সম্পর্কের মান
সম্পর্কের মান
ছোটো থেকে মা-বাবার ঝগড়া দেখতে দেখতে বড়ো হয়েছি তাই বিয়ে করার ইচ্ছে একদম নেই বললেই চলে,একা আছি বেশ ভালো আছি দুকা হয়ে কে অশান্তি ডেকে আনবে বলুন।কিন্তু সে ভালো থাকা আমার কপালে নেই মা মরা মুখের দিব্বি দিয়ে বিয়েতে রাজি করিয়েছে সেই পাত্র পক্ষ ই আজ দেখতে আসবে..
তার জন্য সকাল থেকে বাড়ি গুছানো হচ্ছে জেনো আমাকে না এই আধ ভাঙা বাড়িটাকে দেখতে আসছে।আধভাঙা বাড়ি এইজন্য বললাম কারন দাদুর তৈরি বাড়ি। আমরা তো এখানে থাকি না,এই বাড়িতে আমার আধ ক্ষ্যাপা এক কাকা থাকে সেই সারাদিন কাজের অভাবে বাড়ির অংশ হাতুড়ি নিয়ে ঠুকে বেড়ায় যার ফলে বাড়ির আজ এই দশা।কেইবা তাকে বলতে যাবে যদি হাতুড়ি নিয়ে তার পিছনে ছুটে আসে সেই ভয়ে কেউ তাকে কিছু বলে না যা করছে করুক।
আমরা কালকেই এই বাড়ি এসেছি,আমরা থাকি শহরে প্রথমে ভাড়া বাড়িতে উঠে ছিলাম তবে এখন বাবা বাড়ি করে নিয়েছে মায়ের পছন্দে।মায়ের পছন্দেই তো আমাদের বাড়িতে শেষ কথা সে সামনে বাবা থাকুক বা আমি বা ভাই রাজি না হয়ে উপায় নেই।আজ যে পাত্র আসছে সেও মায়ের পছন্দ ই বড়ো কম্পানিতে একাউন্টের পদে চাকরী করছে এই ২৭ বয়স তবে ছেলে বুদ্ধিমান যার ফলে অল্প বয়সেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিতে পেরেছে।আসলে ছেলের বাড়ি আমাদের গ্ৰামের বাড়ির পরের গ্ৰামেই যার জন্য আমাদের গ্ৰামে আসা,মায়ের বান্ধবী বানী মাসির কোন এক আত্মীর ছেলে।
আমার বয়স এই ২২, গ্রাজুয়েশন শেষ করে মাষ্টার্স জন্য ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিয়েছি দেখা যাক কপালে কোন কলেজ আছে,আমি ইতু বিশ্বাস। নামে বিশ্বাস থাকলে কী হবে,নিজেকে একটু ও বিশ্বাস করি না এই যে ছেলে দেখতে আসছে তাকে নিজের মুখ না দেখানোর জন্য কত কিছুই না করেছি।রোদে ইচ্ছা করে ঘুরে গায়ের রং কালো করার থেকে শুরু করে, বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড কে নিজের বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে মায়ের কাছে আনা আর ও কত কি।তবে যেই মা দিব্বি দিলো অমনি রাজি হয়ে যে বান্ধবী র বয়ফ্রেন্ড নিয়ে এসেছিলাম ভাড়া করে সেই বান্ধবীকে নিয়েই শাড়ীর দোকানে দামী শাড়ী,তার ম্যাচিং করা কানের দুল সব নিয়ে সোজা গ্ৰামের বাড়ি হাজির। আর সকাল থেকে সবার আগে তৈরি হয়ে এতবার আয়নার সামনে যাচ্ছি যে এবার আয়নাও চোখ বন্ধ করে নিয়ে বলবে"মা তুই এবার যা".....
নীচ থেকে গাড়ীর হর্ণ পেলাম নিশ্চয় ছেলের বাড়ি হাজির আচ্ছা ছেলে যদি টেকো হয় তাহলে...?আমি তো শুনেছি যার টাক যত বেশি তার টাকাও নাকি তত বেশি কিন্তু আমার বাবার তো টাক নেই মানে বাবার টাকাও নেই তাহলে কী ও বাড়ির সামনে যে মদনদাদু চা বিক্রি করে তার তো মাথার চুল গোনা যাবে মানে তার টাকার ফেক্টরী আছে....( আমি না বড্ড বেশি বকবক করি বলুন..? )
এবার না একটু ভয় লাগছে কী হবে কে জানে মা তো বলছিলো ওই ছেলের বাড়ির সবাই আমাকে দেখেছে শুধু ছেলে বাদে দেখা যাক কী আছে আমার কপালে ওই ছেলের দেওয়া সিদুঁর নাকি মায়ের হাতের মার....
