বিচিত্র বাহার
বিচিত্র বাহার
আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক-মঞ্জীর;
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা....
মহালয়া শোনা শেষ করে প্রলয়বাবু তাড়াতাড়ি প্রাতরাশ সেরে নিলেন,
পায়ে যা হোক করে জুতোটা গলিয়ে নিয়ে চেঁচিয়ে বললেন "কী গো শুনছো! আমি চুল কাটতে যাচ্ছি।"
সেলুনের ভেতরে ঢুকে প্রলয়বাবু চারিদিকটা একবার দেখে নিয়ে বললেন "ভাই ভালো ইস্টাইল করে চুলটা কেটে দাও তো "।
চুল কেটে টাকা দিতে যাবেন ঠিক সেই সময় দেখলেন তাঁর সামনে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে যার চুলের মধ্যে অনেক গুলো রঙিন পালকের মতো কিছু রয়েছে, প্রলয়বাবু কৌতূহল সামলে রাখতে না পেরে বলে বসলেন "বলছি কী ছোঁড়া তোর চুলে পালকের মতো ওগুলো কী রে!"
- "ওহ নো! এটা পালক নয় এটা চুলের রঙ, এখন তো এটাই স্টাইল জেঠু।"
প্রলয়বাবু বিষম খেতে খেতে সেলুন থেকে বেরিয়ে গেলেন।
অষ্টমীর সকালে....
প্রলয়বাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়েছেন, এরই মধ্যে তাঁর স্ত্রীর আবদার কাশ ফুল হাতে নিয়ে তাকে ছবি তুলে দিতে হবে। অগত্যা কী আর করা প্রলয়বাবু স্ত্রীকে মণ্ডপে বসিয়ে রেখে বেড়িতে গেলেন খাল পাড়ের ঝোপের দিকে, সেখানে অনেকগুলো কাশ ফুল ফুটে রয়েছে, তিনি একটু ভিতরের দিকে ঢুকে একগুচ্ছ কাশ ফুলে পটাং করে মারলেন এক টান ওমনি "ওমাগো গেলাম গেলাম" বলে চিৎকার!
চমক....
নিজেকে সামলে নিয়ে প্রলয়বাবু যা দেখলেন সেটার জন্য তিনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না, তাঁর সামনে ঝোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে অর্ধ শৌচকর্ম সারা এক ছোঁড়া, তিনি কাশফুল ভেবে যেটা ধরে টান মেরেছিলেন সেটা আর কিছুই নয় তা হলো মূর্তিমান মরকটের রং করা মাথার চুল!
