চাষির ইতিকথা
চাষির ইতিকথা
সানাই বাজবে;
বধূ আসবে ঘরে|
ঝলমলে হবে পৃথিবী;
যেন একটাই ঋতু – বসন্ত|
আদতে সবাই চাষি;
বীজ বুনে যায় পুরুষ|
নারীর দেহ –
শুধুই জল আর মাটি|
ফসল ফলবে,
উল্লাসে মাতবে চাষি;
বধূও মাতবে|
চারাগাছ হাসবে খিলখিল|
কিন্তু,
“এরপর” কি হবে?
ফের চাষ? সে-ই বীজ, জল, মাটি?
না; চাষি হতাশ হবে এরপর –
হবেই|
বিঁড়ি ধরবে,
মদ-গাঁজায় মাতবে;
জুয়া খেলবে,
ধোঁয়া ফুটবে চারিপাশে|
এখন আর বসন্ত নয়,
শুধুই শুকনো শরৎ|
পুড়বে শরীর;
মাটি পুড়ে যাবে|
পুরুষ হবে ছাই,
নারীর দেহ পোড়া ইঁট|
চাষির হতাশা,
কে-ই বা বুঝবে?
উদ্দেশ্য কি ফুরোলো তবে?
বীজ, ফসল, সানাই, বধূ –
সবের-ই কি ইতি তবে?
অবশেষে বিছানায়,
পড়ে থাকবে শুধুই –
একদেহ বিশ্রাম,
এবং, একরাশ ক্লান্তি|
