STORYMIRROR

Nilay ranjan Chatterjee

Tragedy Inspirational Others

4  

Nilay ranjan Chatterjee

Tragedy Inspirational Others

শান্তি-অশান্তি

শান্তি-অশান্তি

3 mins
299

শান্তি-অশান্তি 


অশান্তি কত রকমের আছে ? এর উত্তর দেওয়া খুব শক্ত । সহজ কথায় বলতে পারি অশান্তি বহু

রকমের । প্রথম -- স্বামী স্ত্রীর অশান্তি ! এতো ঘরে

ঘরে । এ অশান্তি তপ্ত কড়াই য়ে জলের বুদবুদের মত । ওঠে আবার মিলিয়ে যায় । আর যেটা মিলায়

না - তার পরিনতি খুব খারাপ । শেষ গন্তব্য আদালত । সেখানে নিষ্পত্তি ঘটবেই ।

রাজনৈতিক অশান্তি ----। এ তো অশান্তি নয় । এ

দাবানল । চর্তুদিকে লেগেই আছে । যদিও বা একটা

কোন রকমে একটু স্তিমিত হচ্ছে পরক্ষনেই আবার

কোথাও না কোথাও একটা নতুন তৈরি হয়ে যাচ্ছে ।

এ অশান্তি মিটবার নয় ।

খেলার মাঠে অশান্তি । কোন খেলোয়াড় থাকবে,

কোন খেলোয়াড় থাকবে না । ওকে কেন বাদ দেওয়া হলো ....। যিনি থাকছেন তিনি হয়তো কারো মদত পুষ্ট । যিনি থাকছেন না তাঁর হয়তো

সাপোর্ট কম । এই রকম কত শত ব্যাপার কাজ করে । হাটে বাজারে খুচখাচ বিষয় নিয়ে কতই না

অশান্তি লেগে যায় নিত্য । আবার মিটেও যায় ।

শুধু গ্রামে নয় শহরেও দেখা যায় কোন বয়স্ক পুরুষ

বা মহিলা কোন বিশেষ ইঙ্গিত বা কোন বিশেষ কথা

বললে রেগে যান ,এটা কোন ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

আর যায় কোথা । শুরু হয়ে যায় অশান্তি ....।

অফিসে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের তো অভিজ্ঞতা 

ভালো এ ব্যাপারে , অফিসের কাজ মানে একঘেয়েমি । সেই একঘেয়েমি কাটাবার জন্য 

কৃত্রিম অশান্তি তৈরি করা হয় পিছনে লেগে ।

আজ একটা নতুন অশান্তির সাক্ষী হলাম । সেটাই 

বলছি । গল্প একই রকম । বাজারে গিয়েছিলাম ।

বেশ সকাল । আকাশের মুখ তো গোমড়াই ।

অন্ততঃ আবহাওয়ার খবর সেই রকমই । আজ অবশ্য ছাতা নিয়ে গেছি । দু একটা জিনিস কেনার

পরেই শুরু হলো টিপ টিপ । ব্যাপার সুবিধের নয়

বুঝে একটা আশ্রয় খুজলাম। বেশিদূর যেতে হয়নি।

নিকটেই একটা শিবদুর্গা মন্দির আছে । ওখানে 

তিরপল দিয়ে অনেকটা জায়গা ঘেরা । ওখানেই ঢুকে পড়লাম । যথারীতি দেবদর্শন ও বৃষ্টিদর্শন

দুটোই একসাথে চলতে লাগলো ।

যেহেতু বলেছি মন্দির কাজেই সকাল বেলা দু একজন মহিলা স্নান সেরে ভেতরে ঢুকে ফুল ও ধূপ

দান করে গেলেন । তারপর একজন বৃদ্ধা এলেন ।

তিনি দেখছি আপন মনে চিৎকার করছেন । .......

এতো ধূপ দেওয়ার সখ কিনেই দাও না । পাঁচ টাকা 

তো দাম ।......ইত্যাদি .... ইত্যাদি ।

আমি থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলাম , কি হলো 

ঠাকুমা ? 

এবার ঠাকুমা বললেন ....আর বাবা , কি বলবো

এখানে ধূপের প্যাকেট রাখা থাকে । যে আসছে সেই এখান থেকে ধূপ নিচ্ছে আর জ্বেলে দিয়ে

চলে যাচ্ছে । এতো যদি ধূপ দেওয়ার সখ তো কিনেই দাও না । পাঁচ টাকা তো দাম । ঠাকুমা

বলেই চলেছেন । ওঁকে থামাবার ক্ষমতা আমার 

নেই । আমি চুপ করেই রইলাম । যিনি এ কাজ করছেন তিনি অনুচিত কাজ ই করছেন। পরের

দ্রব্য না বলে নেওয়া মানে চুরি ।সে তো আমরা

ছেলে বেলায় পড়েছি । তবে দেবতাকে ধূপ কিংবা

ফুল চুরি করে দিলেও তা কিন্তু পাপ বলে গণ্য হয়

না । সে যে দেব্তার জন্য করছে ।

ভোর বেলায় উঠলে ফুল চোর প্রচুর দেখা যায় ।

এর ওর বাগানে পাচিরেরধারে হাত বাড়িয়ে ফুল

চুরি করছে ।পাপের থেকে পূন্য ই বেশী হয় ওদের ।

ঠাকুমা তখনও দাঁড়িয়েছিলেন । চীৎকারও করছিলেন ।

আমি বললাম , ঠাকুমা তাহলে আমিও

একটা ধূপ দিয়ে দিই । সবাই যখন দিচ্ছে ।

ঠাকুমা হাসতে হাসতে বললেন ---দাও ।

আমিও ঠাকুমার সাথে হাসলাম । 

ঠাকুমার মন টা একটু শান্ত হলো ।

...................................................


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy