বুড়ি মায়ের কিশোরী মেয়ে
বুড়ি মায়ের কিশোরী মেয়ে
সারারাত ধরে টুপটাপ ঝুপ চুপ করে,
আকাশ থেকে খুশির জল ঝরে চলেছে।
ঘুমোতে দেবেনা যেন কিছুতেই আর,
এ যেন এক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর বসেছে।
কুলিক নদী আর পুনর্ভবা দুজনেই,
ছোটোবেলা থেকেই পুষ্ট বৃষ্টির জলেই !
নিজেদের আঁকা বাঁকা গতিপথ দিয়ে,
প্রয়োজনে ভারত ও বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকেছে।
ওদের কৈশোর কালেই নিজেদের গতিপথ,
ওরা কেউ ঠিক করে নিয়েছে,
অথবা প্রকৃতির নিয়মে ঠিক হয়ে গেছে।
কুলিক নদীর জল তো একমনে বয়েই চলেছে,
দিনাজপুরেই শুরু, দিনাজপুরেই শেষ!
নাগরের হাত ধরে ভালোই করেছে বেশ!
দুজনে মিলে মহানন্দার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
মহানন্দা যে নিজের অজান্তেই_____
কলকল করে গঙ্গার অপর রূপ পদ্মায় মিশে যায়,
পুনর্ভবার কপালে যে কি আছে,
কখনো জল থাকে, কখনো আবার নেই____
কথাটা বসে বসে ভাবছিলো সে হায়!
সেও যে গঙ্গার জলেই মিশে যেতে চায়।
করতোয়া যে হয় সেই কবেকার বুড়ি - মা ওদের,
সব কথাই মনে আছে নদী বুড়িটার !
বুঝে যায় কিশোরী মেয়ের মনের খবর !
তাই তো পাঠিয়ে দেয় ছেলে ঢ্যাপাকে,
বোনকে রক্ষার দায় যে তার !
মাতৃভক্ত ঢ্যাপা বোনকে ভালোবেসে, ওকে বাঁচাতে,
নিজের জীবন করে দেয় দান।
এবারে পুনর্ভবার রাস্তাটা হয় আরও সুগম,
ঝরঝরো ধারায় ফুলে ফুলে চলে করে গমগম।
মাত্র চারদিনেই পৌঁছে যায়,
দিনাজপুর থেকে সুদূর মুর্শিদাবাদের কাছে,
বাংলাদেশের রাজশাহীর মোকরামপুরে,
বিলীন হয় সেই মহানন্দায়।
এখানে এসেই যে দেখা পায় সে মহানন্দার,
মহানন্দা এখানে আরো একটু এগিয়ে মিশবেই,
গঙ্গার আরেক নাম সেই পদ্মায়,
এটা তো ছিলো জানা কথাই।
উদ্দেশ্য সফল হয় পূণ্যতোয়া করতোয়ার।
আর জীবন ও নাম সার্থক হয়ে ওঠে পুনর্ভবার।
