ডিভোর্স
ডিভোর্স
অমর প্রেম কথাটা অবাস্তব বললেই হলো?
আমি তো এসব ছেঁদো কথা একদম মানি না।
সব প্রেম অমর হতে পারেনা, মানুষেরই কারণে,
প্রেম কে মানুষ যখন নিয়ে যায়, বিবাহিত জীবনে।
আমার মতে প্রেমে বেশী শারীরিক সম্পর্ক না এলে,
মানে বিয়ে থা না হলে, তবেই তা হতে পারে অমর ।
পুনরাবৃত্তি কতদিন ভালো লাগতে পারে মানুষের !
প্রথম ছোঁবার অনুভূতি উড়ে যায়, যেন তা কর্পূর !
মানুষের পুরোনো স্মৃতি মলীন হতে থাকে, যায় সুদূর।
শারীরিক আদর, প্রেম ভুলিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট,
কথাটা একদম একশ ভাগ সত্যি, বলছি আমি স্পষ্ট।
বিয়ের পর প্রেম চলে গেলে যা পড়ে থাকে তা মায়া,
তাই এতো অভিযোগ, অভিমান মনে ফেলে ছায়া।
কেউ মুখে বলে আর কেউ বলেনা, হয়তো শুধু ভাবে,
মানুষটা আবার কি আগের মতো ভালোবাসবে?
এসব নিয়ে চলেনা ঝগড়া, দাবী দাওয়া, প্রতিবাদ,
থেকে যায় যেন স্বপ্নের রেশ সম ভালোবাসবার সাধ।
বিবাহ আসলে একটি জাল, যেন নিদারুন অভ্যাস,
পরস্পরকে ছেড়ে থাকলে, ভার হয়ে ওঠে শ্বাস।
এই বন্ধনে জড়িয়ে ভালো থাকা যায় অবশ্যই,
শুধু করা চাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ।
আসলে বিয়ে একরকম শর্ত সাপেক্ষে সমঝোতা,
সমাজে টিকে থাকার লড়াইয়ে এ যেন এক বার্তা।
না পারলে বা না পোষালে, প্রতিবাদের রাস্তা খোলা,
উকিল ও কোর্টের চক্করে ডিভোর্স নিচ্ছে লোক মেলা।
কিন্তু যদি থাকে তাদের সন্তান কিংবা সন্ততি!
অন্ত নেই অশান্তির,সারাজীবন ধরে তাদের ভোগান্তি,
ডিভোর্স নেবার পর সেই বর কিংবা বৌ এর অন্তর,
সারাজীবন ধরে প্রেমে পড়তে পারে কতবার ?
নিয়ম কি আছে?বিয়ে করতে পারে আবার কয় বার!
এভাবে তো বাচ্চাদের খাতায় লিখে রাখতে হবে,
কে কে ওদের আসল আর সৎ বাবা মা হবে?
আমার সাপোর্ট ছোটো ছেলেমেয়েদের দলেই থাকবে,
বাবা-মা এদের ডিভোর্স এর প্রতিবাদ জানাতেই হবে,
ডিভোর্স হবার আগে শিশুদের অনুমতি নিতে হবে ,
আর কবে,এই সব বড় বড় ধেড়েদের বোধোদয় হবে?
