চিরঞ্জীব হালদারের কবিতা
চিরঞ্জীব হালদারের কবিতা


অ্যালজ্যাবরার বইটা খোয়া যাবার পর দাশু পাগলাকে আর কেহ রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে দেখেননি।
তৃষ্ণার্ত শুঁড়ি পথ বেয়ে নেমে আসা নক্সীকাঁথায় যে
গোপন ফিসফিসানি শোনা যেতো
তা কবে থেমে গেছে এও কি এক নিষিদ্ধ প্রশ্ন।
এখনও হেমন্তের রোদে বাবার হারকিঊলিক্স সাইকেলের কেরিয়ারে মুঠো মুঠো খেসারি ফুল দুলে ওঠে।
আজকাল ঝিঁঝিঁ পোকারা সান্ধ্য হতেই ঝিঁমোতে থাকে।
সুবিমলের নাম ভুলে যাওয়া বোনটা আকাশ প্রদীপ দেখলে ধবলী নদীতে পেতলের গামলা ভেসে যায় কিনা দেখতে ছোটে কোন পোষাক ছাড়াই।
এমন সব মারিজুয়ানার গুঁড়ো কোন তবকের নিচে
রাখলে অলৌকিক ধোঁয়ারা বোনভোজনে জড়ো হবে।
বনেদি সিঁড়ি ঘাটে শহর থেকে বেড়াতে আসা
বিদ্যে জাহাজী মেয়েটা ইচ্ছে করে কি ঝুমকো
দুল হারিয়েছিলো।
জাহির স্যার কোন ফর্মুলায় এই অঙ্ক গুলো বাঁধবো।
না হয় এই আকালের বাজারে আপনার প্রিয়
থোকা দেশি গাঁদার কাছে আরও কিছু ধার রয়ে গেলো।
এই দেখুন সান্ধ্য ব্লাকবোর্ডের সামনে অমনোযোগী
ছাত্রটা আপনার আশক্ত হাতের জন্য
বিদেশী স্টেরয়েড নিয়ে অপেক্ষা করছে।