দুর্দশার ছবি
দুর্দশার ছবি
তীব্র ভূমিকম্পে কাঁপে শহরের ভূমিতল
বাড়ি হলো ধূলিকণা ।
খবর হঠাৎ - রিখটার স্কেলে সাত না আট
সেই নিয়ে আলোচনা ।
নেই জীবনের সাড়া, প্রাণের স্পন্দন;
লোহা, ইটের স্তুপে শুধুই ক্রন্দন ।
কাল পর্যন্ত্য চলছিল ঠিক,
শিশুর কান্না, বৃদ্ধের কাতরতা;
যন্ত্রের শব্দ, সীমাহীন ব্যস্ততা ।
রিকশার টুং টাং, পায়ে চলার ধ্বনি;
পাখির কলরব, বাসের তীক্ষ্ণ সতর্ক বাণী ।
আজ শান্ত, শুধুই নীরবতা ।
সাজানো শহর, কর্মমুখরতা;
দৈন্যের সাথে বিলাসিতা,
উদ্দীপনার সাথে অক্ষমতা;
চমৎকারিতার সাথে অস্থিরতা ,
সব ছিল - আজ আর নেই ।
প্রকৃতির খেলা - সমাধি কম্পনেই ।
আনন্দঘন মুহূর্ত পেরিয়ে
আজ জীবনের শেষ দিন,
সমাজ প্রাণহীন ।
জাতপাত ছেড়ে একই মাটিতে লীন ।
বিবাদ হারিয়ে শুধুই সংবাদ ।
রেডিওতে শোক গাঁথা,
দূরদর্শনে বাঁধা ছবি, আর্তের ক্রন্দন ।
সাহায্য চাই - চাই যে তোমার দান ।
রাজ্ কোষাগারের বাড়িয়ে তোলো মান ।
আমি রাজা - কর্তব্য পরায়ন ।
আমার চোখের দিগন্ত জুড়ে আলো ।
বিলি-বণ্টনে আমার মতে চলো ।
প্রচার করো পাথর বসিয়ে বুকে -
মরেছে যারা ফিরবে না তো আর -
রইলো যারা থাক না একটু সুখে ।
