STORYMIRROR

Nilay ranjan Chatterjee

Romance Thriller Others

3  

Nilay ranjan Chatterjee

Romance Thriller Others

স্মৃতি

স্মৃতি

3 mins
132


: তোমাদের যেমন গণপতি বাপ্পা । আমাদের তেমনি

দুর্গা মা ।

: তাই ?

: একদম । কাঁটায় কাঁটায় । তোমাদেরও দশ দিন ।

 আমাদের ও সামনে পিছনে মিলে দশ দিন ।

: সামনে পিছনে মানে ?

: আমাদের ওখানে মহালয়া থেকে পুজো উদ্বোধন 

 শুরু হয় এখন ।

: মহালয়া.....মানে ?

: মহালয়া বোঝ না ?

: আরে বলই না ।

: সে না হয় বললাম । মহালয়া হচ্ছে পিতৃ পক্ষএর

 শেষ । আর দেবী পক্ষ এর শুরু । পুজা দেবী পক্ষে

হয় । তুমি কলকাতার দুর্গা পুজো কখনও দেখনি ?


রোজি বললো -- না ।    

সম্পন্ন বললো -- নাহ । এবার চলো তোমাকে আমাদের ওখানের পুজো আমি দেখাবো । সম্পন্ন

সত্যিই রোজিকে নিয়ে এসেছিল ওদের বাড়ি ।

আলাপ করিয়ে দিয়েছিল ওর বাবা , মা আর বোন 

ডেজির সাথে । 

সকালের টিফিন সেরে বোন ডেজী আর রোজিকে

নিয়ে বেরিয়ে ছিল গাড়িতে । নিজেই ড্রাইভিং কর-

ছিল । বেশ কয়েকটা মন্ডপ দেখিয়ে দিল । রোজি 

অবাক ! ডেজী বললো -- দিনের বেলাতেই তোমার

এই অবস্থা ! রাতে কি করবে রোজি দি । 

রোজি বললো -- কেন ? রাতে কি আলাদা কিছু ..!

ডেজি বললো -- রোজি দি তোমার তো কোন ধারনা 

নেই । অবশ্য থাকার কথাও নয় । কারণ তুমি এই

প্রথম । সেটা রাত এলেই বুঝতে পারবে ।


রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি । সন্ধ্যা রাতেই

রাস্তায় জন সমুদ্র । পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে । সম্পন্ন

গাড়ি নিয়েই বেরিয়ে ছিল রোজির জন্য । ওর তো

অভিজ্ঞতা ভালোই । শুধু রোজিকে দেখানোর জন্য।

মন্ডপ থেকে অন্তত এক কিমি দূরে গাড়ি রেখে পায়ে পায়ে হেঁটে ঠাকুর দর্শন করে যখন আবার গাড়ীর কাছে ফিরে এলো তখন আড়াই ঘন্টা কাবার ।

রোজি মাথায় হাত দিল । বললো -- আর ঘুরতে হবে না । বাড়ি চলো । ......এই ডেকরেসন !

মুম্বাই কোথায় লাগে ! 

সম্পন্ন বললো -- এখন ই বাড়ি যাবে ? আজ তো

সারা রাত ঠাকুর দেখা । কোন মন্ডপ কোন কোন 

মন্ডপ কে টেক্কা দিল সেটাই তো নোট করার বিষয় ।

রাত বারোটায় জন সংখ্যা কত? রাত একটায় জন

সংখ্যা কত? রাত দুটোয় জন সংখ্যা কত ? ........

সমস্ত রিপোর্টিং কাল কাগজে বের হবে । সারা রাত 

নির্বাচিত বিচারক মণ্ডলী প্রতিটি মন্ডপে যাবেন।

প্রতিটি বিষয় খুটিয়ে দেখবেন । এর ওপর পুরস্কার

নির্ভর করবে । স্বাস্থ্য বিষয়ক নীরাপত্তা , দমকল ,

এম্বুলেন্স , ডাক্তার । পরিচ্ছন্ন তা এবং সর্বোপরি 

কি ভাবে দর্শক বৃন্দকে মেনটেন করছো সেটাও

দেখা হয় । বড় বড় নামী কোম্পানি পুরস্কারের

টাকা সাজিয়ে রাখে । রোজি অবাক হয়ে গেলো!

ঘুরবো না  ঘুরবো না করেও রাত আড়াই টা পর্যন্ত

ঘোরা হয়ে গেলো ।

যখন বাড়ি ফিরে এলো তখন সাড়ে তিনটা বাজে ।

রোজি তখন আর রোজিতে নেই । বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বেরিয়ে ছিল । কাফেতে ওরা খেয়েও

ছিল । কিন্তু অতো রাতে রোজির খাওয়া অভ্যেস 

নেই । ফলে শরীর ভালো নেই । সেই যে ফিরে এসে

রোজি শুয়েছে -- পরের দিন বিকেল তিনটে পর্যন্ত

বিছানায় । সাড়ে তিনটের সময় ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় বসতেই সম্পন্নর মা ছায়া দেবী জিজ্ঞাসা

করলেন - কেমন ঘুরলে - মা কাল ?

রোজি হাসতে হাসতে বললো , মাসিমা - আমার 

কোন ধারণাই ছিল না । সত্যিই নজর কাড়া ।

মন কাড়া । হৃদ্য় কাড়া । এক কথায় অনুপম

বলা যায় । মাসিমা জিজ্ঞাসা করলেন , আজ কে ....? 

ওনার কথা শেষ হবার আগে রোজি বললো - না না। আমি ।

দশমীর দিন মsatisfiedন্ডপে সিন্দুর খেলা দেখলো রোজি ।

সন্ধ্যয় গঙ্গার ঘাটে বিজয়ার দৃশ্য মনে রাখার মত ।

কবি , গায়ক , গায়িকা , গিটার বজিয়ে , বাঁশিওয়ালা সব একাকার । পাগলের মতো বিদায়

বেলায় মেতে গিয়ে 'মা ' কে বিদায় জানাচ্ছে !


আর একটা দিন থেকে কলকাতাকে বিদায় জনিয়ে 

রোজি ফিরে এলো মুম্বাই । দুর্গা পূজার স্মৃতি

সকলের সাথে ভাগ করে নিল নিজের অফিসে ।


..............................................................


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance