অনাসৃষ্টি
অনাসৃষ্টি
মফস্বলের মানুষ সন্তুষ্ট হতে জানে অল্পেই,
তা ছাড়া অবশ্য আর নেই তো কোনো উপায়।
আম, জাম, পেয়ারা আর যত আছে ফলমূল,
সব চোখের সামনেই দেখে তো শহরে জোগান যায়।
অল্প স্বল্প মূল্য হয়তো গ্ৰামের মানুষ হাতে পায় !
সম্বচ্ছরের খাবার টুকু কোনোমতে যদি জুটে যায়,
কুঁচো মাছ আর গিমে শাক পাতে পেলে খুশিতে খায়।
মফস্বলের মানুষেরা যে তাতেই আনন্দেতে লাফায়।
কাপড় চোপড় ফ্যাশন বাবদ খরচ তেমন নেই,
মরলে যে সব থাকবে পড়ে, কথাটা জানে সকলেই।
অভাবে পড়েই না হয়, তবু হয়েছে তো দার্শনিক !
যত অন্ধকার থাকুক, সবকিছুরই আছে ভালো দিক।
কুনো ব্যাঙ, কটকটি ব্যাঙ, আর সোনাবাঙের ছা,
সবাই থাকে মর্জিমতো, যত ইচ্ছে ফড়িং ধরে খা !
শিউলি গাছের শুঁয়োপোকা বলে, প্রজাপতি উড়ে যা।
মফস্বলের পিছুটান, জানি তো, তোর পিছু ছাড়ে না !
ছোটোবেলার খেলার মাঠ, ইশকুল আর তেঁতুল তলা,
শহরে থাকলে পরেই, যায় কি সে সব কথা ভোলা !
খেসারি খেতের ছিমড়ি তুলে খেতে যে কত মিষ্টি,
সেই কথাটা মফস্বলের ছোটোরাই তো শুধু জানে,
বড়রা যতই হাসুক না কেন, মুখে বলুক না অনাসৃষ্টি !