অরণ্য ছুঁয়ে জলোচ্ছ্বাস
অরণ্য ছুঁয়ে জলোচ্ছ্বাস


বন্ধ দু'চোখে স্বপ্নঘরের ভিতে অভিনবত্ব আস্বাদনের ইচ্ছা,
অরণ্যচারী মানুষের যেন শিকড় ফিরে পাওয়ার অভিলাষ!
উপভোগ করতে চেয়েছি আরণ্যক মনের দুর্নিবার আনন্দ,
জলোৎসবের নীল আলপনাতেই অরণ্যের নিবিড় সান্নিধ্য,
জলোচ্ছ্বাস যেখানে প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে দেখে ঘন সবুজ বন,
কবিতা ও প্রকৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেখানে;
অবশেষে সেই সাধ পূরণ, কলেজ পর্যটনে বেরিয়ে পড়া,
ওড়িশায় তিন নদীর সঙ্গমস্হল আর অরণ্যের মেলবন্ধন,
জলে-জঙ্গলে অপূর্ব ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ অভয়ারণ্য;
দিগন্তব্যাপী নির্জন বনানীতে বিস্তৃত বন্যপ্রাণের সমন্বয় -
সবুজের বুক চিরে নদীর স্রোতে ভেসে ভটভটিতে পর্যটন,
শান্ত অরণ্যে গোধূলির খেলায় প্রকৃতি যেন ভীষণ মায়াবী,
কুমিরের রোদ পোহানো, নাম না জানা পাখিদের কূজন,
হরিণীর ত্রস্ত চাউনি, মাছরাঙাদের নিরন্তর আনাগোনা;
সমুদ্রের জলে একরাশ ফেনার লুটোপুটি বর্ণময় আবর্তে,
কোমল দুপুর শেষে ক্যানভাসে আঁকা এক মিষ্টি বিকেল,
আলো-আঁধারির জলরঙে স্বাধীন বন্য জীবনে পর্যটন।