অভিনন্দন ও খরগোশ ভ্রম
অভিনন্দন ও খরগোশ ভ্রম
#colouryourwords,
নীল
কোন কোনো দিন অভিনন্দনের ঢল দেখলে মনে হয় হাতের তালুতে সংসার পেতেছে জোনাকি ও তার পাঁচটি সন্তান৷ সন্ধ্যের পর থেকে উৎসবে মেতে ভেঙে ফেলছে দীর্ঘদিনের উপবাস৷
আলো, ছায়া, আলো
এবং আলো।
প্লে গ্রাউন্ড থেকে শোনা যাচ্ছে ছেলেমেয়েদের দৌড়ঝাঁপ৷ কিংবা বৃষ্টিতে পড়ে যাওয়া। কতদিন হলো নদীতে নামা হয়নি৷ আরব সাগরের পাশে বসে চিৎকার করে বলা হয়নি " হে পৃথিবী, তোমার ভাসমান অক্ষরে কিছু অস্পষ্টতার ছাপ পাওয়া গেছে, তাই আর কবিতা লিখিনা"।
কবিতা লিখিনা বললেই ইচ্ছে করে রাস্তায় নামি। এই বর্ষায় জমে যাওয়া নর্দমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় পুরোনো খাতা পেন সহ ব্যাগ রেখে দিই। গারবেজ ডাম্পারে চেপে চলে যাবে নির্জন কোন দ্বীপে। এর মাঝে দু একটা সাদা খরগোশ রাস্তা পেরোবে দল বেঁধে। ছোট বেলায় মা বলতেন বিড়াল ডিঙোলে থামতে হয়। আমার জিজ্ঞেস করা হয়নি খরগোস পেরোলে কি হয়৷
আমি সত্যিই জানিনা খরগোশ পথ আটকালে
কি হয়। একবার স্বপ্নে দেখেছিলাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি আর দুলকিচালে খরগোশরা একজন করে উঠে পড়ছে শরীরের ওপর। তারপর থেকে মশারির মধ্যে ঘুমোই৷ খরগোশ না ইঁদুর আসা যাওয়া করে বিছানার কোল ঘেঁষে৷
এই সব সংযত কথার পর আমি আরাম করে একগ্লাস জল খাই৷ ভুলে যাই আজ একটা ভালো দিন, সবার অভিনন্দনে যে জোনাকির সংসার গড়ে উঠেছে তাকে যত্ন করে তুলে রাখি। কিংবা ট্যাপের জলে হাত ধুয়ে তুলে দিই রসায়নের ভৌগোলিক অবস্থান৷
আজ হয়তো কোন বিশেষ দিনই না। ভাবনার ঘরে জেগে উঠছে বাস্তু সাপ ও তার প্রাচীন সঙ্গী৷
