বাগান
বাগান


গাছগুলোর সামনে কেমন ক্ষমতাহীন লাগছে নিজেকে
কিভাবে যেন তারা গুটিয়ে রাখছে ছাতা,
অল্পবিস্তর ঝুঁকে পড়লেও কাওকে দোষী করে ঝাঁপ দিচ্ছেনা কুয়োর গভীরে।
সকলের খাবারের বন্দোবস্ত হয়ে গেছে আগেই--
হয়ত আমারও হয়েছে--
কিন্তু গাছেদের জন্য বাঁচিয়ে রাখা হয়নি রোস্ট, সসেজ, হ্যামবার্গার-
তবু খিদে মেটাতে তাদের অন্যের বুকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা নেই আর।
ঘটনাচক্রে সকলে টিকিট কেটে দেখতে আসছে তাদের
হয়ত বয়সে কেউ বিগত শতাব্দীর চেয়েও পুরনো
কেও আবার রক্তমাংসহীন, গুঁড়ো হয়ে যাওয়া পাঁচিলের সাদাকালো ছাই-
তবুও দেখতে আসছে। দেখতে আসছে মৃতদেহ ভেবে--
কিন্তু কেউ খেয়াল করছে না
কিভাবে একজন আর একজনের বুকে শুইয়ে রেখেছে নিজের ছিঁড়ে পড়া অবয়ব...
এখানে ফেলার লোক নেই
এখানে নেই বাঁচিয়ে তোলার কেউও
এখানে রাত হলেও কেউ যেমন বেছে রাখছেনা বৈধ আলোটুকু...
আবার
অন্ধকার ফিরিয়ে দিতে এইসব গলিপথে ঝুলিয়েও রাখছেনা স্থায়ী রোদছাউনি--
জানা নেই কেন সমস্ত বাগানেই প্রস্তুত করা আছে তালাবন্ধ ঘর?
কেন সমস্ত শাখাকেই অহেতুক বেঁধে রাখা আছে গৃহস্থের মূলে?
তবুও একক দখলদারির চোখ এড়িয়ে একমাত্র এই বাগানেই ফেলা আছে উদ্বৃত্ত ছায়া
এই বাগানেই ধুলো সাজতে হলে কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন হয়নি কখনো--