বৃষ্টি ও লাল গরুটা
বৃষ্টি ও লাল গরুটা
বৃষ্টি তে কাক ভেজা তো শুনেছে তো সকলেই,
মাঠের দড়িতে বাঁধা গরুর খোঁজ নেয় বা কেই।
বৃষ্টির আগে হয়েছিলো আকাশটাও তো কালো,
মাঠে বাঁধা গরুকে বাড়ি নিতে কেউ কোথায় এলো ?
কাকের রয়েছে ডানা, উড়ে যায় একটু বৃষ্টি আসলেই,
লাল গরুটা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে, ডানা যে ওর নেই !
বেশ পারে দৌড়ে যেতে নিজের দুই জোড়া পায়ে,
কিন্তু মানুষ বেঁধে রেখেছে মাঠে শক্ত করে খুঁটি দিয়ে।
মনিবের বাড়ির পথ বেশ ভালো করে আছে চেনা,
মাটি থেকে খুঁটিটা যে কিছুতেই ওপড়ানো যাচ্ছে না।
যতোই করে টানাটানি, নিজের গলাতেই লাগে ব্যাথা ,
সবকিছু বুঝে শুনেও পরিশ্রম করে ফেলে অযথা।
মানুষেরা একদম বোকা, ভাবে গরুর বুদ্ধি নেই,
গরুটা যে মাঠে ভিজছে কারোর কোনো হুঁশ নেই।
মাঝে মধ্যে পড়ছে শিল, গা টা এবার যাবে কেটেই,
ঠান্ডায় কাঁপছে শরীর, ভালো লাগছেনা মোটেই।
হাম্ব হাম্বা করে ডেকেছে আগে, অনেকক্ষণ ধরেই,
বাড়ির লোকেরা ভুলেই গেছে, গরুটার কথা নিশ্চয়ই।
দরজা খুলে বর্ষাতি গায়ে আসছে যে ঐ একজন,
কাছে এসে খুঁটি ধরে টানাটানি করে সে প্রাণপণ!
হেলিয়ে দুলিয়ে খুঁটিটা আগে বেশ করে নাড়ালো,
তারপর জোর করে মাটি থেকে খুঁটি তুলে ফেললো।
মানুষের ভাষাতেই বলে উঠলো " যা শিগ্গির বাড়ি যা"
গরুর ভাষায় যদিও, গরুটার ধন্যবাদ বলা হলো না।
তবে চোখের ভাষায় দুজনেরই বেশ কথা হয়ে গেল,
লেজ তুলে মহানন্দে গরুটা দৌড়ে বাড়িতে পালালো।