নতুন জীবন
নতুন জীবন
আমার আর অনন্যার বিয়ে খুব ধুমধাম ভাবে দুবছর আগেই হয়ে গেছে। আর আজ আমার জন্মদিন,আর আমি অনেক বেলা পর্যন্ত বিছানাতে শুয়ে আছি,আর আজকের দিনের শুরুটা ঠিক এই ভাবে হল.....
শুভ জন্মদিন রাহুল...শুভ জন্মদিন....ঘুমের ঘোরেও আমার চোখ এই শব্দ গুলোতে খুললো।
হাতে একটা ফুলের সেট আর মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে ছিল অনন্যা। হালকা নীল রঙের চুড়িদার,সাদা রঙের উড়না কপালে ছোট্টো কালো টিপ কানে ঝুমকো পরে।
কিছুক্ষনের জন্য আমি ওকে দেখতেই থেকে গেলাম কী সুন্দর লাগছিলো ওকে...
অনন্যা কিছুটা এগিয়ে এসে আমাকে ফুলের সেটটা হাতে দিলো আর আমি হালকা হেঁসে ধন্যবাদ জানালাম...
রাহুল - আমার জন্মদিন তোমার মনে ছিলো অনু ( ভালোবেসে অনন্যা থেকে অনু )
অনন্যা - একদম কারণ তোমার জন্মদিন তো ঠিক আমাদের বিবাহবার্ষিকীর ঠিক আট মাস পরেই তো আসে... এমনিতেও আমার সব মনে থাকে
আর শোনো তোমার জন্য আমি রাধাবল্লবি,কাশ্মীরী আলু,মালপো,পায়েস,রসমালাই সেই সকালে উঠে বানিয়েছি তার জন্য তাড়াতাড়ি এসো খারাপ হলেও ভালো বলতে হবে কিন্তু....
আর এটা বলেই সে বাইরে চলে গেলো...
এইরকম ই আমার অনু ওর চোখে শেষ জল দেখেছিলাম বিদায়ের সময়,আর তারপরে আর কোনদিন খুঁজে পাই না কী করে যে এতো খুশি থাকে । যেখানে সবাই ওর কাছে যায় ছোটো থেকে ছোটো সমস্যা নিয়ে আর ও সেটা কিছুক্ষনের মধ্যেই খুশিতে বদলে দেয়। ও প্রচন্ড ছটফটে,আর অনেকটা ভালো সবাইকে হাসাতে জানে ওর মধ্যে হাসানোর ক্ষমতা আছে ওর কাছে ভালোবাসা,সম্মান সব ছিলো তাছাড়াও আমার অফিসের কাজ ,নিজের অফিসের কাজ ,বাড়ির কাজ,সব ভালো ভাবে সামলিয়ে উঠতে পারে।
-এর মধ্যেই কথা বলতে বলতে আমি অফিস যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে নিলাম । আমার অনুর মধ্যে তো পাথরকেও হাসিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আছে ওর জন্য অনেকটা ভালোবাসা ,মনের মধ্যে সম্মান
নিয়ে আমি তো অফিস যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে নিলাম আর বাইরে বেরিয়ে এলাম।
যেখানে অনু চেয়ারে বসে ফোনের মধ্যে কিছু কাজ করছিলো কিছু লিখে যাচ্ছিলো।আর আমাকে দেখে ও বলললো...
অনন্যা - কত দেরী করলে বলোতো প্রচণ্ড ক্ষীদে পেয়েছে তো আর তুমি কত দেরী করে আসছো...
রাহুল - তুমি এখনো খাও নি কেনো...
আর ও হালকা হেসে আমার জন্য খাবার বেড়ে দিতে থাকলো...
অনন্যা - আজ তোমার কী গিফ্ট চাই বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় নিয়ে আসবো বলো কী চাই...
আমরা আমাদের কাজে এতো ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে আমরা একে অপরকে বেশি সময় ও দিয়ে উঠতে পারি না..
ওর উত্তের আমি বললাম...
