সন্ধিবিচ্ছেদ
সন্ধিবিচ্ছেদ
১
‘টাকাটা গুনে রাখলে?’ জানতে চায় মায়া।
‘গুনে রাখার কি আছে’, হাত বাড়িয়ে ছাইদানিটা টেনে নিয়ে কথাগুলি বলে সুখরঞ্জন। মায়া কিছু বলে না। ‘কত বছর ধরে আছে বলত শ্রোতারা? প্রায় ১২ বছর তো হবেই।’, সিগারেটে টান দিতে দিতে নিজের প্রশ্নের উত্তর দেয় সুখরঞ্জন।
মায়া শাড়ি ভাঁজ করতে থাকে এবং একটার পর একটা শাড়ি আলমারিতে তুলতে থাকে।
‘প্রথমে ভেবেছিলাম ভাড়াই দেব না। কিন্তু কথা বলে বুঝলাম দেবাশীষ হাজরা লোক খারাপ না।’, বিছানায় শুয়ে সিগারেটে টান দিতে দিতে কিছুটা জোরের সাথেই কথা গুলো বলে সুখরঞ্জন।
‘আমি বলছিলাম যদি কম-বেশি দিয়ে থাকে। একবার জাস্ট দেখে নেওয়া।’, আলমারির দরজা বন্ধ করতে করতে কথা গুলি বলে মায়া।
‘দেবাশীষ হাজরার ভাড়া কখনও কম-বেশি হয়না।’, সিগারেটে শেষ টান দিয়ে সিগারেটের বাকি অংশটুকু ছাইদানিতে ফেলে দিয়ে কথাগুলি বলে সুখরঞ্জন।
‘বাবাই কি যেন একটা গেম চেয়ে ছিল, এবার সেটা কিনে দিও। প্রায় ছয় মাস আগে চেয়েছে। যদিও গত দুই মাসে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। তা এবারে কিনে দিও’, মায়া কথাগুলি শেষ করে তখনই বাবাই ঘরে ঢোকে।
‘কিরে তোর পড়া হল?’ মায়া জানতে চায় বাবাইয়ের কাছে। বাবাই হল সুখরঞ্জন চৌধুরী এবং মায়া চৌধুরীর একমাত্র সন্তান। বাবাইয়ের ভাল নাম নীলাঞ্জন। কলকাতার একটি নামী স্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে।
‘কিরে তোর নাকি কি গেম লাগবে?’ সুখরঞ্জন জানতে চায়।
‘হ্যাঁ, প্লে স্টেশন।’, বাবাই খাটে উঠতে উঠতে বলে।
‘ভিডিও গেম খেলে কি হবে? মাঠে গিয়ে ফুটবল খেল।’ সুখরঞ্জন বাবাইয়ের পিঠে আলতো করে হাতটা রেখে বলে।
‘না ওর মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলার দরকার নেই। তাছাড়া পাড়ার কোনও ছেলের সাথে ওর বনিবনা হয়না। ওকে একটা ভিডিও গেম কিনে দাও। ও ঘরেই থাকুক’। এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে মায়া।
বাবাই একটু একলা থাকতে পছন্দ করে। বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকে। মাঝে মধ্যে বাড়ির ছাদে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করে। ব্যাস ঐটুকুই।
‘ঠিক আছে এই রবিবার কিনে দেবো। দোকানে থেকে কিনবি না অনলাইনে কিনবি?’ জিজ্ঞেস করে সুখরঞ্জন।
‘অনলাইনে কিনব’। বাবাই উত্তর দেয়।
বাবাইয়ের কথা শেষ হওয়া মাত্রই কলিং বেল বেজে ওঠে। সুখরঞ্জন বিছানায় শুয়ে ছিল, উঠে বসে। সুখরঞ্জনকে উঠে বসতে দেখে মায়া বলে ওঠে, ‘তুমি বিশ্রাম নাও। আমি দেখছি’। কথাগুলি বলে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায় মায়া।
কিছুক্ষণ পরেই ঘরে ঢোকে স্রোতা। স্রোতা দেবাশীষ হাজরা এবং কনিকা হাজরার একমাত্র মেয়ে। দেবাশীষ হাজরা স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে সুখরঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে বিগত ১২ বছর ধরে ভাড়া থাকছেন। দেবাশীষ হাজরা একটা প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করেন। স্ত্রী, কনিকা গৃহকত্রী। স্রোতা কলেজে থার্ড ইয়ারে বায়োলজি নিয়ে পড়াশুনা করে।
স্রোতা ঘরে ঢুকেই হাতে থাকা মিষ্টির প্যাকেটটা স্রোতার পাশে দাড়িয়ে থাকা মায়ার হাতে তুলে দেয়। মিষ্টির প্যাকেটের দিকে তাকিয়ে মায়া জিজ্ঞেস করে, ‘ওমা এসব আবার কিসের জন্য?’
