রামধনু
রামধনু
মেয়েটি আর রং দেখতে পায় না। অনেক চেষ্টা করে, তবে যেন সবই সাদা কালো। আসলে ওর দোষ নেই, যার জীবনের রামধনু কে কেউ পিষে দিয়েছে, সে কি আর আকাশের দিকে তাকানোর সাহস পায়।
অথচ, মানুষ তো পৃথিবীকে রং দিয়েই চেনে ।
না, মেয়েটা একদিন সব রংই দেখতে পেত, হলুদ, বেগুনি, নীল, আকাশি। কিন্তু তার সবচেয়ে পছন্দের রং ছিল লাল। রক্তিম লাল রং কে সে ভালোবাসতো, সে ভালোবাসতো ভালোবাসতে।
গোলাপি যেন জল মেশানো, কেন যে সেটা কে ভালোবাসার রং বলা হয়! না, ভালোবাসার রং হলো লাল। হৃদয়ের রক্তেই তো ভালোবাসা।
কিন্তু, সবার কি আর রং চেনা যায়। সবার রক্ত কি লাল হয়? না হয় না। কিছু লোকের রক্ত হয় কালো।
তেমনি একজন কে কেন ভালোবাসলো মেয়েটি? আসলে অন্ধকারে, লালকেতো কালোই লাগে । তাই হয়তো বুঝতে পারে নি মেয়েটি। বড়ো ভুল হয়ে গিয়েছিল।
সেই মানুষটির কালো রক্ত এখন মেয়েটির সব রং শুষে নিয়েছে। এখন মেয়েটি শুধু ভাবে, যে যদি লাল ভালো না বাসতো, তবে কি এটা হতো। কেউ এর উত্তর জানে না।
আশা করি মেয়েটি একদিন এই ফুল টি খুঁজে পাবে, তার জীবনে আবার রং ফিরে আসবে, হয়তো লাল নয়, কিন্তু হলুদ, বেগুনী, নীল, আকাশি তার জীবন কে আবার বর্ণময় করে তুলবে। এই সব রঙেরা পাঁপড়ি মেলে আবার একদিন মেয়েটির জীবনের কেন্দ্রস্থিত পরাগ ছড়িয়ে দেবে ফুল থেকে ফুলে।