প্রতি মা
প্রতি মা
আমি নয়নচাঁপা,
নামটা বেশ পুরোনো তাই না?
জানেন আজ না আমি ৭০ বছরে পা দিয়েছি আর আজই দূূূগ্গাষ্টমি।
আমার পুত্র আর পুত্রবধূ তাতেই মেতে।আমার নাতি অবনি আর আমি এখন ঘরে, সে লেখক জগতে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে।
আজ আমার ,হয়তো অন্তিম জন্মতিথিতে
আমার হাতে তার লেখা একটা কবিতা ধরিয়ে দিয়েছে।
বলছি মন দিয়ে শুনুন।।।।।।
প্রতি মা
প্রতিমা হবেই বির্সজিত,
মূর্তি ঠিকই হবে পূজিত।
প্রতিমা তে প্রতি মা সিমিত,
প্রতি মা হল অপরাজিত।
প্রতি মা হল লক্ষ্মী নারী,
প্রতি মা হরে মহামারী।
প্রতি মা হবে ভয়ংকরি,
বিপদ যদি অগ্রসূরি।
প্রতি মা হল লালন কারি,
প্রতি মা হল পালন কারি।
প্রতি মা হল জ্ঞানের তরী,
প্রতি মা হল পীড়া হারি।
তবুও যে সে দুঃখ রত,
আশ্রমে সে হয় গৃহীত।
অবশেষে সে অর্ধমৃত,
পুত্রশোকে অশ্রুরত।
দূর্গাপূজা মন্ডপেতে,
মাতৃপূজা রাস্তাঘাটে।
দূর্গাপূজায় সবাই মেতে,
প্রতি মা সড়কে ভিক্ষা পাতে।
এই কবিতা পড়ে আমি অশ্রুরত ঠিকই কিন্ত
আমি সর্বদাই কামনা করি এই কবিতার মর্ম
কেউ বুঝে থাকলেও যেন তার জীবনের ওপর
এর প্রভাব বিস্তার না হয়।