বেশ্যা
বেশ্যা
বেশ্যা তুমি কাদের বল? বেশ্যা বল না গো-
তারাও তো মায়ের জাত,তোমাদের কারো মেয়ে গো।
তারাও এসেছিল এ পৃথিবীতে তোমরা এনেছিলে বলে,
তারা আজ বেশ্যা, কারণ অসময় চলে গিয়েছিলে ফেলে।
তারাও কারো স্ত্রী ছিল,ধরেছিল বিশ্বাসে তোমাদেরই কারো হাত।
তোমরাই তাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে,উপহার দিলে এমন অসম্মানের পথ।
তোমাদের ভালোবেসে আপনজনেদের ছেড়ে, সে দেখেছিল সংসারের স্বপ্ন,
কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ শেষে দেখল সে আজ কেবলই ভোগ্যপণ্য।
সে আজ পণ্য রূপে, রূপের হাটে বিক্রি হয়ে গিয়েছে,
ভালোবাসা ছিল একটি টোপ যা দেখিয়ে তাকে বোকা বানিয়েছে।
বাপের অসুখ, ভায়ের চাহিদে,তাই একটি অসহায় মেয়ে আজকে হেথা,
মনের মানুষ জোটেনি তার,সে আজ মিটিয়ে চলে অন্যের খিদা।
মা মরেছে তাই বাপের ঘরে জোটেনি কোন স্থান,
পাড়ার দাদা কাজের টোপ দিয়ে তাদের বিক্রি করে দেন।
বাপের নেশার টাকা বাকি,তাই কচি মেয়েটার পড়েছে বন্ধকি,
সে বোঝার আগেই বাপ দাদুর বয়সী লোকের হয়েছে সখী।
দশটি পুরুষের সাথে শুলেই মেয়েরা যায় নাকি নষ্ট হয়ে,
হাজার মেয়ের আব্রু কাড়লেও কি করে জানি পৌরুষ রয় সুরক্ষিত হয়ে?
যাদের জন্য তাদের এই অবস্থা,তাদেরই মঙ্গলকামনায় ব্রত করে নারীরা,
আজও তাদের বিশ্বাস করে ভালোবেসে বারবার ভুল করে যায় তারা।