আগন্তুক
আগন্তুক


তোমার হাতে
হৃৎপিণ্ড দিয়ে বলেছিলাম...
ভালোবাসা ধারণ করো আগন্তুক মায়ার শুভম ধরে
আমার পতিত পাঁজর বৃষ্টিশূন্য মেঘ খরা-মাটির চরে
জাগিয়ে হৃদয়-ভরা অভয়ারণ্য।
তোমার হাতে
হৃৎপিণ্ড দিয়ে বলেছিলাম...
আকাশ ভোর-ভোর গন্ধ ফুলে
দুর্বার জলজ মাটির স্নিগ্ধ তুলে।
গৃহাগত এক ফালি জমি
লাঙল ফলার আঁচড শস্য প্রণম্য নমি
দূরত্ব ভেঙে বুকের মধ্যে পৃথিবী।
তোমার হাতে
;">হৃৎপিণ্ড দিয়ে বলেছিলাম...
জ্যোৎস্না রক্তস্নাত কলমের বর্ণের দাগে’
বৈরিতা মৃত্যু-কোষ নিংড়ে সর্বস্ব অনুরাগে।
মরুর প্রান্তরে নদীর স্রোতের আকুলতা
রোদ্দুরের উত্তাপ থেকে নিরাময় আন্তরিকতা।
তোমার হাতে
হৃৎপিণ্ড দিয়ে বলেছিলাম...
দু’হাত খুলে দাও
দিগন্তজুড়ে পাখিদের ওড়াউড়ি আমুদে আকাশ
বৈধ-অবৈধ সংসার-ধর্ম পোড়া ছ্যাঁকার হা-হুতাশ
খুঁজে নিতে দাও
অভ্যাগত বিপ্লব নিঃশ্বাসের অস্তিত্ব
কবির অবোধ মনে প্রণয়ী কাব্য-চিত্ত।