মা ওদের জল খাবার দেওয়ার ফাঁকে আমাকে এসে নিয়ে গেলো বসার ঘরে,এখন আমি হয়েছি বসার ঘরের টেবিলে রাখা ফুলদানি,যদিও সেই ফুলদানিটি দামী হলেও কেউ দেখে না এতো ভালো করে তবে আমাকে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সামনে রাখা কোনো ভাইরাসের মতো দেখা হচ্ছে।বাবা ছেলেটিকে সাথে করে উপরে নিয়ে যেতে বললো, যাতে সে আর আমি নিজেদের মধ্যে কিছু কথা বলতে পারি এবার আমি একদম শক্ত হয়ে গেছি সকাল থেকে অনেক ফাজলামি করেছি আর না এবার ভালো করে সব বুঝতে হবে সারাজীবনের সাথীকে যাচাই করতে হবে আর বুঝতে হবে কোন কারনে মা-বাবার মধ্যে এতো ঝগড়া।
"আমার নাম তমাল ঘোষ...আর তোমার নাম তো ইতু শুনেছি মায়ের কাছে আর কোনো অন্য নাম আছে নাকি..?"
সেই উপরে এসে আগের থেকে কথা বলা শুরু করলো আমি চুপ ই ছিলাম তবে প্রশ্ন যখন করেছে উত্তর তো দিতেই হবে...
"না আমার নাম ইতু বিশ্বাস ই সব জায়গায় আর কোনো নাম নেই,কেনো নাম টাতে কী কোনো অসুবিধা আছে বুঝি..?"
"না না অসুবিধা থাকতে যাবে কেনো তোমার নাম তো বেশ ছোটো আর সুন্দর.. আর আমাদের গ্ৰামে ইতু ঠাকুর পূজাও হয়"
বাঃ ছেলেটাতো বেশ ভদ্র বলে মনে হচ্ছে,কী জানি ভেজা বেড়াল ও তো হতে পারে...( মনে মনেই বিড়বিড় করলাম)
"কিছু বলছো,জোরেই বলো এখানে তো কেউ নেই..তোমার তো অধিকার যাকে সারাজীবনের জন্য সাথী বানাবে তাকে একবার যাচাই করে নেওয়া.."
"হম সে তো নিশ্চয়..আচ্ছা আপনার কাছে একটি সম্পর্কে কোন জিনিস গুলি থাকা উচিত বলে মনে হয়..?
" আমার কাছে সম্পর্কে সব থেকে বেশি দরকার বন্ধুত্ব কারন এক সত্যিকারের বন্ধু ই পারে অপর বন্ধুকে বুঝতে,তারপর সম্মান একে অপরকে যদি সম্মান করা হয় ঠিক ভাবে তবেই সেই সম্পর্কের সৌন্দর্য্য বিরাজ করে আর রইল বিশ্বাস যা একদম কাঁচের মতো একটু নড়চড় হলেই ভেঙে যাবে জোড়া লাগলেও ফাঁক আর জোড়া লাগানোর দাগ ঠিক দেখা যাবে,আর ভালোবাসা যা একজন স্বামী তার স্ত্রীকে আর স্ত্রী স্বামী কে করলে কারোর কোনো ক্ষমতা নেই সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর"
আমি ওনার উত্তর শুনে একদম অবাক হয়ে গেছি,উত্তর শুনতে শুনতে তার. কথা ও চেহারাতে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম ..না তার টাক নেই তবে তার যদি টাকাও না থাকে তাতেও কোনো অসুবিধা নেই তার কথা শুনে যা বুঝলাম তিনি বেশ জ্ঞানী এই রকম মানুষকে যদি জীবনসাথী হিসেবে পাওয়া যায় তাহলে তো জীবনে কোনো দিন অশান্তি আসতেই দেবে না....
" কী হলো চুপ করে আছেন যে উত্তর বুঝি পছন্দ হয় নি,যদি পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করবেন তবে আমার উত্তর এই একই থাকবে.."
