STORYMIRROR

Soumo Sil

Drama Romance Thriller

3  

Soumo Sil

Drama Romance Thriller

শ্রাবনের অশ্রুধারায়

শ্রাবনের অশ্রুধারায়

7 mins
63

শ্রাবন প্রভাতে অঝোর ধারায় সূর্য হয়েছে বিলীন,

ময়ূর-ময়ূরী নৃত্যমগ্ন তা তা থৈ থৈ তা তা ধিন ধিন!


রাধিকা আপন মনে পায়ে ঘুঙুর পড়ে নৃত্য করে চলেছে, তাল মিলিয়ে ঘুঙুরের মধুর শব্দ হচ্ছে ঝুম ঝুম ঝুম ঝুম! অঝোরে ঝড়ে পড়া বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দকে সঙ্গ দিয়ে চলেছে তার ঘুঙুরের ঝুম ঝুম শব্দ। 

"মা আমি বাজার করতে যাচ্ছি" মা-র উদ্দেশ্যে চেঁচিয়ে বললো অর্জুন, মিতা দেবী ছেলের উদ্দেশ্যে বললেন "সাবধানে যাস বাবা বৃষ্টির সময় রাস্তা-ঘাট একটু দেখে চলবি।"

শ্যামনারায়ণ বাবুর একমাত্র কন্যা রাধিকা, সে সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে, সুঠাম দেহের গঠন, ফর্সা গায়ের রঙ, ভোরে ঝড়ে পড়া শিউলি ফুলের মতো তার মুখোশ্রী, তার নৃত্য দেখে এক ঝলকে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে অর্জুন ছাতাটা খুলে বারান্দার দিকে উঁকি-ঝুকি মেরে একবার রাধিকাকে দেখে নিলো তারপর তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে জমা জল ঠেলে এগিয়ে গেল বাজারের উদ্দেশ্যে।

রাধিকাদের বাড়ির ঠিক পাশের বাড়িতেই থাকে অর্জুন আর তার মা মিতা দেবী। অর্জুনের বাবা গত হয়েছেন ৩-বছর হলো, তাই গ্রাজুয়েশন পাস করে তাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে।

রাধিকা-কে ছোটবেলা থেকেই অর্জুন খুব ভালোবাসে, আগে অর্জুন প্রতিদিন বিকেলে ছাদে উঠে রাধিকার জন্য অপেক্ষা করতো, রাধিকা বিকেল ৫-টায় কাপড় তুলতে ছাদে উঠতো তখন তারা দুজন একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে ভাব বিনিময় করতো। বছর চারেক আগে শ্রাবনী মেলায় অর্জুন প্রথম রাধিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো, রাধিকা হয়তো এমন কিছুর জন্যই সেদিন অপেক্ষা করছিলো তাই সে বিলম্ব না করে অর্জুনের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছিলো। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে গভীর প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী হয়ে যায়, একজন আরেকজনের সাথে একটা দিনও কথা না বলে থাকতে পারতো না, তারা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতো, গাছ তলায় বসে শান্তিতে গল্প করতো।

গোল বাঁধলো কিছুমাস আগে তখন সন্ধ্যে বেলা, বাজারের পাশে অশ্বত্থ গাছের তলায় অর্জুন আর রাধিকা দুজনে পাশাপাশি বসে হাতের উপর হাত রেখে গল্প করছে ঠিক তখনই ওই পথ দিয়ে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে ফিরছিলেন শ্যামনারায়ণ বাবু, তাঁর চোখ চলে যায় অশ্বত্থ গাছের তলায়। ব্যাস! তখনই ঘটে বিপত্তি, শ্যামনারায়ণ বাবু দৌড়ে গিয়ে তাদের সামনে দাঁড়ায়, অর্জুন রাধিকার বাবাকে দেখে ভয়তে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে, রাধিকা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে "বাবা তুমি এখানে?" শ্যামনারায়ণ বাবু বলেনা "হ্যাঁ আমি, তা কতদিন ধরে এসব প্রেম-পিরিতি চলছে তোদের।" - এই বলে তিনি তাঁর মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে টানতে টানতে সেখান থেকে নিয়ে চলে গেলেন। অর্জুন কিছুক্ষন ভীত-সংন্ত্রস্ত মুখে দাঁড়িয়ে থেকে ধীর পায়ে তাঁর বাড়ির দিকে রওনা হলো, রাধিকার বাড়ির পাশ দিয়ে যেতেই তার কানে এলো প্রবল চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ, তার মানে অর্জুন যে ভয়টা পেয়েছিলো সেটাই সত্যি হলো, শ্যামনারায়ণ বাবু চেঁচিয়ে রাধিকা-কে বলছেন "তোর সাহস হলো কী করে ব্রাহ্মণ বাড়ির মেয়ে হয়ে নিচু জাতের ছেলের সাথে প্রেম করার।" রাধিকা কান্নামীশ্রীত সুরে বলছে "বাবা আমি অর্জুনকে খুব ভালোবাসি বিয়ে করলে আমি শুধু ওকেই বিয়ে করবো।" শ্যামনারায়ণ বাবুর বিকট চিৎকার কী বললি "তোর স্পর্ধা তো কম নয়" বলেই দুম করে একটা আওয়াজ হলো সেই সাথে রাধিকার কান্নার শব্দ শুনতে পেলো অর্জুন। তখন তার মন চাইছিল সে দৌড়ে গিয়ে রাধিকাকে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে এসে পালিয়ে যাবে কিন্তু অর্জুন তার মায়ের কথা ভেবে দুঃখ-কষ্ট মনের মধ্যে চেপে রেখে নিজের বাড়ি ঢুকে গেল। অর্জুনের মা রাধিকার বাড়িতে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়েছিল, অর্জুন ঘরে ঢুকতেই মা তাকে জিগ্যেস করলো কী হয়েছে রে রাধিকার বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ আসছে, অর্জুন আর থাকতে না পেরে কেঁদে ফেললো, সে মাকে সব ঘটনা খুলে বললো। সব শুনে মিতা দেবী বললেন "বাবা দেখো তোমরা একে-অপরকে যদি সত্যি ভালোবেসে থাকো তাহলে বিধাতা ভবিষ্যতে ঠিক তোমাদের দুহাত এক করে দেবেন।"

এসব ঘটনার পরে....

শ্যামনারায়ণ বাবু রাধিকাকে একা বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন, রাধিকা যেখানে যেখানে যেত তিনিও তার সাথে সাথে যেতেন। একমাত্র বিকেলে রাধিকা ছাদে উঠলে অর্জুন দূর থেকে তার সাথে ইশারা বিনিময় করতো।

বৃষ্টিটা এখন একটু জোরেই পড়ছে.... বাজারের থলেটা মাছওলার দিকে এগিয়ে দিয়ে অর্জুন বললো "কাকু ঐযে ওই মাঝারি মাছটা ৬- ভাগ করে কেটে দাও।" এক হাতে ব্যাগ ভর্তি টাটকা সবজি আর মাছের থলেটা ধরে অন্য হাত দিয়ে ছাতাটা মাথার ওপর ধরে সে দ্রুত এগিয়ে চললো বাড়ির পথে।

কিছুটা পথ হাঁটার পরে....

অর্জুন বিপ্লব মোড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই তার কানে এলো দুরুম-দাম করে একটা বিকট শব্দ, সে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে গেল বিপ্লব মোড়ে, গিয়ে সে যা দেখলো তাতে সে স্তম্ভিত হয়ে গেল। বিপ্লব মোড়ে একটা চারচাকা গাড়ি রাস্তার জমা জলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মেরেছে একটা মোটরসাইকেলকে আর মোটরসাইকেলটা যিনি চালাচ্ছিলেন তিনি রাস্তার একপাশে ছিটকে পড়েছেন, তাঁর সারা মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অর্জুন কী করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না, সে নিজেকে সামলে বাজারের ব্যাগটা সেখানেই ফেলে এগিয়ে গেল আহত লোকটির দিকে, লোকটির কাছে যেতেই তার মুখটা ভয়ে ছেয়ে গেল! আহত লোকটি আর কেউ নন তিনি হলেন শ্যামনারায়ণ বাবু। অর্জুন কোনো কিছু না ভেবে স্থানীয় রিকশাওয়ালাদের সাহায্য নিয়ে শ্যামনারায়ণ বাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন, ততক্ষনে মাথা দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শ্যামনারায়ণ বাবু জ্ঞান হারিয়েছেন। অর্জুন দ্রুত টিকিট করে ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলে শ্যামনারায়ণ বাবুকে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হলো, একপাশে সরে গিয়ে অর্জুন ফোন করে তার মাকে দুর্ঘটনার কথা জানালো এবং রাধিকা আর তার মাকে খবর দিতে বললো। ততক্ষনে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় শ্যামনারায়ণ বাবুর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে দেখে হাসপাতালের ডাক্তার অর্জুনকে ডেকে বললেন "দ্রুত A নেগেটিভ রক্তের ব্যবস্থা করো নয়তো রোগীকে বাঁচানো শক্ত হয়ে যাবে।" 

