পরিচালিত
পরিচালিত
"আমি পালন করতে পারছি না কিন্তু পালন করা উচিৎ।" এটা ৯৯% এর বেশি ধার্মিকদের মনের কথা। যারা ধর্ম সম্পর্কিত কর্মকে পেশা হিসেবে নিয়েছে তারাই ধর্ম উৎকৃষ্টরুপে পালন করে। এছাড়াও কিছুলোক তো আছেই, অস্বীকার করব কেন? আর বাকিরা কি করে? তাদের কথা ঐটাই। কিন্তু পালন না করলেও তারা ধর্ম রক্ষা করতে সচেষ্ট। তারা চলবে নাস্তিকদের মত কিন্তু নাস্তিকদেরকে তারা প্রচন্ড ঘৃনা করে। তারা চলবে বিধর্মীদের মত কিন্তু তারা বিধর্মীদের নরকবাসী বলতে ভালোবাসে। ধর্ম যদি আপনার কাছে এত গুরুত্ব রাখে তবে পালন করতে পারছেন না কেন? আপনার গ্রহনযোগ্য ধর্মটি আপনার দ্বারা পালন করা সম্ভব হচ্ছে না কেন? নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? ভেবেছেন? যে ধর্মের জন্য আপনি জান দিতে প্রস্তুত, সে ধর্ম আপনি কেন পালনই করতে পারছেন না? মন থেকে ভালোবাসা চেষ্টা সব আছে কিন্তু পালন করতে পারছেন না কেন? ধর্ম নিয়ে বাজে কথা বললে আপনার পিত্তি জ্বলে যায় অথচ ধর্ম পালন করতে পারছেন না কেন? আসলে বাধাটা আসে কোথা থেকে? কেউ তো বাধা দেয় না, সবাই উৎসাহ দেয়, তবুও পালন হচ্ছে না কেন? এক সেকেন্ডেই আপনি নরকের আগুনের কথা ভুলে যাচ্ছেন। স্বর্গের এতো এতো সুবিধাগুলো আপনার মাথায় স্থায়ী হচ্ছে না। কিন্তু সামনের নিয়োগ পরীক্ষ
ার কথা ভেবে রাত দিন পড়ছেন।
"কেউ যদি ধর্ম পালন না করে, পাপ তার, এখানে ধর্মের দোষ কি?" এতো এতো মানুষ আপনার এই কথাটা বুঝে কিন্তু পালন করতে পারছে না কেন? ধর্মের দোষ তো নাই কিন্তু ধর্মের শক্তিটা কি? ধর্মের বাণী মানুষকে আকৃষ্ট করে কিন্তু পালন করাতে পারে না কেন? সামান্য একটা পরীক্ষা পাশ করে মানুষ সফল হতে চায় কিন্তু ধর্ম পালনের এতো এতো সফলতা দেখেও মানুষ বিমুখ কেন? মানুষকে দুনিয়া থেকে কেন ফেরাতে পারছে না ধর্ম? ধর্ম কেন দুনিয়ার কাছে ধরাশায়ী?
কারনঃ
দুনিয়ার সুখ,দুঃখ,আনন্দ,বেদনা, দুনিয়ার আগুনের তাপ, সূর্যের তাপ, বরফের ঠান্ডা মানুষের গায়ে লাগে, সেটা জানার জন্য গ্রন্থ পাঠ করতে হয় না।
স্বর্গ,নরকের সুখ,দুঃখ,আনন্দ,বেদনা, আগুনের তাপ গায়ে লাগে না, গ্রন্থ থেকে পাঠ করে বিশ্বাস করতে হয়।
কিন্তু যারা পালন করে, তারা কেন করে?
কারন দুনিয়ার সুখ,আনন্দ পেতে এবং দুনিয়ার দুঃখ,বেদনা থেকে বাচার জন্য ধর্মই তাদের অবলম্বন। এজন্য তাদের ধর্ম বিশ্বাসটাও খুব মজবুত।
আরেক শ্রেনী আছে দেখা ও অদেখা দুটোই পালন করে, তারা অদেখার বংশোদ্ভূত। বংশপরম্পরায় তা বিলীন হয়।