অপ্রেমরোষ
অপ্রেমরোষ


আমিটা বড্ড অধৈর্য জানো প্রেমিক......
বিনিসুতোর মালায় পেঁচিয়ে দিই একটা একটা শব্দ,
তুমি যখন খেয়ালী বেহাগ সাজিয়ে জলপ্রপাত নামাও মধ্যরাতে '
ঝরঝরে একতানে বাজে পূর্বতন প্রেমিকার সোহাগ,
আমি তখন মুষলধারে বন্যা ডাকি কলমে ;
আর্তিগুলো খুবলে খেয়ে অনায়াসে তুলি নিষ্ঠুর ঢেঁকুর!
বুঝতে চেয়েছ ঝুপঝুপে বর্ষায় ঠিক কখন কঁকিয়ে ওঠে হিমাতুর শৃগালী.....
গালিবের শায়েরী তখন ব্যর্থ হয়ে ঘুমিয়ে থাকে তার ক্ষুধার্ত নাড়ির কাছে,
ইতিউতি ঝরে পড়া বর্ষাদানা এক করে নৈবিদ্য চড়ানো যে পূজাবেদী '
ওখানে রোজ মাংস বিক্রি হয়! আবেগের কাটা মাংস -----
দোলনচাঁপায় মাখামাখি হয়ে বিষাক্ত গন্ধ উগরে দেয় বাতাসে,
কিলবিল করে অনাহূত শীৎকার ;
বেলজিয়াম গ্লাসে ঈশ্বর - খোদার থুতুমাখা অভিশাপ কুড়িয়ে আনার জন্য।
কবিতাকে কখনো মিশিয়ে নিও কাফনের সাদাটে কাপড়ের গায়ে.....
বড্ড খেলো মনে হবে পাপ - পূণ্যের মিথ্যে ভ্রান্তি,
কতটা অসহায় হলে কবি বিক্রি করে দেয় কবিতার খাতা '
অনুভূতি সেঁচে আনা আর্তি রুদ্ধশ্বাসে খোঁজে গলা ভাত আর সস্তা নুন!
পিপাসার্ত বুকে অসীম আশ্লেষে জড়ো হওয়া সহজিয়া ঘুনপোকার দিব্যি ;
কবিও কখনো কাউকে সত্যি ভালোবেসেছিল একদিন।
তুমি কখনো ভালোবাসোনি আমায় আদুরে মকশো করার মত......
বরং নখের আঘাতে প্রতিমূহুর্তে ক্ষতবিক্ষত করেছ আমার ব্যক্তিসত্ত্বা,
তোমার পাশে থেকে তোমার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি যুদ্ধ করে গেছি প্রতিপল ---
ঠিক যেমন একদিন যুদ্ধ করেছিল যাজ্ঞসেনী!
অস্তিত্বরক্ষার আঁচড় কতটা গভীর হয় জানো?
খেয়ালের ফুলদানিতে একলপ্তে ভরে আসা কাঁটার মুকুটের মত '
অনিচ্ছায় পাতার পর পাতা ভরিয়ে তোলা বিষাক্ত শব্দকল্পদ্রুম ---
নাছোড়বান্দা ইস্তেহার ছড়িয়ে রেখেছে আমার শিরা - উপশিরায় ;
সব নিয়ে আজ কবির উত্তরণ ' দেখোনা উচ্চকিত তালির শব্দ কেমন কাঁপন ধরায় প্রাণে!
আমি তোমায় আজ আর ভালোবাসি না প্রেমিক.......
তুচ্ছ অবরোধে তাই ধসিয়ে দিতে পারি প্রেমের বাগানবাড়ি,
তোমার চোখের জলে শান্ত হয়না আমার নগ্ন হিংস্রতা '
ক্ষুরধার নখে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলতে চায় লজ্জাপিঞ্জর,
প্রতিরাতে আমার ভেতরে এক নতুন সত্ত্বা জন্ম নেয় ; আগ্রাসী কবির ----
পুরুষের বুকের রক্তে কলম চুবিয়ে সে লিখতে চায় আধুনিক চর্যাপদ ;
তোমার অপ্রেমী প্রত্যাখানের মুখে বিদ্রুপের লজ্জাবস্ত্র ছুঁড়ে দিতে।।