শাস্ত্র অসম্মত/ নীলম সামন্ত
শাস্ত্র অসম্মত/ নীলম সামন্ত
#colouryourwords, কমলা
আমাকে তুমি বানাতেই পারো আগুনের শরীর, যতটা চাও তার থেকে একটু বেশি। শুধু জেনে রেখো আমিও চাই এই শহরের রাস্তায় ফেরি হোক হাসি মুখের গর্ভবতী মেঘ। আমিও চাই ট্রামলাইন থেকে ফিরে যাক চড়ুই-এর ঘরকন্না।
আগামী বর্ষায় গঙ্গার ঘাটে তোমার হাতে তুলে দেব গোপন আগ্নেয়গিরি। যেভাবে সাজাতে চেয়েছিলে সেভাবেই পুড়ে যেও৷ সমস্ত আঘাতের চিহ্নে লাগিয়ে দেব রিপুদমনের রজনীগন্ধা।
একদিন উত্তুরে বাতাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুজনে সাম্যের গান গাইব৷ চিৎকার করে বলব চির বসন্ত। তোমরা যারা কাঁপতে কাঁপতে কাদায় হাত দিয়ে শামুক ঝিনুক খেতে চেয়ে রক্তাক্ত হয়েছো তারা ফিরে যাও জলজ জীবনে৷ এ আগুন তোমাদের না৷ এ রঙ তোমাদের না৷ তোমাদের জন্য জলের গভীর নীল, লতানো গাছ, সুন্দরী মাছ, মুক্তো। রাখা আছে পুরোনো চিলেকোঠায়। ফিরে যাও। ফিরে গিয়ে দেখো পুরোনো দোলনার পাশে অপেক্ষা করছে ক্ষরণ বন্ধের বরফকুচি।
একদিন নৌকোয় বসে জল তুলবো। যেখানে আগ্নেয়গিরি রেখেছো তার পাশে ঝর্ণা দেবো৷ স্নানের অছিলায় ঢুকে পড়ব সদ্যোজাত অস্থি বকুলে৷ একটা একটা করে সরিয়ে দেবো মৃত খরগোশ, হলুদ ঘাস৷ তারপর ভেসে যাবো।
ভেসে যাবো।
ডুবে যাবো।
হারিয়ে যাবো দুপুরের বিছানায়। যেটুকু আগুন জ্বলেছিল চকমকি চমৎকারে সেই আগুনে আহুতি দেব ধুনো আর ঘি মাখানো জুঁই ফুল।
