দৃষ্টিকোণ
দৃষ্টিকোণ
লিলির বেশ মনে আছে সেই সুন্দর কার্ডটির কথা,
এতো সুন্দর, অথচ তা সৃষ্টির পেছনে এতো ব্যাথা !
ওর সাথে সাথে কার্ডটি বেশ অনেকদিনই ছিলো,
নিয়ে দেখতে গেলে মনটা হয়ে যেতো এলোমেলো।
কখন কি করে যে গেছে হারিয়ে, হয়েছে বেশ ভালো,
তবে মনে রয়ে গেছে কষ্ট, প্রতিশোধ নিতে পারলো?
ইচ্ছে হয় সেই পত্রমিতালিকে নিয়ে যায় জাকার্তা,
তারপর অর্ডার করে খেতে বড় পাকা ডুমুর এর চপ,
উদ্দেশ্য ওর আসলে পঙ্কজকে দেওয়া এক বার্তা।
ভাবতে ভাবতে একদিন স্বপ্নটা দেখে ফেলল বটে,
যা মোটেও সত্যি নয় তাও তো কখনও কখনও রটে।
কয়েকজন মিলে গেছে ওখানে এক রেঁস্তোরায়,
টেবিলে সকলে মিলে খেতে বসেছে বেশ একসাথে।
ওয়েটার গরম গরম চপ দিলো পঙ্কজের পাতে !
আর কাউকে যে কি দিয়েছিলো সেটা তো মনে নেই,
আসলে নজরটা ছিল যে শুধু পঙ্কজের দিকেই।
পঙ্কজ জিজ্ঞেস করলো, "ওয়াও! হোয়াট ইজ দিস?"
"ডুমুর এর চপ, প্রোটিনে ভরপুর, আগে খেয়েছিস?"
চপটা উল্টে পঙ্কজ বলে, "এদিকটা সমান কেন ?"
"ডুমুর কে অর্দ্ধেক করে কেটে যে বানানো !
খুলে দেখ্, ভেতরে রয়েছে ভূতুড়ে পোকা সাজানো।"
চপটা ভেঙে দেখে সত্যিই ভেতরে পোকা সাদা সাদা,
নরম নরম দেখতে বেশ, যেন রয়েছে ঘুমিয়ে কাদা।
স্বপ্নে পঙ্কজের মুখটা আর কিছুতেই দেখা গেলনা,
ওখানেই গেল ভেঙে, স্বপ্নটা আর কমপ্লিট হলোনা।
তবু ঘুম ভেঙে লিলির মুখে এক তৃপ্তির হাসি,
উচিত শিক্ষা দিয়েছে ওকে, যতই বলুক ভালোবাসি।
আসল প্রজাপতি, শুকনো গোলাপ, স্বপ্ন দেখানো !
এরকম সুন্দর ও নিষ্ঠুর কার্ড পাঠিয়ে মন ভরানো?
জানেনা, ফুল গাছেই ভালো, আর প্রজাপতি উড়লে,
প্রজাপতির রঙ বদলায় নানা দিক থেকে দেখলে !