রাহুল - আমি কী তোমার কিছুটা সময় পেতে পারি, আজ বিকালে একটু বাইরে বেরোই
অনন্যা - শুধু তুমি আমিই যাবো তাই না আর এটা বলে ও হেসে ফেললো...আরে আমি তো তোমাকে আমার সব সময় শুধু তোমাকে দিয়ে রেখেছি...তাহলে এটা ঠিক রইলো যে বিকালে অফিসকে তুমি আমাই নিতে যাবে আর তার পর তুমি আমি মিলে আমাদের পছন্দের রেষ্টুরেন্ট যাবো।
অনুকে অফিসে নামিয়ে আমি যখন চলে আসছিলাম তখন আমি দেখলাম যে অনু আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেনো ও বলতে চাই ছে প্লিজ আজ অফিস যেও না,আজ আমায় ছেড়ে প্লিজ যেও না। অনুর এই চোখ দেখে আমার একটু অন্যরকম লাগলো জেনো মনে হলো আজ আমার জন্মদিনের দিন যদি নিজের জীবনসাথীর সাথে যদি না থাকি তাহলে যেনো আমি অনেক কিছু হারাচ্ছি।কিন্তু অফিসে যায়া ও জরুরী ছিলো বস ও ছুটি দেয় নি তাই মনকে কিছুটা আটকিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে অফিসের দিকে চলে গেলাম ।
কিন্তু যদি আমি অনুর চোখের ভাষা মেনে নিতাম আর আমি যদি ওকে একা না ছেড়ে দিয়ে আসতাম আর ও যদি আজ অফিস না যেতো.....তাহলে....
সারাদিনের কাজের পর রাহুল যখন অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখন রাহুলের একটা জরুরী কাজ চলে আসে তাই রাহুল বাধ্য হয়ে অনুকে ফোন করে ডাইরেক্ট রেষ্টুরেন্ট চলে যেতে বলে। আর বলে যে ও একটা কাজে আটকে গেছে তাই ও সেই কাজ শেষ করে রেষ্টুরেন্ট চলে যাবে ...উওরে অনু বলে যে -এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবে, ঠিক আছে আমি একাই চলে যাবো তবে তুমিও টাইমে চলে আসবে ।
আমি যখন সব কাজ শেষে রেষ্টুরেন্ট পৌছায় যেখানে অনুর হওয়ার কথা কিন্তু সেখানে অনু ছিলো না,আমি ওকে ফোন করলাম কিন্তু ওর ফোন ও সুইচ অফ বলতে থাকলো । ওর অফিস ও গেলাম ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম ও একঘন্টা আগেই অফিস থেকে রেষ্টুরেন্টের জন্য বেরিয়ে গেছিলো। আমার খুব ভয় করতে লাগলো আমার এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো অনু আমার সাথে মজা করছে। কিন্তু অনু অফিসে নেই রেষ্টুরেন্টে নেই তো আমি কী একবার বাড়ি গিয়ে দেখে আসি হতে পারে আমার দেরী হওয়ার কারণে ও হালকা রাগ করে বাড়ি চলে গেছে
তারপর আমি বাড়ি গেলাম কিন্তু বাড়ির দরজা তেও তালা দেওয়া ছিলো তার মানে অনু এখানেও আসে নি। রাত বারো টা বাজছে অনু এতো রাত পর্যন্ত কোনো দিন বাড়ির বাইরে থাকে না আমার প্রাণ ভয়ে শুকিয়ে বেরিয়ে আসছিলো আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী করবো অনু আমার স্ত্রী যে আমার জন্য রেষ্টুরেন্টে অপেক্ষা করার কথা আর আমি এখন ওকে না খুঁজে পেয়ে অপেক্ষা করছি।
সব দিক থেকে আমি অনুকে খোঁজার চেষ্টা করলাম,অনুর বন্ধুদের ফোন করলাম কিন্তু কেউ অনুর খবর কেউ জানে না।
কোনো ভাবে বাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম বসলাম আর ভাবলাম অনু হয়তো চলে আসবে আর অন্যদিকে ভয় ও লাগছিল অনু ঠিক আছে তো ওর কোনো ক্ষতি হয়নি তো।
এই ভাবে হঠাৎ করে আমার চোখ লেগে গেলো যখন খুললো তখন ঘড়িতে রাত দুটো তখনও আমি অনুকে ফোন করার চেষ্টা করলাম কিন্তু লাগলো না।
হঠাৎ সকাল পাঁচটার সময় ফোনটা বেজে উঠল ওই ফোনের আওয়াজে মনের ভয়টা আরো বেশি করে চেপে বসলো....
ফোনে ওঠা নামতো অনুর ছিলো আমি ফোন তুললাম...আওয়াজ এলো মি.রাহুল
এই আওয়াজে আমি অনেকটা ভয় পেলাম আর মনের মধ্যে অনেক প্রশ্নের ও সৃষ্টি হচ্ছিলো...
