কে ওখানে
কে ওখানে


জানি না কেন,গভীর রাত যেন আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু, আর দিনটা তো আলসেমিতে ভরা।দিনের বেলা প্রায় আমি নিদ্রারত।কিন্তু এই একাকীত্ব যামিনী আমায় নিদ্রারত হতেই দেয় না।
এই রাত আমার কাছে আমার গুন বহালের সময়।এই রাতেই আমার কবি ভাব প্রস্ফুটিত হয়।কিন্তু একদিন এই রাতেই আমি সর্বাধিক ভীত ছিলাম।আমার একটা কু স্বভাব জাগে প্রায় বেশ কয়েক বছর আগে, আমি ভূতুড়ে বিষয়ে নিয়ে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি শুরু করতে শুরু করি।
প্রায় আমি দেড়শো প্রকার ভুত সম্পর্কে জানতে পারি,যার মধ্যে ছিল - যক্ষিনী,পিশাচ,বোবা,নীলিমা, নন্দিনী প্রভৃতি আরও অনেক।
ঠিক তেমনি এক গভীর রাতে এক ভয়াবহ ভুতের গল্প আমি পড়ছিলাম।রাতটা ছিল বেশ গভীর, আমার পরিবার তখন গভীর ঘুমে,মনে হয় জোরে ডাকলেও জাগার উপায় নেই।
শুধু আমি, রাত আর এই বই জেগে আছে।হঠাৎ আমি পাশের ঘরে বিকট একটা শব্দ পাই।আমি জানতাম যে দরজা জানালা সম্পূর্ণ বন্ধ।তবুও বললাম, 'কে ওখানে' ,'এই কেরে'?
এর পরমুহূর্তেই এক টঙ্কার শব্দ শোনা গেল।আর তার সঙ্গে সঙ্গেই লোডশেডিং হল,যেন লোডশেডিং এর পশ্চাতে সেই শব্দ রয়েছে।এক মূহুর্তের জন্য আমি ভাবলাম হয়তো চোর এসেছে।তাই একটা লাঠি নিয়ে বাইরে বাহির হলাম।কিন্তু হঠাৎ সেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে দুটি জ্বলন্ত চোখ সদৃশ্য হল।ভয়ে লাঠিটা যে কোথায় গেল, এখন আমি বেশ ভীত।
সেই এখনও আমায় তীব্র ভাবে দেখছে।। আমি আবার বললাম, 'এই কেরে'।আমি বারান্দার ঘড়ির শব্দ ছাড়া আর কিছুই শুনতে পেলাম না।তা ছাড়াও আমার কত রকমের ভুতের কথা মনে পড়ছিল।
আমার নিশ্বাস আমার কানে বাজছে, আমার শিরদাঁড়ায় এক শীতলতা বয়ে যাচ্ছে।আমার এক পলকের মধ্যেই সেই চোখ দুটো অদৃশ্য হল।
আমার তীব্র ঘাম দিচ্ছে।আমি হঠাৎ দেখলাম যে আমি বর্তমানে নীচের তলায় যদিও বা তখন আমি আমার ঘরে অর্থাৎ তেতলায় ছিলাম।
আমার ভয় সীমাহীন হল ,আমার পা তীব্র কম্পিত হচ্ছিল।আমি চলতে পাড়ছি না,আমি দৌড়াচ্ছি কিন্তু এগোতে পারছি না।আমার সদর দরজার সামনে নিজেকে পেলাম, তখন সকাল হয়ে গেছে,
আমি বুঝতে পারছি না,কী করব। কিন্তু আজ এই গল্পের অন্ত নয় , আজ রাত সে ধরা পরবেই.......