অস্তরাগ
অস্তরাগ
এত দেরি করলি কেন !
অনেকক্ষণ তোমার পথ চেয়ে !
রাগ করিস না রে, জানিস তো
মা ভালবাসে কত !
তা ঠিক, আমি জানিই না
সেটা কেমন - খায় না গায়ে মাখে ।
যাক , দেখ দেখ সূর্যটা, তাপ নেই,
আলো আছে , আর আছে দিনশেষের
পদধ্বনি ।
বাঃ রে! শেষটাই দেখলি! আমি তো
দেখছি নতুন দিনের শুরুর কাকলি,
দোয়েলের শিস আর পায়েলের গান !
তাও আছে বটে, তবে ..... ...... ..... .....
আজকের ইন্টারভিউ কেমন হল ?
ঐ আর কি ! !
আশা ?
নেই ।
ওঃ !!
শাল্মলী !
বলো ... !!...
আরো কাছে এস !
তারপর?
আমার বুকে একটা ..... কিস ... দেবে?
জ্বালাটা জুড়িয়ে যাবে । দেবে না ??
অতনু, অতনু, উঃ আস্তে ... কি অবস্থা তোমার!
এবার ছাড়ো , চা-ওলাটা কাছে এসে গেছে ।
সে কি,চা খেলে না ?
নাঃ থাক আজ ।
সেই ভালো । শরীরটাকে তো রাখতে হবে !
অতনু, খিদে পেয়েছে - দেখ না ঝালমুড়ি বা
বাদাম ! !
ঘাসের সবুজ পাতায় কি খুঁজে চলে অতনু ।
পড়ন্ত বিকেলে শাল্মলীকে বাসে তুলে দিয়ে
জানালার নীচে দাঁড়ায় অতনু ।
শাল্মলী বলে "চল্লাম "।
অতনু বলে বল "আসি..."
গোধূলির রাঙা আলোর সবটা মুখে মাখে
শ্যামলি শাল্মলী...
জলচিকচিক কাজলকালো হরিণ চোখে বলে "সময় নেই
আর - এতদিন তো বলেছি,
আজ "চললাম" তাই "বললাম " ।।