রাত জাগা পাখি
রাত জাগা পাখি
পাখির জ্ঞান ফিরতে দেখলো সে একটা ছোট্ট ঘরের এক কোণে কিছু খড়ের গাদার উপর পড়ে আছে । মুখটা কাপড় দিয়ে বাঁধা , হাত - পা সব বাঁধা । সারা শরীরে অসংখ্য নখের দাগ , যোনিপথ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে , অসহ্য যন্ত্রনায় শেষ হয়ে যাচ্ছে সর্বাঙ্গ । সে একেবারে নির্বস্ত্র । কাঁদতে কাঁদতে পাখি ভাবলো, " আমি এখানে কি করে এলাম ? আমার বেনারসি, আমার গয়না কোথায় গেল ? আর রজতই বা কোথায় গেল ? কালকেই তো ট্রেনে ছিলাম তাহলে এখানে এলাম কিভাবে ?
রজত মদ খেয়ে টাল খেতে খেতে ঘরে ঢুকলো ।
" কিরে মাগি ঘুম ভাঙলো তোর ? শালী কাল থেকে মরার মতো পড়ে আছিস । শালা চার জনকে তোর কাছে মজা নেওয়ার জন্য পাঠালাম , সবাই শালা নাখুশ হয়ে চলে গেল । শালী তুই মরার মতো ঘুমিয়ে
ছিলি " - এই বলে মুখের বাঁধন খুলে দেয় ।
পাখি বললো, " কি বলছো তুমি এসব ? আমি তোমার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী । কালকেই সবে বিয়ে হোলো আমাদের । "
" চুপ শালী, তোকে কি আমি এমনি এমনি বিয়ে করেছি নাকি ? তুই হলি আমার নোট ছাপাবার মেশিন । শালী তোর এই রূপ, তোর এই নধর গতরখানা কালকেই আমাকে একরাতে কুড়ি হাজার টাকা এনে দিয়েছে । তুই শালী শুধু গতর বিলিয়ে যা, তোকে আমি রাণী করে রাখবো । "
" তোমার লজ্জা করে না নিজের বৌকে পরের হাতে তুলে দিতে । তুমি পুরুষ ? মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ কোথাকার । ছিঃ ছিঃ " বলে রজতের দিকে থুতু ছেটায় ।
রজত পাখিকে চুলের মুঠো ধরে চড় মেরে বলে , " একদম চুপ করে থাক্ হারামজাদী মাগী । আমি যা বলবো তাই করবি , যার সাথে শুতে বলবো কোনও কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে পড়বি । বেশি কথা বললে এখানেই পুঁতে দেবো শালী । "
" কিন্তু আমি এটা কোথায় এলাম ? এটাই তোমার বাড়ি ? কিন্তু তুমি তো
বলেছিলে..... " কথা শেষ হতে না হতেই রজত পাখিকে আবার কষিয়ে চড় মেরে বলে, " ভিখারির মেয়ে, শালী তোর জন্য কি রাজপ্রাসাদ থাকবে নাকি ? চল্ ওঠ মাগী, ভালো করে সেজেগুজে তৈরী থাক্ । আজ কোনো খদ্দের যদি নাখুশ হয়েছে তাহলে আজ তোকে খতম করে দেবো । "