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই বানী মাসি এসে আমাদেরকে আবার নীচে বসার ঘরে নিয়ে গেলো।আরও কিছুক্ষন বড়োদের মধ্যে কথা হওয়ার পর তারা সবাই চলে গেলেন।আমরাও পরের দিন শহরে ফিরে এলাম যেহেতু বিয়েতে প্রথমে রাজি হতে চাইনি তাই সেদিন ছেলের বাড়ি কী বলেছে সেই বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি আমি যদিও কথার ফাঁকে মাঝে মাঝে জানার চেষ্টা করেছি মায়ের কাছ থেকে তবে বের করতে পারিনি তার থেকে যদি আমি কোথাও সিন্ধুক ভাঙার চেষ্টা করতাম তাহলে সেই সিন্ধুক ও ভেঙে যেতো।
আজ প্রায় কুড়ি দিন হতে চললো গ্ৰামের বাড়ি থেকে আসা তবে আজ হঠাৎ বাবা বাজার থেকে বেশ বড়ো সাইজের মাছ আর প্রায় এক কেজির মতো খাঁসির মাংস নিয়ে এলো ব্যপার টা আমার বেশ ভালো লাগলো না কারন বাবার তো প্রেসারের জন্য মাংস খাওয়া বারন আর যদি মাংস খেতেই হয় তাহলে তো চিকেন আসে আজ হঠাৎ খাঁসি কেনো।আমার আজ আবার নতুন কলেজ যাওয়ার তাড়াহুড়ো ছিলো তাই আর এই বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে চলে যায়।
কলেজে আজ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার ছিলো তাই বেশি সময় লাগেনি,বাড়ি যাবো তাই বাস ধরার জন্য বাস স্টপেজ এ দাঁড়িয়ে আছি।বাস আসতে দেরি করছিলো তাই একটা বসার জায়গা দেখে বসে বসে ফোনে নিউসফিড স্ক্রোল করছিলাম হঠাৎ দেখি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাইক টানা হর্ণ মেরে যাচ্ছে আমি একবার মাথা উপরে তুলে তাকালাম তখন হর্ণ বন্ধ হলো আবার ফোনের দিকে নামাতেই বেজে চলছে।আমার পাশে বসে থাকা মহিলা আমাকে বলে উঠল "এই যে ও তোমাকে ডাকছে( বাইকের দিকে আঙুল দেখিয়ে)"
আমাকে ডাকছে....আমি কাঁচুমাচু করে উঠে গিয়ে বাইকের সামনে দাঁড়ালাম,বাইকের মানুষটি হেলমেটের কাঁচ তুলে নিজের মুখ দেখালেন...এ যে সেই চোখ যে চোখের খোঁজ আমি কদিন ধরেই নিতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি....
"এই যে ম্যডাম বাড়ি যাবে তো উঠে বসো নামিয়ে দেবো"
আমি উত্তরে কিছু না বলেই বাইকে উঠে বসলাম...হাত কোথায় রাখবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না...
"কাঁধে রাখতে পারো..আমি কিছু মনে করবো না আর তাছাড়া বাইকের পিছনের সিট আর কাঁধে হাত রাখার অধিকার আমি এখনও কাউকে দিইনি"
আমি তার কথায় হালকা হাসি হাসলাম আর চোখ বাইকের আয়নায় যেই পড়লো দেখি সেই চোখ জোড়া আমার দিকেই তাকিয়ে....
বাইক চলতে থাকলো এসে থামলো আমার বাড়ির সামনেই..আমি তো তাকে বাড়ির ঠিকানা বলিনি তাহলে তিনি জানলেন কী করে আমার বাড়ির ঠিকানা....?বাইক থামা মাত্র ই আমি তাড়াতাড়ি ধন্যবাদ বলে সোজা ছুটলাম বাড়ির ভিতর আসলে হঠাৎ কেনো খুব লজ্জাবোধ করছিলো আমার....
বাড়ির ভিতরে যেতে ই মা চেঁচিয়ে উঠল..."ইতু তোর ফোন কোথায়..?"
কেনো মা..?
"কেনো আবার তোকে কতবার ফোন করেছি সেটা একবার ও দেখিস নি নাকি...আর তোর সাথে কথা বলার সময় নেই রুমে জামা রেখে দিয়ে এসেছি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নীচে আয়.."
মায়ের কথা আমার মাথার জাষ্ট উপর দিয়ে গেলো...কী আর করবো মায়ের হুকুম তাই আর দ্বিতীয় কথার অপেক্ষা না করেই সোজা রুমে গিয়ে তৈরি হয়ে নীচে এলাম...
বসার ঘর থেকে বেশ কথাবার্তা আওয়াজ ভেসে আসছে তাই সেইদিকেই পা বাড়ালাম...দরজার সামনে দাঁড়াতেই চোখ ছানাবড়া কারন যার বাইকে চেপে বাড়ি এলাম সেই মানুষটিই আমার বাড়ির সোফাসেটে বিরাজমান।
"ইতু দেখ তমাল এসেছে,সেদিন তো তোদের আলাপ হয়েছিলো তাই না মা."
