বেহায়া
বেহায়া


বেহায়া জিগির তুলে রোজ উড়ে গেছে কত সংলাপ তিস্তানদীর তীরে....
হননকালের শব্দনামায় বৃথা বারুদের গন্ধ,
পিচঢালা রাজপথে রক্ত চোঁয়ায় মৃত শিল্পীর লাশ '
অভিজ্ঞতা যত হাত ধরাধরি করে ভিক্ষা চায় প্রাণ,
কবিতার ঝুলি আঁকড়ে ধরে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়য় বিপন্ন কবি।
শব্দচাষের হলদে খাতা ছড়িয়ে পড়ে ব্যস্ত সড়কের মোড়ে.....
ক্ষুধার্ত উইপোকা শোঁকে বুভুক্ষু অক্ষরের গন্ধ,
নালিশগুলো খঞ্জর হয়ে নলি কাটে মানবতার '
কুচিকুচি করে কাটা বিভেদের মাংস ;
প্রতিদিন ক্ষিদে মেটায় বেপরোয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের।
মিসকিন কলমের খাঁজে উলটে পড়ে থাকে রিক্ত কান্নার শব্দ....
সময়ের আবেদনে তাতে লাগে পাথুরে ধুলোর প্রলেপ,
লাভ ক্ষতির হিসেবনামায় খেই হারিয়েছে বৃথা আবেগ '
রাতের চাদরে রক্ত আখরে লেখা সতীকল্পের স্বাদ ;
দ্বিধাগুলো চিবিয়ে খেয়ে চোঁয়াঢেঁকুর তোলে আনমনে।
রঙমহলের ঝাড়বাতির বেলোয়ারী কাঁচে লেগে থাকা করাতসুর....
বিকল্পসন্ধানে প্রতিরাতে ক্ষতবিক্ষত করে জোছনাকে,
কবিতার হৃদপিণ্ডে লেগে থাকা ঝোড়ো শব্দের সুর '
কলমের ঢাকনিতে বাঁধা নূপুরের ছন্দে ;
স্তাবকতা ভুলে প্রতিরাতে বিপ্লব আঁকে রাজপথে।।