স্বপ্নের হাতছানি
স্বপ্নের হাতছানি


অনেকক্ষন অঝোড় ধারায় বৃষ্টি শেষে ত্রিপলের টপ টপ শব্দের শেষ জল টা পড়া বন্ধ হলো।ত্রিপলের ফুটো গুলো দিয়ে উঁকি মারছে রুপোলী রঙের মেঘ।অনেকক্ষন মায়ের কোলের কাছে জলের হাত থেকে বাঁচতে গুটি-সুটি মেরে বসে থাকা ছোট ছেলেটা ঘর থেকে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসের মাঝে দাঁড়িয়ে রুপোলী ঝকঝকে আকাশটাকে দেখছে।কালো আঁধার কেটে আকাশের গায়ে ফুটে ওঠা শ্রাবস্তির কারুকার্যতে ছেলেটা দেখছে রাজপ্রাসাদের আদল। ঠিক যেমনটা ও প্রতিদিন স্বপ্নে দেখে, ঘুম ভাঙলে মনে ভাবে একদিন ওদেরও হবে এমন সুখের প্রাসাদ।
হাতছানি দিয়ে ধরার অদম্য চেষ্টায় সে লাফাতে থাকে,রুপোর বাড়ির রাজপুত্র হবে সে আর কাগজ কুড়ানি মা সেই বাড়ির রাণী।বড় বড় বাড়ির ছেলে -মেয়েরাও তখন ওর বন্ধু হবে।তাদের মতো সুখে ওরাও থাকবে ।বৃষ্টির জলে ভিজে আর ও মায়ের কাশিটা বাড়বে না।রুপোলি মেঘের প্রাসাদটা ওকে ছুঁতেই হবে যে ভাবে হোক। ভাঙা বাড়ির গায়ে লাগানো দীর্ঘদিনের একটা মই বেয়ে তর তর করে ওপরে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়েও দেখছে রুপোলী প্রাসাদটা আরো ওপরে উঠে গেছে।পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে যতটা পারছে একটা হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ছেলেটা,ছুঁতে যে তাকে হবেই, এ যে তার কতদিনের স্বপ্নের রাজমহল।।