হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল
হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল
জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এঁকে বেঁকে পায়ে চলা পথটা ধরে এগিয়ে চলেছে পৃথা। একটানা ঝিঁঝিঁর ডাক আর শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। সামনের বাঁকটা ঘুরলেই ঢেউ খেলানো ঘাসজমি খাদের দিকে গড়িয়ে নেমেছে। এখানে ওখানে দু চারটে লম্বা ঝাউগাছ মাথা তুলেছে। ঐ খাদের ধারে একটা কাঠের গুঁড়িতে বসে দূরের তুষার-ধবল শ্বেতশুভ্র পাহাড়টার দিকে তাকিয়ে থাকতে পৃথার ভীষণ ভালো লাগে। এই পাহাড়ি ছোট্ট গ্ৰামটা পৃথার খুব ভালো লেগেছে। আগেও একবার এসেছিল । নীল আকাশে এক ঝাঁক পাখি উড়ে গেলো। ওধারে দুটো নাম না জানা পাখি ঝগড়া করছে।
-"তুই আবার একা একা এখানে চলে এসেছিস !! কতবার বলেছি একা আসবি না , আমাদের বলবি!! যদি কোনো বিপদ হয় !!" মা নিপা দেবী এসে দাঁড়ায় পৃথার কাছে।
পৃথা মাকে দেখে একটা মিষ্টি হাসি ছুঁড়ে দিয়ে ঠোঁঁটের উপর হাত রেখে চুপ করতে ইশারা করে। কাঠের গুঁড়িতে বসতে বলে হাতের ইশারায়।
-"কানের মেশিনটা তো পরে এসেছিস। আমার কথা গুলো শুনতে পেলি !! একটা বিপদ যদি হয়ে যায়...."
গজ গজ করতে থাকে নিপাদেবী। জ্বালা কি ওনার কম!! একমাত্র মেয়ে পৃথা জন্ম থেকেই কানে শোনে না , কথাও বলে না। কত ডাক্তার , কত মন্দির ঘুরে ওনারা অবশেষে মেনে নিয়েছেন মেয়ের এই প্রতিবন্ধকতা কে। অবশ্য পৃথার বাবা অমিত বাবু মেয়েকে পিছিয়ে পড়তে দেননি কখনো। ওকে স্পেশাল স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি নর্মাল পড়াশোনাও করিয়েছেন। মেয়েটাও ছিল ভীষণ বুদ্ধিমতী। জীবনে কখনো দ্বিতীয় হয়নি পৃথা। নাচ, ছবি আঁকা, খেলাধুলায় ও প্রথম সারিতে থেকেছে সব সময়। দেখতেও মেয়ে অপূর্ব সুন্দরী। একটা প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়ায় পৃথা। প্রাইভেটে এম-এ পড়ছে।
একটু পরেই অমিতবাবু কয়েকটা কমলালেবু হাতে এগিয়ে আসেন ওদের কাছে।
-"তাহলে মেয়েকে কেউ চুরি করেনি, হারিয়েও যায় নি!! " একটু ঠেশ দিয়েই নিপা দেবীকে কথাটা বলে হাসতে থাকেন।
পৃথা বাবার হাত থেকে একটা কমলা নিয়ে ঘাস জমিতে নেমে যায় তরতরিয়ে।
-"ঐ দেখো, আবার ছুটলো!! বলি পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙ্গলে কি হবে!! তুমি আরো আদর দিয়ে দিয়ে মাথায় তোলো !!" ,নিপা দেবী মেয়ের কান্ড দেখে বিরক্ত হন।
-"আহা, এই তো বয়স!! ও ছুটবে , খেলবে, ঘুরবে। এতে এতো বাধাই বা দেবো কেন? ও আর পাঁচটা মেয়ের মতোই স্বাভাবিক, এটা মেনে নিতে তোমার আপত্তি কোথায়? " কমলার খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে অমিত বাবু বলেন।
-"মেনে তো নিয়েছি। এখন একটাই চিন্তা, আমাদের অবর্তমানে ওর কি হবে? একটা ভালো পরিবারের ছেলে যদি ওর দায়িত্ব নিত." নিপা দেবীর গলাটা ধরে আসে।
-"এতো ভাববে না। মেয়েকে আমি নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। ও স্বাবলম্বী, সব বোঝে, কানের মেশিন দিয়ে শুনতেও পায়। আর প্রয়োজনীয় কথা গুছিয়ে বোঝাতেও পারে। আমি ওর বিয়ে নিয়ে ভাবি না।"
-"আমি যে মা। একদিন আমরা থাকবো না, সেদিন ওর কে থাকবে বলো? সব মা চায় মেয়ের ভাল বিয়ে হোক ." চোখের কোণ ভিজে ওঠে নিপা দেবীর।
-"ঐ যে, মেয়ে আসছে। চোখ মোছো বলছি। ওর সামনে এসব একদম নয়। " দৌড়ে ফিরে আসছে পৃথা। পাখিরাও সব কুলায় ফিরছে, ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে পড়বে এই পাহাড়ের বুকে। হাল্কা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। হোটেলে ফিরতে হবে এবার। উঠে পড়েন অমিতবাবু।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর কাঠের ছোট্ট ঝুলন্ত বারান্দায় বসে অমিতবাবু চাঁদের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতে ভাবছিলেন মেয়ের কথা। বাইশ পূর্ণ হল। তবে কি এবার সত্যি মেয়েটা পর হয়ে যাবে!! কিন্তু যে যত্নে মেয়েকে তিনি মানুষ করেছেন এতো ভালবাসা দিয়ে এভাবে মেয়েকে কে রাখবে? সুস্থ সবল মেয়েগুলোর ওপরেই শ্বশুর বাড়ি কি অত্যাচার করে সব সময় খবরে দেখা যায়!! এ মেয়ে তো যতই ভালো হোক রেগে গেলেই জেদি, একগুