আনন্দমেলা (শরৎকাল)
আনন্দমেলা (শরৎকাল)


একটি ঘরেতে মিলেমিশে সবেতে
একটি সোনার সংসার
পেটভরা ডালভাত রান্নায় মায়ের হাত
জিবেতে খুশির জোয়ার l🍁
বাড়ির বাগানে নানা পাখিদের গানে
কোকিলের কুহু ডাক
গুন গুন গুঞ্জনে অলির কলতানে
কেটে যেত দিন রাত l🍁
অশ্বিনের বিকেলে বলপায়ে সকলে
সবুজ মাটির সোঁদা গন্ধে
খেলতাম মাঠেতে বন্ধুরা একসাথে
এই স্বাধীন মনের আনন্দে l🍁
মাঠের চারিপাশে মাথা নেড়ে হাসে
কাশফুল হেলে দুলে
শরতের নীলাকাশ সে মলয় বাতাস
এখোনো যায়নি ভুলে l🍁
ছুটির বাজারে চাপাচাপি ভিড়ে
সবার সাথে কেনাকাটা
ব্যাগ ভর্তি হলে ফিরতাম সকলে
পায়েপায়ে বাড়ির পথে হাঁটা l🍁
ছিলোনা মোবাইল অনলাইন অর্ডার
ক্রেডিট কার্ডের এত চল
একসাথে সবেমিলে কিনতাম সকলে
ছিলোনাতো কোনো ছল l🍁
ফাঁকা জায়গা দেখে কালিপটকা রেখে
সলতে পাকাতাম হাতে
ধুপ কাঠি জ্বেলে দিতাম দূরে ফেলে
মন্ত্রমুগ্ধ মহালয়া রাতে l🍁
মন ছুঁটে যেত কুমোরটুলি খ্যাত
ভ্যাস্কর্যে অপরূপ রূপমা
ফিরতাম সবে কাঁধেনিয়ে তবে
স্থাপন করতাম প্রতিমা l🍁
পুজোর মণ্ডপে সাজিভরা পুষ্পে
গাঁথা হতো মায়ের মালা
সংস্কৃত স্তোত্রে মিষ্টান্ন ভরা পাত্রে
রোজ অঞ্জলি দেবার পালা l🍁
পঞ্চমীতে হতো শুরু ষষ্টিটে ঘুরুঘুরু
লেকপল্লী থেকে কলেজস্কয়ারে
সপ্তমীতে লেবুতলা অষ্টমী আহিরীটোলা
নবমীতে পেটপুরে ফিরতাম ঘরে l🍁
দশমীর শেষকালে স্নান করে সকলে
যেতাম বইহাতে মায়ের তর্পনে
মায়ের চরণধূলি মাথায় নিতাম তুলি
রাঙামাথা সিঁদুরখেলে মেয়েজনে l🍁
এতযে আনন্দে দিন কাটালাম সঙ্গে
মনভার তবু এই শেষবেলা
সিক্ত দুই চক্ষে চরণ আঁকি বক্ষে
এবার বিদায় নেবার পালা l🍁
এখন এ বাগানে মায়ের অনুদানে
নব নতুন ফুলের কুঁড়ি
ওরা নানা রঙে খেলে এই বঙ্গে
নব মিলনের কারিগরি l🍁
এসেছে নবীন ডাকছে প্রবীণ
যুগে যুগে এই মিলনমেলা
আজ সবেমিলে হাতধরে সকলে
ভাসাই মায়ের আনন্দভেলা l🍁
🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🙏🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