ফোন থেকে আরো বললো আমি ইন্সপেক্টর লাহিড়ী বলছি এই ফোন টা আমরা একটা রেষ্টুরেন্টের কাছের জঙ্গলে কুড়িয়ে পেয়েছি এক অনন্যা নামের মেয়ের ব্যাগ থেকে যাকে অনেক খারাপ অবস্থায় ওখানে পাওয়া গেছে এখন তাকে আমরা হসপিটালে ভর্তি করেছি আপনি তাড়াতাড়ি আসুন....
এটা শোনার পরেই আমার ফোনটা হাত থেকে পরে গেলো....
আমি কী করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে অনু আমার জন্য হাসি খুশি বাড়ি থেকে বেরোলো যার রেষ্টুরেন্টে আমার জন্য অপেক্ষা করার কথা ছিলো সে জঙ্গলে আঘাত অবস্থায় পাওয়া গেছে এই রকম কথা শোনার মতো একটুও প্রস্তুত ছিলাম না কিছুক্ষনের মধ্যেই সব কিছু জেনো উলট পালোট হয়ে গেলো। নিজেকে কষ্টে শক্ত করে উঠে দাঁড় করিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম........
আমি হসপিটালে পৌঁছে ইন্সপেক্টর কে বলি আমি রাহুল অনন্যার স্বামী...
ইন্সপেক্টর - ও তাহলে আপনি ...
রাহুল - কী হয়েছে আমার স্ত্রীর ও ঠিক আছে তো ওর কিছু হয় নি তো ( অনেকটা তাড়াতাড়ি ভাবেই কথা গুলো বললাম )
ইন্সপেক্টর - দেখুন আপনি শান্ত হোন আপনার স্ত্রী ঠিক আছে,ওনার সাথে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু ভাগ্য ভালো আশেপাশের লোক দেখতে পেয়ে যাওয়ায় আমাদের জানায়...যান আপনি দেখে আসুন।
আমি ছুটে গিয়ে ওর সাথে দেখা করি কিন্তু আজকের অনুর সাথে আমার অনুর অনেক পার্থক্য আমি যে অনুকে চিনি সে অনেক ছটফটে যার মুখে হাসি সর্বদা লেগে থাকে যে আমার জীবন কিন্তু এ কোন অনু একে তো আমি চিনি না এই অনুর প্রান টায় যেনো কে বের করে নিয়েছে।
আমার রুমে উপস্থিতির কোনো প্রভাব ওর মধ্যে পড়লো না ওর সাথে অনেক কথা বলার চেষ্টা করলাম কিন্তু ও এক মনে রুমটির জানলার দিকেই তাকিয়ে রইল।
আজ চারদিন হসপিটালে থাকার পর অনুকে ছুটি দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেই আগের অনু ফিরে আসেনি প্রথম দিনের মতোই আজ ও একই রকম লাগছে ওকে।
গাড়িতে ওঠার সময় ও পা টা ঘসে উপরে তুললো এই অনুকে দেখে আমি নিজে অনেকটা ভেঙে পড়তে থাকলাম।
সবাই যখন জানলো অনুর সাথে ধর্ষনের চেষ্টা হয়েছিল হসপিটালে ভর্তি ছিল তখন আমাদের আশেপাশের লোক মুখ ফিরিয়ে নিলো আমাদের থেকে । অনেকে তো আমরা বাড়ি ঢোকার সময় নিজেদের বাড়ির দরজা পর্যন্ত বন্ধ করে দিল।
পরের দিন আমি যখন অফিস গেলাম সেখানেও সবাই আমাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে লাগলো কিন্তু কোনো কিছুই আমার উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি কারণ আমি জানি আমার অনু এখন কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই অবস্থায় যদি আমি ওর পাশে না থাকি তাহলে আমি মানুষ হওয়ার যোগ্য নয় আমার তো আশেপাশের লোক ও তাদের কথা শুনে একমুহূর্তের জন্য মনে হলো আমি আদেও একটা শিক্ষিত সমাজে বাস করিত নাকি আশেপাশের সবাই মানুষের ও অধম।
আমি সারাদিন অনুর সাথে নানা ধরনের কথা বলতে থাকি,দিনের বেশিরভাগ সময়টা ওর সাথে থাকার চেষ্টা করি যে সময়টা পারি না সেই সময়টা ওর মা থাকে ওর কাছে।
কিন্তু আমার অনু একটাও কথা বলে না কারো সাথে শুধু সবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে,কিচ্ছু বলে না যেনো মনে হয় ও কোনো শোকের মধ্যে চলে গেছে।মাঝে মাঝে রাতে বা দিনের বেলায় হঠাৎ করে চিৎকার করে উঠত,ভয় পেয়ে জোরে জোরে কান্না করত কিন্তু মুখে কিছু বলতো না।ওর এই অবস্থা আমাকে খুব ভাবাত আর আমি ভাবতাম কবে আমি আগের অনুকে আবার ফিরে পাবো।
