিসেবে কিছুটা কাঁচা খিস্তি।
বুঝেছিলাম বেঁচে থাকলে গেলে গান্ধীজির তিন বান্দর
হতে হয় মাঝে মধ্যে।
তবুও তো কিছু বলার থাকে..!
নিজের কথা, আমার মত এমন অসংখ্য মানুষের নিজেদের কথা বলতে গেলে সবসময়
চোঙ নিয়ে মুখে রং মেখে মঞ্চে সং সেজে দাঁড়াতে হয় না ।
রং তো বেশ্যাও মাখে, মঞ্চে ওঠে, রং বেরঙ...লাল সবুজ কিংবা গেরুয়া ।
তারচেয়ে বরং
কটা কবিতা লিখেই বলা যাক হাজারো কথা।
আমি তাই করবো...
আমি যেটা পারি।
যা খুশি তাই লিখে..
কবিতা লিখবো
ঠিক এভাবেই,
আমার , কাউকে কৈফিয়ৎ দেবার কিচ্ছু নেই।।।