‘আমার গ্রাজুয়েশনের রেজাল্ট বেড়িয়েছে’। তাই মা বলল তোমাদের সাথে দেখা করে আসতে’। স্রোতা জানায়।
‘মা বলল দেখা করে আসতে আর তুই মিষ্টি নিয়ে আসলি’। মায়া স্রোতাকে বাজিয়ে দেখার চেষ্টা করে। মায়াকে কথা বলা থেকে থামিয়ে, সুখরঞ্জন স্রোতাকে জিজ্ঞেস করে, ‘মিষ্টিতো খাবই। এরপরের প্ল্যান কি? মাস্টার্স নিশ্চয়ই’।
‘এখনও কিছু ঠিক করিনি। কিছু প্ল্যান আছে। দেখা যাক কি হয়।’, স্রোতা জানায়।
‘দাড়াও সবে তো গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হল। আর একটু বিশ্রাম নিক। তাছাড়া বিয়েরও বয়স হচ্ছে।’, মায়া বিয়ের প্রসঙ্গ না তোলা থেকে বিরত থাকতে পারেনা।
‘বিয়ে আমি এখন কিছুতেই করব না’, স্রোতা এটা বলার সুযোগ ছাড়ে না।
‘ঠিক আছে। এখন কিছুদিন বিশ্রাম কর’, সুখরঞ্জন আধশোয়া অবস্থাতেই কথাগুলো বলে।
‘হ্যাঁ, আমিও তাই ভাবছি’, কথাটি শেষ করেই স্রোতা বলে, ‘এবার আমি যাই। বাড়িতে কিছু কাজ আছে’। সবাইকে বিদায় জানিয়ে স্রোতা ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। পিছন পিছন মায়াও যায়, দরজা বন্ধ করবে বলে। ২-৩ মিনিট পড়ে বাবাইও সুখরঞ্জনকে একা রেখে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।
বাবাই সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যাবে তখনই মায়ের সাথে দেখা হয়। ‘কোথায় যাচ্ছিস বাবাই’, মায়া জানতে চায়। ‘ছাদে’। ছোট্ট উত্তর দিয়ে বাবাই ছাদে উঠে যায়।
২
সুখরঞ্জনদের দোতালা বাড়ি। বাড়ির পিছনে একটা একতলা বাড়ি রয়েছে। সেখানেই দেবাশীষ বাবুরা ভাড়া থাকেন। বাড়িটির সব ভাল কিন্তু একটি সমস্যা হল বাথরুমটা বাড়ির বাইরে। তাই রাতবিরেতে প্রয়োজন হলে বাড়ির মূল দরজা খুলে বাথরুমে যেতে হয়। স্রোতাদের বাড়ি যেতে হলে বাবাইদের বাড়ি পাশে রেখে যেতে হয়। সুখরঞ্জনদের বাড়ির ছাদ থেকে চারপাশটা দেখা যায় সঙ্গে স্রোতাদের বাড়ি এবং বাথরুমটাও। বাথরুম আর বাড়ি পাশাপাশি।
বাবাই ছাদে উঠেই পিছন দিকে চলে যায়। ছাদে ওঠার মূল কারন কখন স্রোতা বাথরুমে ঢুকবে তা দেখা। বাবাইদের ছাদ থেকে বাথরুমের ভিতরটাও দেখা যায়। বাথরুমের এবং দরজার মাঝে একটা বেশ বড় ফাঁক রয়েছে। দরজা বন্ধ করলেও করলেও ফাঁকটা থেকে যায়। বাথরুমের বাইরে কেউ যদি দাড়ায় সেই ফাঁকটা নজরে আসেনা এবং বাথরুমের ভিতরটাও দেখা যায় না। কিন্তু বাবাইদের ছাদ থেকে ফাঁকটা পুরো নজরে আসে এবং বাথরুমের ভিতরটা দেখা যায়।
বাবাইয়ের এখন স্কুল ছুটি। তাই বাড়িতেই থাকে। এরফলে স্রোতার ওপর নজর রাখা সোজা হয়েছে। স্রোতাও বাড়ি থাকে। কলেজ শেষ। রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছিল।