এইরকম যে আমাদের সাথে কোনো দিন ঘটতে পারে আমি কোনো দিন ভাবতেও পারিনি।ওকে আমি খাবার খাওয়াবার চেষ্টা করতাম ও খাবার পর্যন্ত খেতে চাইতো না।আর এখনো সেই দিনের অনুর বানানো সবজি,রসমালাই এখনও ফ্রীজে সেইরকম ভাবেই রাখা আছে ওগুলো দেখেই একটা অদ্ভুত রকমের ভালোলাগা সৃষ্টি করে নিতাম ।
একদিন হঠাৎ অনেক জোরে অনুর চিৎকারের আওয়াজ এলো যেটা শুনে আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ওর কাছে ছুটে গেলাম গিয়ে মনে হলো সেইদিনের ঘটনা যেনো ওর সামনে ঘটে চলছে । অনু চিৎকার করে বলে চলেছে আমাকে বাঁচাও না হলে ওরা আমাকে মেরে দেবে এই সব অনেক ধরণের কথা ওর মনে আসতে থাকলো এই সময় অনুর সব থেকে ভালোবাসা আর নিজের লোকের প্রয়োজন ছিলো আর আমি সেটা দিতে থাকলাম।
আমি অনুকে প্রতি দিন,প্রতি ঘন্টা ওকে একটু ভালো আর আনন্দে রাখার চেষ্টা করতাম কিন্তু অনুর মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখতে পেতাম না ও যেনো নিজের কাছে হেরে গেছে আর ওর হেরে যাওয়া দেখে আমিও কোথাও না কোথাও হেরে যেতে থাকলাম।
এই সব ঘটনা ঘটে যাওয়া অনেক গুলো মাস পেরিয়ে গেছে ,আর প্রতি দিন ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর ও আমার দিকে।
হঠাৎ একদিন অনুর আওয়াজ আমি শুনতে পেলাম,মনে হল জেনো আমাকে কেউ ঘুমথেকে ওঠানোর চেষ্টা করছে যখন আমি নিজের চোখ খুললাম তখন জানেন আমার অনু আমার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো ।
আর ওর হাতে সেই একই রকম ফুলের সেট আর মুখে মিষ্টি হাসি আর বলে উঠল শুভ বিবাহবার্ষিকী রাহুল। সেই নীল রঙের চুড়িদার,সাদা উড়না,কানে ঝুমকো,কপালে কালো ছোটো টিপ।
আর আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয়ে উঠছিলো না যে আমার অনু সেই আগের অনু আমার সামনে দাঁড়িয়ে যে নিজের সাথে নিজের যুদ্ধে জয়ী হয়েছে।আমার খুশি যেনো সব কিছুর লাগাম ছাড়িয়ে বেরিয়ে আসছিল আর এই খুশির চাপে কোনো শব্দ ও বেরিয়ে আসছিলো না অনেক কষ্টে বেরিয়ে এলো "শুভ বিবাহবার্ষিকী অনু" আর একটা নতুন জীবনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর এটা বলেই আমরা একে অপরকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলাম আর এই কান্নার মধ্যেও ও আমাকে অনেক কিছু বলে গেলো আর এই ভাবেই আমার অনু তার নতুন জীবন শুরু করলো।
আর আমার এই শেষ চাওয়া আমার এই ছটফটে,প্রানবন্ত,পাথরকেও হাসিয়ে দেওয়া অনু জেনো কোনো দিন না হারিয়ে যায়।
আর আমি ঋতু আপনাদের বলছি আপনাদের পাশেও এইরকম অনু আছে যারা একসময় অনেক প্রানবন্ত ছিল কিন্তু নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনায় তারা হারিয়ে গেছে তাদের খুঁজে বের করুন আর তাদের সেই হারিয়ে যাওয়া হাসি কে ফিরে পাওয়ার জন্য একটু সাহায্য করুন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
আর সমাজের উদ্দেশ্য বলছি ধর্ষিতা কে বাঁচতে দিন কারন একটা ধর্ষনকান্ডে তার এক শতাংশও দোষ থাকে না যাদের একশো শতাংশ দোষ থাকে তাদের শাস্তি দিন ।
শিক্ষিত হচ্ছেন সেই শিক্ষা শুধু মাত্র টাকা রোজগারে কাজে লাগালে হবে একটু সমাজের সঠিক সিদ্ধান্তে লাগান।