সুশান্ত সিং রাজপুত
সুশান্ত সিং রাজপুত


রবিবার দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিছানায় যেতে যেতেই এই অবিশ্বাসনীয় খবরটি কানে এল। টিভির ভলিউম বারিয়ে দিলাম, "কি! এটা কি বলছে? আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা " বলতেই বলতেই চোখটা আমার ছলছল হয়ে গেল, সাথে আওয়াজ টা ভারি হয়ে গেল, বুকে একটু চাপ অনুভব করলাম। মোবাইলে টিংটাং শুরু, মানে সোসিয়েল মিডিয়ায় হুলস্থুল। সব গ্রুপ গুলোতে সুশান্তের ছবি সাথে লেখা নতুন শব্দটি "RIP"। "সুশান্তের আত্মহত্যা" সবাই দুঃখিত। কিন্তু আমি পারিনা সোসিয়েল মিডিয়াতে "RIP" লেখে শোক প্রকাশ করতে। এটাতে শান্তি পাইনা। মনে হয় কত কিছু দেবে গেল এই শব্দটাতে। বিশেষ করে তখন, যখন খুব ভালো পাওয়া মানুষ হারিয়ে যায়। এবার আবার প্রশ্ন এটা কেমন ভালোবাসা? সত্যি কথাই তো যে আমাকে চেনে না জানে না তার জন্য এত আবেগ কিসের। এমন আবেগের কথা শুনলে পর তো পরই, আপনজনরাও ঠাট্টা করবে। তাই কারো কাছে মনের ভাব প্রকাশ না করে কাগজ কলম নিয়ে বসলাম মনটা কিজানি এটাতেই একটু শান্তি পায়।
আবেগ, অনুভুতি কি শুধু প্রেমিকদের বা রক্তের সম্পর্কের বা বন্ধুদের মধ্যেই হতে পারে। আমি ঠিক কেমন টা অনুভব করছি এই মুহূর্তে, কিছু সংখ্যকরা হয়ত বুঝতে পারবে কারন সুশান্ত না হলেও, কেও তো আছে যার জন্য তারা এমনটা অনুভব করবে বা করেছে।
হয়তো কিছুদিন খুব মনে পরবে তার মিষ্টি চোখ টিপা নাভুলা হাসিটা, যেটা চোখ বন্ধ করলেই আমি দেখতে পাচ্ছি এখন, তার পর ভুলে যাব। কিন্তু দুঃখের সাথে সাথে রাগও আছে প্রশ্নও আছে। কি এমন চলছিল তার ভেতর যেটা সে কাওকে বলতে পারলনা। সে কি সত্যি নিজের ইচ্ছায় করল যা করল। কখনো কি জানা যাবে যে এত সুন্দর, জনপ্রিয় তারকা কেন এমন করল।
সবাই বলে সমস্যার সম্মুখিন যারা হতে পারেনা, যারা ভীরু তারাই আত্মহত্যা করে। কিন্তু আমার তো মনে হয় আত্মহত্যা যারা করে তারা অনেক সাহসী। এত সুন্দর জীবনটা যেটা মাত্র একবার পাই আমরা, সাহস না থাকলে কি নিজের হাতে সেটা শেষ করতে পারে। কিছুটা স্বার্থপরও হতে হবে কারণ যারা আমাদের কে ভালোবাসে তাদের কথা মাথায় আসলেও তো আত্মহত্যা করা যাবে না। আর কি কোনো রাস্তা ছিল না সমস্যার সমাধানের। কেন সে ভীরুতার আড়ালে এই সাহসী স্বার্থপরতা করল। কেন সে আত্মহত্যা করল.....