ধন্যবাদ, শিক্ষক!
ধন্যবাদ, শিক্ষক!


'শিক্ষকেরা হবেন দেশের শ্রেষ্ঠ মন'...
স্বপ্ন দেখেছিলেন ড: রাধাকৃষ্ণণ,
আশায় আশায় আজও বুক-বাঁধা তাই
শ্রেষ্ঠ মনের শিক্ষক যদি কোথাও খুঁজে পাই!
না, ভুলিনি তাঁকে...ভুলতে পারিনি তার শ্বাশত বাণীকে
মনে রেখেছি ৫ই সেপ্টেম্বর, তাঁর শুভ জন্ম দিনটিকে।
'শিক্ষক দিবস' আসে আবার চলে যায়–
সময় স্রোতে ভেসে যায় কতনা তারিখ-নির্ভর বিশেষ দিবস!
কোনো কিছুই যেন জীবনে আর তেমন দাগ কাটে না
ব্যস্ততম জীবনের স্বল্প সময়কে নির্দিষ্ট করে রাখা,
অতি সাবধানে কিছু বর্ণ সমষ্টিকে সাজিয়ে সম্ভাষণ, 'ধন্যবাদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা...'
তবুও অচ্ছুত থেকে যায় নীতি আদর্শ আন্তরিকতা আর গূঢ় যৌক্তিকতা।
শিক্ষা যদি জাতির মেরুদন্ড হবে, ডুবে কেন তবে―
উদ্দেশ্যহীন হাজার শৈশব অন্ধকার কোনে?
কেন আজও 'শিক্ষা' ভিক্ষা চায় স্বচ্ছলতার দ্বারে―
মেরুদন্ডহীন অথর্ব জাতির প্রতিবিম্ব হয়ে?
আজ এই শুভদিনে কঠিন সংকল্প তাই ব্যাথিত চিতে
দেখা যেন হয়, যেথা নোয়াব মাথা সেই আদর্শ পুণ্য-পদে।