হমম বাবা
"আজ ওকে আমাদের বাড়িতে নিমন্ত্রন করেছি তোর মায়ের হাতের রান্না ও খেয়ে দেখুক, যে ওর হবু শাশুড়ী মা কেমন রান্না ওকে খাওয়াবে ভবিষ্যতে জামায়ষষ্টীতে...কী বলিস মা ভালো করেছি না বল"
হমম ভালো করেছো বাবা...আর মা তো ভালো রান্না করে তাই না...মায়ের হাতের রান্না র কী কেউ আজ পর্যন্ত বদনাম করেছে....
"চিন্তা করবেন না আমি ও করবো না"সে বলে উঠল
খাওয়া দাওয়ার পর.....
"ইতু তমালকে নিয়ে যা একবার পুরো বাড়িটা একবার ঘুরে দেখিয়ে দে"
হমম বাবা...আসুন আমার সাথে...
আচ্ছা আপনি আমায় বলেন নি কেনো যে আপনি আমাদের বাড়ি আসছেন..?আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম
"যদি বলতাম তাহলে কী তুমি ধন্যবাদ বলে ছুটে চলে আসতে না.."
না সেটা না...(ওনার কথায় কেমন একটু লজ্জা লজ্জা বোধ হলো)
"তাহলে..?আচ্ছা তুমি এভাবে পালিয়ে পালিয়ে কেনো বেড়াচ্ছো বলো তো..?আমাকে কী তোমার পছন্দ না..?"
আমি কী সে কথা বলেছি নাকি...
"পছন্দ আছে সেটাও তো বলো নি আর তাছাড়া সেদিনের পর আজ দেখা হলো তাও তো তুমি আপনি বলা ছাড়ো নি"
সব কথা কী মুখে বলতে হয়..?( লজ্জায় গাল গুলো পুরো লাল হয়ে উঠেছে ) আর এতো জলদি তুমি বলা যায় নাকি অচেনা কাউকে...
"ও মানে তোমার আমাকে পছন্দ হয়েছে...এখনও অচেনা বলছো, কই আমি তো তোমাকে প্রথম দিন থেকে তুমি করেই বলছি"
না অচেনা না তবে আমি তো আপনার না মানে...তোমার ব্যপারে সব কিছু জানিনা...
"বলো কী জানতে চাও সব বলবো...তবে সরি আমি কিন্তু তোমার অজান্তেই তোমার ব্যপারে সব কিছু জানি প্রায় বলতে গেলে..যেমন. তুমি কোন কলেজে এখন পড়ছো,তোমার ঘুরতে যাওয়ার মধ্যে পাহাড় পছন্দ, চা তৈরি করতে পছন্দ করো তবে খেতে কফি,ফাঁকা সময় বিভিন্ন ধরনের ছবি একে খাতার পাতা ভরাও...শহরের বদ্ধ পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছো তবে গ্ৰামের খোলামেলা পরিবেশে মন খুলে নিশ্বাস নাও...আর ও অনেক কিছু, বলবো নাকি..."
বাব্বা আপনি অনেক কিছু জানেন তো,এতো কিছু মনে হয় আমিও জানি না আমার ব্যপারে....আচ্ছা জীবনে কোনো দিন কাউকে ভালোবেসেছেন...?
"হমম একজন বেসেছিলাম যখন স্কুলে পড়তাম তবে সেটা ভালোবাসা ছিলো নাকি ভালোলাগা সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি" আর তুমি...
না এখনও সেরকম কাউকে পাইনি জীবনে...
"ভালো...দেখো আগে কাউকে বাসতে পারো কী না..." চলো আজ তাহলে উঠি....ফোন নাম্বারটা...না থাক...
৭৪........ আমার নাম্বার যখন সময় পাবেন তখনই করতে পারেন আমি ফ্রী থাকি সব সময়.....চলুন....
এরপর থেকে তমাল আর আমার প্রায় ফোনে কথাবার্তা হতে থাকলো ও ব্যস্ততার মাঝে মাঝে ফোন করতো আর না হলে আমিই রাতের খাওয়া দাওয়ার পর করতাম...এই ভাবে প্রায় এক-দেড় মাস হলো।এই দেড়মাসে তমাল থেকে 'ও'
তে দাঁড়িয়েছে সম্পর্ক।ও আমাকে ইতু ই বলে,দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্কের জন্য যা যা দরকার সবেই আছে বন্ধুত্বের বন্ধন,সম্মানের সৌন্দর্য্য,বিশ্বাসের মান আর ভালোবাসার অধিকার....আগামী ফাল্গুনের ১৭ তারিখ বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে...দুজনেরই চেষ্টা থাকবে সম্পর্কের মান বজায় রাখা....এবং অশান্তি বিহীন একটা সুন্দর পরিবার গঠন করার......