বাবাই ছাদে আসার পর থেকে নজর রাখছে কখন স্রোতা বাথরুমে ঢোকে। বাবাই বুঝতে পেরেছিল, স্রোতা অনেকক্ষণ বাড়ির বাইরে ছিল তাই বাথরুমের প্রয়োজন হবে। ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরই বাবাই দেখতে পায় যে স্রোতা মূল ফটক খুলে বাথরুমের দিকে এগোচ্ছে। যেটা আন্দাজ করেছিল বাবাই, তাই হয়। স্রোতা বাথরুমে ঢোকে।
বাবাই ছাদে দাড়িয়ে দরজার ঐ ফাঁকটা দিয়ে স্রোতাকে দেখতে থাকে। প্রথমে সালওয়ারের দড়িটা খুলে, প্যান্টিটা নামিয়ে স্রোতা বসে প্রস্রাব করতে শুরু করে। বাবাই স্রোতার পুরো পিছনটা দেখতে পাচ্ছে। স্রোতার পিছনটা যেই দেখতে পেয়েছে, ওমনি বাবাইয়ের নিজের ডান হাত প্যান্টের ভিতর ঢুকিয়ে দেয় এবং নিজের যৌনাঙ্গটা নিয়ে খেলতে শুরু করে। যেই মুহূর্তে স্রোতা উঠে দাড়ায়, বাবাইও তখন সরে গিয়ে ছাদের অন্য প্রান্তে চলে যায়।
বিগত তিন মাসে এইভাবে বাবাই স্রোতার শরীরের সব কিছুই দেখে ফেলেছে। একদিন দুপুরবেলা ছাদে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ স্রোতাকে দেখে ফেলে স্নান করতে। জীবনে প্রথমবার একটি মহিলার নগ্ন শরীর অত কাছ থেকে দেখে বাবাই। এর আগে নীল ছবি দেখেছিল, কিন্তু সেটা মোবাইলের স্ক্রিনে। প্রথমবার স্রোতাকে স্নান করতে দেখে বাবাইয়ের শরীরে এক আশ্চর্য অনুভূতি হয়। তবে একটু ভয়ও পেয়েছিল, যদি দেখে নেয়। কিন্তু সেই সংকোচ তাকে দ্বিতীয় দিনে স্রোতার স্নান করা দেখা থেকে আটকাতে পারেনি। দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় দিন, তৃতীয় থেকে চতুর্থ দিন- এই প্রবাহ তিন মাস ধরে চলছে।
বাবাই জানে যে স্রোতা ওকে নিজের ভাইয়ের মতন দেখে। বাবাই কোনোদিন ভাবেনি যে স্রোতার নগ্ন শরীর দেখবে এত উত্তেজনার সাথে এবং হস্তমৈথুনও করবে স্রোতাকে দেখে। বাবাইয়ের জীবনে এখন একটাই লক্ষ্য, কখন দুপুর হবে এবং ছাদে গিয়ে স্রোতার নগ্ন শরীর দেখবে। কালচক্রে, স্রোতা যে সময়টা স্নান করতে ঢোকে সেই সময় বাবাইয়ের মা পুজো করতে বসে। এবং সুখরঞ্জন থাকে অফিসে। তাই বাবাইয়ের ওপর নজর রাখার কেউ থাকেনা।
প্রথম কয়েকদিন স্রোতার স্নান দেখার পর বাবাই নিজের বাথরুমে চলে যেত হস্তমৈথুন করার জন্য। কিন্তু পরের দিকে স্রোতার স্নান দেখতে দেখতেই, ছাদে দাঁড়ানো অবস্থাতেই, হস্তমৈথুন করতে থাকে। এখন স্রোতার শরীর দেখা এবং হস্তমৈথুন বাবাইয়ের প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যেই পড়ে। প্রথমে যে সংকোচটা ছিল, তা আর একদমই নেই। এখন আত্মবিশ্বাসটাও বেড়ে গেছে। কারন গত তিন মাসে কেউ ওকে ধরতে পারেনি।
৩
