ছটপটে ছোঁড়ার লাট্টু-ঝড়
ছটপটে ছোঁড়ার লাট্টু-ঝড়
শূন্যে ভেসে আসে খয়েরি রঙের ভিন্ন মাপের চিঠি; দেখে মনে হয়,
ঝরেপড়া পাতা সমস্ত সবুজ সম্পর্ক চুকিয়ে ফিরে আসে মাটির টানে,
একঘেয়ে মেঠো গন্ধে মিশে যেতে গাছের ছায়া ছেড়ে তারা ভেসে আসে,
কখনো বা তোমার ডাকে! আমি দেখি ছোট-ছোট ঘূর্ণি তৈরী করে সেই ঝরাপাতা;
একঝাঁক ঝরাপাতা তাই সাজিয়েছে আজ বৃহত্তর উন্মাদনায় ভরা নরম কালবৈশাখী!
মহীরুহ হাসছে চিত্রপটে, হাসির খল-খল শব্দেও আজ ঘূর্ণির গন্ধ লেগে আছে;
তাই দেখে আমার মন বলে, বোধহয় কোনো এক ছটপটে দুরন্ত ছেলে লাট্টু খেলছে;
সেই মাটির-বোনা চক্র শূন্যে ঘুরে তৈরী করছে আরেক ঘূর্ণি – কালবৈশাখী!
সেই ছোট-ছোট ঘূর্ণি আর বেপরোয়া দমকা হাওয়ার ঝাঁক!
শুকনো পাতার ঝরে পড়া প্রকৃতির নিয়ম; ছটপটে ছোকরার লাট্টু খেলাও তাই!
এই দুই কালবৈশাখীর খেলায় আজ মন মেতে গেছে বড়োই! আর সেই কারণেই,
তুলে রেখে সব কাজ, আজ এই খামখেয়ালি উপস্থাপনায় নিজেকে রেখেছি মাতিয়ে;
বলছি, তুমিও নাহয় আজ ছুটি নিলে, কাজ ফেলে রেখে ঘূর্ণিমেলা দেখবে?
আচ্ছা, কোন ঘূর্ণি তোমার বেশি পছন্দের? কোন কালবৈশাখী তোমার প্রিয় –
ঝরাপাতার কালবৈশাখী, নাকি ছটপটে ছোঁড়ার লাট্টু-ঝড়?