ততক্ষনে হাসপাতালে অর্জুনের মা মিতা দেবী তাঁর সাথে করে রাধিকা আর শ্যামনারায়ণ বাবুর স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হয়েছেন, রাধিকা অর্জুনকে দেখতে পেয়ে হাত দুটো শক্ত করে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো "তুমি যেমন করেই আমার বাবাকে বাঁচাও অর্জুন!" রাধিকার কান্না দেখে অর্জুনও নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে কেঁদে ফেললো, পরক্ষনেই তার মনে হলো এখন কাঁদার সময় নয় তাকেই কিছু একটা করতে হবে, যেমন ভাবা তেমন কাজ অর্জুন পকেট থেকে মোবাইলটা বার করে দ্রুত তার বন্ধুদের ফোন করে A নেগেটিভ রক্তের সন্ধান করতে লাগলো, অবশেষে অর্জুনের ভাগ্য সহায় হলো, তার একটা বন্ধু A নেগেটিভ রক্ত দিতে রাজি হলো, সে বললো আমি ১৫-মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে যাচ্ছি।

যথা সময় তার বন্ধু হাসপাতালে চলে এলো, ডাক্তারবাবু দেরি না করে অর্জুনের বন্ধুর শরীর থেকে তার সম্মতিতে তাকে দিয়ে বন্ডে সই করিয়ে A নেগেটিভ রক্ত নিলো। ডাক্তারবাবু শ্যামনারায়ণ বাবুর শরীরে রক্ত প্রবেশ করালো এবং মাথায় একটা ছোট অপারেশন করলো। অপারেশন সফল হওয়ার পরে ডাক্তারবাবু অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এসে অর্জুন এবং শ্যামনারায়ণ বাবুর স্ত্রী আর মেয়েকে বললো এইবার শুধু অপেক্ষা ওনার জ্ঞান আসার, ততক্ষন তোমরা ভগবানকে ডাকো যেনো উনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

অর্জুন রাধিকাকে হাত ধরে নিয়ে গেল হাসপাতালের বারান্দায় রাখা গণেশ মূর্তির কাছে, সেখানে গিয়ে তারা হাত জোর করে প্রার্থনা করতে লাগলো।

কয়েকঘন্টা পরে....

