তবুও জীবন্ত
তবুও জীবন্ত
বহু দূর্যোগের সাক্ষী চলেছি বয়ে..
মুছে যাইনি তবু চিহ্নিত হৃদয় হতে,
বহু আঘাতের বেদনা সোয়েছি মুখ বুঁজে
ভেঙে যাইনি তবু চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে!
মনেপড়ে, 'গ্রীষ্মে'র প্রচন্ড দাবদাহে...
কাল বৈশাখীর আগমন কালে,
পুঁড়িয়ে ছাড়খাড় করেছে অবহেলে সে
বেশি জীবন্ত ভেবেছি, যে সূর্যকে!
অবিরাম 'বর্ষা'র বারিধারাতে...
পাঞ্জা লড়েছি ভয়াল সাইক্লোন সাথে,
ধুয়েমুছে সাফ যত প্রাণিকুল সবে
বেশি প্রাণবন্ত ভেবেছি যে জলধারাকে!
'শরতে'র শারদ আগমনিতে...
দীন, হীন পাশে বসে কাঁদে,
পারিনি হাসি ফোঁটাতে সকলের মুখে
বেশি দানি ভেবে ফেলেছিলাম নিজেকে!
'হেমন্তে'র পড়ন্ত বেলার হাল্কা রোদেতে...
চাষীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পরিবার সাথে,
ফসল ফলেনি ভালো, কী দেবে মুখে তুলে
বেশি ভরসা করেছিল সবে যাঁর কাছে!
কনকনে 'শীতে'র ভোরে হাল্কা রোদ মেখে...
নবান্ন-এর আশ নিয়ে বসে চিন্তামগ্ন হয়ে,
সংক্রান্তি হয় পার আশার দিন গুনে গুনে
বেশি নির্ভর হয়েছিল যাঁকে সামনে রেখে!
'বসন্তে' মন মেতে ওঠে রঙিন-স্নাত হয়ে...
দোলা লাগে মনে-মনে নিস্তেজ তরঙ্গে,
ফ্যাকাসে মুখ ভেসে ওঠে গভীর রঙের মাঝে
বেশি আয়োজন হয়েছিল যাঁদের সামনে রেখে!