এলোমেলো আশ্বিন
এলোমেলো আশ্বিন
শিশির বিন্দুতে জমে আছে মননের হিসেব
নরম ঘাসের ডগায়,
অতৃপ্ত বক্ষ পাঁজরে ঝরে পড়ে
শিউলি অবিরত,
শহুরে নিয়ন আলোর তলে হায়নারা দলবদ্ধ হয়।
ভস্মসাৎ হৃদি কোনে সবুজের পদধ্বনি,
ভবিতব্যের অনিশ্চিত গতিবিধি রঙ্গিন ফানুস ওড়ায়,
আদরের বাস্পে কাশফুল সিক্ত হয়,
ঠোঁট চাটা আতর তোর জন্য রাখা আছে
বেহিসেবি বাহুডোরে,
শিশির কনাও চায় পদ্ম পাতায় লেপ্টে থাকতে,
ছায়া ময় কায়া লুকবে কোন মায়াময় অন্তরে।
আদুরে মনের হিসেব পুরাতনী ছন্দে ,
সে ডাগর চোখের চাউনি যেন ভাষাহীন অন্তরালে,
রক্ত গোলাপের সৌরভ যেন বাসর রাত জাগায়,
ভালোবাসা পঙ্কিল ইঙ্গিতে লোনাজল ঝরায়,
রক্ত করবী চুপি আলাপে কহে,
আমিও গোলাপ হতে চাই...
একবার নিস্পলক চেয়ে দেখ আমি আছি তোর অন্তর সুধায়।
আমি যে নির্লজ্জ হতে চাই তোর কাছে,
সব গোপন অভিসার জানবি তুই...
ফনাও তুলবি নির্বীষ আমার জন্য,
গলে পড়বে আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা।
পাহাড়ি পথে আমি খুঁজে নেবো অশ্মীভূত আখর
যেথায় বহু শতাব্দি ধরে তোর আমার নামের আখর এর জপমালা স্তব্ধ হয়েছিল।
আয় এবারে শরৎ মেঘের মাঝে ভাসি
দীঘির ঘোলা জল থেকে তুলে আনি ১০৮ পদ্ম কুঁড়ি,
দশভূজা এসে বলে যাক মোদের ঠিকানা...
নীল রঙ্গের খামে খোলা চিঠি লিখি অস্ফুটে,
গাঁজাখোরের ছিলিমও পিরিতির নেশা ধরায়...
বাউলের সুর যেন ডাকে আয় ছুটে আয়।