ডাক্তারবাবু খবর দিলেন শ্যামনারায়ণ বাবুর জ্ঞান এসেছে, রাধিকা দৌড়ে গেল বাবাকে দেখতে তখন শ্যামনারায়ণ বাবু অসহায়র মতো এদিক ওদিক তাকিয়ে তাঁর কাছের মানুষগুলোকে খুঁজছিলেন, তিনি তাঁর মেয়েকে তাঁর দিকে ছুটে আসতে দেখতে তাঁর মুখটা আনন্দে ভরে উঠলো, রাধিকা ছুট্টে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো তাঁর স্ত্রী এগিয়ে এসে তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন আর এসব হাসপাতালের ঘরের দরজার আড়াল থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলো অর্জুন, অর্জুনের বন্ধু আর মিতা দেবী, তখনই শ্যামনারায়ণ বাবুকে তাঁর স্ত্রী কান্নাভেজা গলায় বললেন "ওরা না থাকলে তোমাকে আমরা আর আজকে ফিরে পেতাম না গো!" শ্যামনারায়ণ বাবু হতবাক দৃষ্টিতে বললেন "আমায় কারা বাঁচালো কারা আমায় এখানে আনলো কোথায় তাদের তো দেখছি না।" শ্যামনারায়ণ বাবুর স্ত্রী বলে উঠলেন "অর্জুন তোমার মা আর তোমার বন্ধুকে নিয়ে ভিতরে এসো।" স্ত্রীর মুখে অর্জুন নামটা শুনে চমকে উঠলেন শ্যামনারায়ণ বাবু, অর্জুন তার মা আর বন্ধুকে নিয়ে ঘরে ঢুকে এগিয়ে গেল শ্যামনারায়ণ বাবুর কাছে। অর্জুনকে দেখে শ্যামনারায়ণ বাবুর চোখটা ছল ছল করে উঠলো, শ্যামনারায়ণ বাবুর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর হাত টা অর্জুন জড়িয়ে ধরে বললো "কাকাবাবু আপনি এখন কেমন আছেন," শ্যামনারায়ণ বাবু আদরমিশ্রিত গলায় বললেন "আমি এখন ভালো আছি কিন্তু বাবা মাথায় ব্যথা রয়েছে খুব," অর্জুন বললো কাকাবাবু আপনি একদম চিন্তা করবেন না ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ গুলো সময় মতো খাবেন তাহলে আপনি খুব তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। শ্যামনারায়ণ বাবুর স্ত্রী তাঁকে বললেন "আজকে অর্জুন তোমার জন্য অনেক কিছু করেছে, তোমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে তোমার জন্য রক্তের সন্ধান করেছে, আর অর্জুনের পাশে যে ওর বন্ধুটাকে দেখছ ও রক্ত দিয়ে তোমাকে বাঁচিয়েছে।" শ্যামনারায়ণ বাবু অর্জুন আর তার বন্ধুর হাত দুটো ধরে বললেন "বাবা তোমরা অনেক বড়ো হও তোমাদের ভালো করুক ঈশ্বর।" তখন রাধিকা তার বাবার দিকে এগিয়ে গিয়ে করুন সুরে বললো "বাবা...." শ্যামনারায়ণ বাবু তাঁর মেয়ের মনের ভাব বুঝতে পেরে অর্জুনের হাতের ওপর তাঁর মেয়ে রাধিকার হাত রেখে শক্ত করে ধরে বললেন "অর্জুন বাবা তুমি এই হাত কোনোদিন ছেড়ো না, এখন থেকে সারাজীবন আমার মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখে জীবনের পথ চলবে, পারলে এই নিষ্ঠুর মানুষটাকে ক্ষমা করে দিও তোমাকে আমি সেদিন নিচু জাত বলেছিলাম আরোও অনেক খারাপ কথা বলেছিলাম তোমার নামে, সেদিন আমি ভুল ছিলাম আজকে যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমি হয়তো আমার স্ত্রী-মেয়ের মুখ দেখতে পেতাম না, আজকে আমি বুঝতে পারলাম সবার উপরে মনুষত্ব জাত-পাত কিছুই নয়, বাবা ক্ষমা করে দিও আমায়।"- আবেগের সুরে একনাগাড়ে কথাগুলো বলে থামলেন শ্যামনারায়ণ বাবু। তখন রাধিকা আর অর্জুন একে-অপরকে জড়িয়ে ধরেছে, তাদের দুজনের চোখেই আনন্দের অশ্রুধারা।

হাসপাতালের জানালা দিয়ে বাহিরে আকাশটা দেখা যাচ্ছে ততক্ষনে সন্ধে হয়ে গেছে আকাশে ঘন মেঘ তার সাথে প্রবল জোরে শ্রাবনের ধারা মাটি স্পর্শ করছে, শ্রাবনের ধারার সাথে এক প্রেমিক-প্রেমিকার আনন্দের অশ্রুধারা ভূমি স্পর্শ করলো।

এমন সুন্দর মিলনের সাক্ষী থাকলো শ্যামনারায়ণ বাবু এবং হাসপাতালে সেই ঘরে উপস্থিত কিছু মানুষ।

অর্জুন রাধিকার হাত ধরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল, মিলনের আনন্দে আত্মাহারা হয়ে তারা ভুলেই গেল ছাতা নিতে, বাহিরে পা দিতেই তাদের শির স্পর্শ করলো শ্রাবনের অশ্রুধারা.... 

শ্রাবনধারার রূপে বিধাতা তাদের ওপর সুখ ও শান্তির আশীর্বাদ বর্ষণ করলো!


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama