রঙ
রঙ
-বাবা, দুটো প্যাকেট আবির রেখে দেব, আমিও খেলবো কাল।
-রাখবি মানে, এক একটার দাম জানিস, আমাদের এক বেলা খাওয়া হয়ে যাবে। চুপচাপ প্যাকেট কর। আর বেশি আবির নষ্ট করিস না।
-প্লিস বাবা, কাল তুমি জলরং ও রাখতে দাওনি, বললে গা চুলকাবে, আজ আবির রাখতে দাও প্লিস।
-যা, বিরক্ত করিস না।
-প্লিজ বাবা, প্লিজ, প্লিজ
চর টা মারা ঠিক হয়নি। ছেলে টা কাঁদছে।
আসলে লকডাউনে চাকরি টা চলে গেল তো তাই এখন মেজাজ টা খিঁচড়ে থাকছে। আয় নেই। আবিরের প্যাকেট বেঁধে এখন হাতে যা পাওয়া যায়। বাপ ছেলের সংসার, তাতে কদ্দিন চলে দেখি। ছেলে টা রং খেলতে এই দামি আবির চাইছে, ও বুঝছে না, যে এখন আমাদের আর অতো দাম নেই।
একটি ধূসর ঘরের হলদে বাল্বের আলোয় এক সংগ্রামী পিতার ঘাম আর এক অবুঝ ছেলের চোখের জল আবিরে মিশেছিলো।
চিন্তা করবেন না, আপনার হাতে রঙিন স্বপ্নের প্যাকেট টা পৌঁছানোর আগেই ওগুলো শুকিয়ে যায়।