Nilay ranjan Chatterjee

Romance

4  

Nilay ranjan Chatterjee

Romance

ভালোবাসা

ভালোবাসা

2 mins
416


ভালোবাসা 


স্যর একটা গল্প লিখেছি ।গল্পটা একটু দেখে দেবেন ।

অবশ্যই দেখে দেব । বিজ্ঞানের ছাত্র গল্প 

লিখছো । খুব ভাল । আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন ।কিম্তু ওনার বাংলার প্রতি গভীর  ভালোবাসা ছিল।                  উনি অনেক বাঙলা গল্প ও প্রবন্ধ রচনা ও

করে ছিলেন।  সবচেয়ে  বড় কথা উনি  ছিলেন ্য্্্য্য্্্য্্্য্য্য্্্


  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক নম্বর সমর্থক।

তা কি গল্প লিখেছিস দেখি।

স্যার ভালবাসার গল্প।

ভালো ভালো। এই বয়সে ওটাই তো মাথাচাড়া দেয়। তা এটা জানিস তো   সাহিত্যিকেরা যা

লেখেন সব নিজের কথা।

মানে  ।

মানে নিজের ভাবনা টাই কল্পনার চরিত্রে র

মুখ দিয়ে বলান। আমি বলতে চাইছি গল্প টা

তোর ভালোবাসার নয় তো।


কি যেবলেন স্যর , অঙ্ক আর ফিজিক্স


নিয়েই হাবুডুবু খাচছি , এখন ভালোবাসা

স্বপ্ন তেও ভাবতে পারবো না। ।


ও সব ঠিক হয়ে যাবে। তা কোথায় আটকে 

গেছে  । একটুখানি শোনা।


স্যর অনেক দিন ধরেই চলছে ঘোরা একসাথে।

নায়ক ও নায়িকা চুটিয়ে গল্প করছে। রেস্তোরাঁয়

খাওয়া দাওয়া, সিনেমা দেখতে যাওয়া সব ই হয়

অবশ্য ই লুকিয়ে। কিন্তু ছেলে টার তো চাকরি

নেই। তাই নায়িকা একটু পিছিয়ে  পড়ছে।

বুঝতে পেরেছি, নায়ক কে ঠিক মেনে নিতে পারছে না আবার ছাড়তেও পারছে না।

এ রকম হয় রে।

তাই কি করব মানে কি ভাবে এগুবো ।


কি বললেন মেয়েটি,

বাবার একমাত্র মেয়ে কি না ।

যদি হয় তাহলে খুব সহজে এগিয়ে যেতে

পারবি। ঘর জামাই করে ঢুকিয়ে দে।


তাহলে তো গল্প এখুনি শেষ হয়ে যায়।


বড় লোকের জামাই। No tension। No দ্বন্দ্ব।

গল্প জমবে না।  


ঠিক বলেছিস।   ।      তাহলে ওকে একটা

চাকরি তে ঢুকিয়ে দে। ভালো বেতনে র চাকরি।


কি চাকরি বলুন, বাজারে চাকরি আছে।

  


কোথাও লোক নিয়োগ হচ্ছে।


ধর্মতলায় সাত হাজার ছেলে মেয়ে সাত মাস

বসে রয়েছে।‌‌ রোজ ঝামেলা হচ্ছে। তাহলে,


এক কাজ কর। লেখাটা আমাকে দিয়ে দে


আমি পড়ে দেখি। তারপর   হিন্ট দেব।


আজ ছুটি। কাল কলেজে আসছিস তো।


এখন spe cial  class চলছে। খুব সাবধান।


ঠিক আছে স্যর।   আসছি।  


 পরের দিন রোল কল করার সময় স্যার দেখলে 

ন, সুতপন অনুপস্থিত। হতে পারে হঠাৎ হয়ত কিছু। উনি কিছু বললেন না। physics এর

একটা শক্ত chapter পড়ানো হয়ে গেল।


তার পরের দিন ক্লাসে ঢুকেই মাথা গুলো

ভালো করে দেখে নিলেন। সুতপন আজো


আসেনি ।রোল কল করার সময় সুতপনের

নম্বর টা jump করে‌ গেলেন পাছে কেউ proxy

দিয়ে দেয়। Physics এর পরের chapter শেষ হয়ে গেল। কিছু জটিল অঙ্ক বোড়ে করিয়ে

দিলেন। তখন সুতপনের কথা মনে পড়ল

আবার। কারণ সুতপন‌ সেদিন অঙ্ক টা করতে

পারছিল না । উনি ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,সুতপন কেন আসেনি তোমৃ্রা


কেউ জানো।  ওর কি শরীর খারাপ।  


পিছন থেকে একটি ছেলে উঠে বলল  


স্যর, সুতপন বিয়ে করেছে ।ও একটি মেয়েকে

ভালোবাসতো। ওকে কথা দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে বিয়ে করবে। গতকাল ই ছিল

শেষ দিন।      




স‌্যার মনে মনে ভাবলেন, সেদিন ই বুঝতে

পেরেছিলাম গল্প টা ওর ই ভালোবাসার

গল্প। সুতপন লুকিয়ে গেলো ।


যাক ভালো থাকলে ই হলো।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance