স্বাভাবিক মৃত্যু
স্বাভাবিক মৃত্যু


নৃশংসতা পথ খুঁজছে। অন্ধকার গলি, তবে হারিয়ে যাবার ভয় নেই। দেওয়ালের ওপাশ থেকে একটা সরু গলার চিৎকার। দূর থেকে কিছু কুকুরের আর্তনাদ বাকিদের সাবধান করছে। হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পথবাতিগুলোও ক্লান্ত। কবির লেখা কবিতার সাথে শহরের যদিও কোনো মিল নেই, তবে লাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকের অভাব হবে না কখনও। মৃতদেহ দেখে জানি না কি পরম সুখ পায় তারা!
ওই যে ভাঙ্গা বাড়িটা, সামনে বারান্দা দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেখানেই লাশটা পরে ছিল। এখানে কেউ থাকে না বলে চোখে পড়েনি প্রথমে, তবে দুর্গন্ধ ওদের ডেকে এনেছিল। তাই তো এত ভিড়, টর্চের আলোয় মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ। যদিও ওরা অভ্যস্ত, বড় শহরের কাছে নিছক ছোটো ঘটনা। তবে বাঁধ সাধল মৃত ব্যক্তির বয়স। যুবক-যুবতী হলে মাথা ঘামানো যায়, বৃদ্ধ বলেই তো এটা "স্বাভাবিক মৃত্যু", পুলিশেরও তাই অনুমান।
কারোর কোনো অনুশোচনা ছিলনা, পরিচয় জানার আগ্রহ ছিলনা। এমনকি খবরের কাগজেও জায়গা হয়না এসবের। মনে একটাই প্রশ্ন ছিল, কোনটা স্বাভাবিক! মৃত্যু না মৃতদেহ?