কিন্তু বাবাই ধরা পড়ে যায়। স্রোতাই দেখে ফেলে বাবাইকে। স্নান করতে করতে দরজার ফাঁকটা দিয়ে চোখ যায়, তখনই দেখে ফেলে ছাদে দাড়িয়ে থাকা বাবাইকে। সঙ্গে সঙ্গে দুজনেই সরে যায়। প্রথমে স্রোতা ভেবেছিল ভুল করে বাবাই ওকে স্নান করতে থাকা অবস্থায় দেখে ফেলেছে। কিন্তু স্রোতার ধারনা ভুল প্রমানিত হয়, যখন দেখতে পায় বাবাই ওর স্নান দেখতে রোজ আসছে। বেশ বিরক্ত হয় স্রোতা। বাবাইয়ের ওপর রাগও হয়। স্রোতা বিষয়টা তার মাকে জানায়। মা স্রোতার বাবা অর্থাৎ দেবাশীষ হাজরাকে বলে। দেবাশীষ হাজরা পরের দিনই মিস্ত্রি ডেকে ফাঁকটা বন্ধ করে দেয়। সুখরঞ্জন জানতে চাইলে দেবাশীষ বলে, ‘ফাঁকটা দিয়ে পোকামাকড় ঢুকে যাচ্ছিলো তাই বন্ধ করে দিলাম’। সুখরঞ্জন শুনে বলে, ‘আমায় বললেন না কেন? এতো আমারই দায়িত্ব। সত্যিই ফাঁকা জায়গাটা আমারই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল।
বাবাইয়ের জীবনটা একেবারে থমকে যায়। বাবাই বুঝতে পারে স্রোতার নগ্ন শরীর না দেখতে পেলে সে ঠিক থাকতে পারবেনা। বাথরুমের ফাঁকা জায়গাটা বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে, সে একটা অন্য উপায় বার করে স্রোতাকে দেখার।
স্রোতার ঘরের পিছনে একটু খালি জায়গা রয়েছে। তারপরেই সুখরঞ্জনদের পাঁচিল। খালি জায়গাটায় দাঁড়ালে স্রোতার ঘরের একটা জানালা চোখে পড়ে। সেই জানলায় চোখ লাগিয়ে বাবাই স্রোতাকে নজর রাখা শুরু করে। সবসময় যে স্রোতাকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পায় তা না। মুলত স্রোতাকে এখন দেখতেই ভাল লাগে বাবাইয়ের। কিন্তু এই লুকোচুরিও বেশিদিন চলে না।
একদিন স্রোতা পোশাক পালটাচ্ছে হঠাৎই চোখ যায় আয়নায়। দেখতে পায় জানলা দিয়ে কেউ একজন উঁকি মারছে। স্রোতা সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরে জানলার দিকে তাকায়। দেখে বাবাই লুকিয়ে রয়েছে। স্রোতা গিয়ে বাবাইয়ের মুখের ওপর জানলা বন্ধ করে দেয়। স্রোতা বুঝে পায়না কিভাবে বাবাইয়ের এই স্বভাবে পরিবর্তন আনবে।
স্রোতা মায়ের সাথে কথা বলে ঠিক করে বাবাইকে রাখী পড়াবে। স্রোতার ধারনা যদি রাখী পড়ায় তাহলে বাবাই লজ্জায় ওর ওপর নজর রাখা বন্ধ করে দেবে। রাখী পরানো সত্তেও বাবাইয়ের স্বভাবে কোনও পরিবর্তন আসে না। জানলা দিয়ে স্রোতার ওপর নজর রাখা চলতেই থাকে। স্রোতার মা-বাবা দুজনেই ব্যাপারটা জানে। অথচ স্রোতা যখন দেবাশীষকে বলে বিষয়টা সুখরঞ্জনদের জানাতে, তখন দেবাশীষ বলে জানলাটা সবসময় বন্ধ রাখতে।
কিন্তু সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায় যেদিন বাবাই স্রোতার ঘরে ঢুকে যায়। স্রোতার মা এবং বাবা কেউ বাড়িতে ছিল না। কালীঘাটে পুজো দিতে গেছিলো। বাবাই ব্যাপারটা জানত। দুপুরবেলা মায়া যখন ঘুমোচ্ছে, তখন সোজা চলে যায় স্রোতার ঘরে। স্রোতা তখন গভীর নিদ্রায়। স্বাভাবিক ভাবেই দেখতে পায়নি যে ঘরে কেউ একজন ঢুকেছে। বাবাই সোজা গিয়ে স্রোতার স্তনে হাত দিয়ে দেয়। নাইটি পড়াছিল স্রোতা। বাবাই সোজা হাত ঢুকিয়ে দেয় নাইটির মধ্যে। স্রোতার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে বসে স্রোতা। কিছুটা সময় নেয় স্রোতা কি ঘটছে তা বুঝতে। বাবাইকে দেখে প্রথমে অবাক হয়। তারপর বুঝতে পেরে রাগের সাথে বাবাইয়ের কাছে জানতে চায়, ‘কেন এরকম করলি? আমি তোর দিদি’। বাবাই কিছু বলেনা। বাবাইকে চুপ থাকতে দেখে স্রোতা বলে, ‘আমি তোর মা-বাবাকে জানাব। এখন যা এখান থেকে’।
বাবাই নিজের ঘরে এসে বুঝতে পারে স্রোতা ব্যাপারটা ঠিক ভাবে নেয়নি। সাথে এও বুঝতে পারে স্রোতা যদি সত্যিই মা-বাবকে জানায় তাহলে ও সমস্যায় পরবে। অনেক ভেবে বাবাই একটা উপায় বার করে। উপায়টি ভয়ানক।
একটি ব্লেড দিয়ে বাবাই নিজের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি করে। রক্তাত অবস্থায় হাজির হয় মায়ার কাছে। মায়া দেখে চিৎকার করে ওঠে। জানতে চায়, ‘এ কি করে হল? কে করল?’ উত্তরে বাবাই জানায়, ‘স্রোতাদি করেছে’।
‘স্রোতা করেছে? কিন্তু কেন?’ মায়া ক্ষত জায়গাগুলি দেখতে দেখতে বলে।
মায়া ফোন করে সুখরঞ্জনকে ডাকে। দুজনে মিলে বাবাইকে হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাড়ি ফিরে সুখরঞ্জন যখন জানতে চায় বাবাইয়ের কাছে কি হয়েছিল, তখন বাবাই যা বলে তা অনেকটা এরকম- স্রোতা বাবাইকে নিজের ঘরে ডাকে। তারপর বিছানার তলা থেকে একটা ব্লেড বার হঠাৎ বাবাইয়ের গায়ে এলোপাথারি চালাতে শুরু করে। বাবাই কোনোরকমে পালিয়ে নিজের ঘরে চলে আসে।
সুখরঞ্জনরা গিয়ে স্রোতার মা-বাবাকে এই ঘটনার কথা বলাতে স্রোতারা অবাক হয়ে যায়। দেবাশীষ বলে, ‘স্রোতা এমন কাজ করতেই পারেনা’। সঙ্গে এও জানায় যে আসলে বাবাই স্রোতার ঘরে ঢুকে স্রোতার ওপর যৌন নিগ্রহ করেছে। এই শুনে আবার মায়া বলে, ‘বাবাই এরকম কাজ করতেই পারেনা’।
সুখরঞ্জনদের কিছুতেই বিশ্বাস করানো যায়না যে আসলে বাবাই পুরো ব্যাপারটা ঘটিয়েছে। উল্টে সুখরঞ্জন এবং মায়া বলে যে স্রোতার মানসিক সমস্যা রয়েছে। তা শুনে দেবাশীষ এবং কনিকা দুজনেই ভীষণ রেগে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া তীব্র আকার ধারন করে।
শেষে সুখরঞ্জন দেবাশীষকে বাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে বলে। দেবাশীষ তা শুনে বলে, ‘আমরাও এই বাড়িতে আর ভাড়া থাকতে চাইনা’।