ও কেমন আছে ?
ও কেমন আছে ?
ও কেমন আছে ?
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য
কলমে - কৃষ্ণ ব্যানার্জী
আমি প্রদীপ বিশ্বাস । বর্তমান নিবাস রাজারহাট । পেশাতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার । স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ কাটছে জীবন । বাবা - মা গত হয়েছেন প্রাই বছর দশেক হবে । প্রথমে বাবা তার ঠিক বছর দুয়েকের মাথায় মা । আমার স্ত্রী কে ওনারা কেউই দেখে যেতে পারেন নি । আমার বিয়ে হয়েছে এই ছয় বছর । মেয়ের বয়স পাঁচ আর ছেলের বয়স তিন । তবে আমার এই ফ্ল্যাটে ওনারা দুজনেই থেকে গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর । ইঞ্জিনিয়ারিং পাস কারবার সাথে সাথেই জব পেয়ে জাই , বছর দুয়েক কাজ করবার পর এই ফ্লাট টা ব্যাংক লোন নিয়ে কিনে ফেলেছিলাম । ফ্লাট কেনার পর পরোই বাবা - মা চাপা চাপি করেছিলেন বটে বিয়ের জন্য , কিন্তু আমি করতে চাইনি । আমার মাথাতে তখন এই লোনটা অনেক ভারী বলেই মনে হয়েছিলো । যদিও ঝাড়া হাত - পা হয়েই বিয়েটা করলাম কিন্তু বিয়ে তে বাবা - মা না থাকার জন্য কোনো অনুষ্ঠান করিনি। পরে একটা ছোট পার্টি অরেঞ্জ করে সকলকে খাইয়ে দিয়ে ছিলাম ।
আজ থেকে প্রাই পোনের বছর আগের কথা , চাকুরীতে জয়েন্ট করেই প্রথম প্রজেক্ট ধুলাগড় । একটা ফাঁকা মাঠের উপড় প্রজেক্টের কাজ শুরু হলো । আমাদের বাসস্থান তখন তবু । যেখানে কাজটা হচ্ছিলো তার আধাঘন্টার মধ্যে কোন জন বসতি না থাকার ফলে , তবুই একমাত্র ভরসা । হপ্তা খানেকের খাবার দেবার আমাদের তবুতে কিন্তু মুশকিল হলো অন্য স্থানে , আমাদের মধ্যে কেউই রান্না করতে পারেনা ফলে প্রথম দুই দিন আধা সিদ্ধ খেয়েই দিন কাটলো । এদিকে ভারী কাজ তার উপড় ঐ খাবার প্রাণ প্রাই জায় আরকি । তৃতীয় দিনটাও এভাবেই কাটলো , রাত তখন নয়টা কাজ শেষ অনুনা সিদ্ধ ভাত খেয়ে আমরা পরের দিনের পোগ্রাম ঠিক করছি এমন সময় একটি যুবতি মহিলা বিভ্রান্তের মতো এসে ঢুকে পরে আমাদের তাঁবুতে , মেয়েটি এতটাই ভীত যে সে ঠিকমতো দম নিতেও পারছেনা , আমি জলের বোতলটা তার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম জল খান । মেয়েটি প্রচন্ড তৃস্নার্থের মতো কিছুটা জল খেয়ে তাঁবুর বাইরের দিকে তাকিয়ে নিয়ে আবার আমাদের দিকে ফিরে ভীত কণ্ঠে জানায় আমাকে বাঁচান , আমার বাবা আমাকে মদের ধার মেটাতে ঐ লোকগুলোর হাতে আমাকে বেচে দিচ্ছে, আমি ওখানে যাবোনা স্যার। ওরা আমাকে ভোগ করে আবার অন্য কারো কাছে বেচে দেবে । হঠাৎ বাইরে থেকে একটা মাতালের কন্ঠ ভেসে এসে —-- এই মাগী বেরিয়ে আয় বলছি আমি জানি তুই এখানেই আছিস , আজ তোকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা । মেয়েটি কুঁকড়ে তাঁবুর এক কোনে চলে গিয়েছে তার চোখে মুখে সে কি ভয় । আমি ওকে শান্তনা দিয়ে বল্লাম আপনি চিন্তা করবেননা আমি দেখছি । আমি বেড়তে যাচ্ছি একজন বলে স্যার লোকটা মদ খেয়ে রয়েছে বাইরে যাওয়াটাকি ঠিক হবে ? আমি ওদের বল্লাম কিছু হবেনা আমি যাবো আর আসব —------- এই বলে আমি বাইরে বেরিয়েই একটু গম্ভীর ভাবেই বল্লাম কি হয়েছে মশাই চাচাচ্ছেন কানো ? এখানে আপনার কি চাই । লোকটা টাল খেয়ে পরেজেতেগিয়েও নিজেকে সামলে বলে আমার মেয়েটা এখানে এসেছে ও শালীকে বার করে দিন । আবার আমি করা ভৱে বল্লাম আপনি শুধু মাতল নন তার সাথে পাগল ও বটে , আপনার মেয়ে এখানে কি করবে ? জান এখান থেকে সারাদিন খাটা খাটনি করে আমরা ক্লান্ত ঘুমাতে দিন । লোকটি আবার বলে বাবু আমি পরিষ্কার দেখেছি ছিনাল মাগীটা এখানেই এসেছে । আমি একটু উত্তেজিত হয়েই বল্লাম — মুখ সামলে কথা বলুন এখানে কেউ আসেনি আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে এখন এখানথেকে যাবেন না পুলিশ ডাকবো ? পুলিশের কথা শুনে লোকটা একটু গুটিয়ে গেলো —--, একটু থেমে বললো আটা কিন্তু ঠিক করলেন না বাবু , ও কাতদিন এখানে লুকিয়ে থাকবে সেটা আমিও দেখে নেবো , কিছুটা দূরে গিয়ে আবার বললো —---- আমিযদি ওকে না নিয়ে জেতে পারি আমার নামো শুকিয়া নয় এই বলে গেলুম । তারপড় টাল খেতে খেতে লোকটা সেখান থেকে চলে গেলো ।
আমি তাঁবুতে ফিরে এসে মেয়েটাকে বল্লাম এবার এদিকে বেরিয়ে আসো তোমার বাবা চলে গিয়েছে । মেয়েটা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে ভালোভাবে তাকে দেখলাম । হয়তো সুন্দরী বলতে একেই বলে । গায়ের রং একটু চাপা হলেও তার চোখ মুখ পরীদের থেকে কোন অংশে কম নয় । আমি জিজ্ঞাসা করলাম তোমার নাম কি ? মেয়েটি মাথা নিচু করে বলে সাহেব আমার নাম ঝুমড়ি আছে এখান থেকে দু - মাইল দূরে আমাদের বস্তি আছে , আমি ওখানেই আমার মাতাল বাবার সাথে থাকে । মদের নেশায় আমার মা তাকেও মেরেফেলেছে লোকটা । এখন আমি বড় হতে আমাকে বেচে মদের ধার মেটাতে চায় বাবু । আজ পাওনাদাররা আমাকে নিতে এসেছিলো হামি পালিয়ে এসেছি বাবু । আমি বল্লাম সেতো বুঝলাম কিন্তু এখন যাবে কোথায় ? মেয়েটা হাত জোর করে বলল রাতটুকু এখানে থাকতে দেন বাবু সকালে কোথাও চলি যাবো । আমি সকলের মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লাম এখানে আমরা সকলেই বেটাছেলে আর তুমি একজন যুবতী মেয়ে তোমাকে এখানে রাখি কি করে ? মেয়েটি কাকুতি মিনতি জুড়ে দিলো । আমরা মেয়েটির অনুরোধ ফেলতে পারলামনা , ঠিক করা হলো পাশে ছোট একটা তাবু বানিয়ে ওকে রাখা হবে । সেদিন রাতে তাই করা হোলো। সবকিছু সেরে জখন শুতে গেলাম তখন ঘড়িতে রাত দুটো ।
চলবে………………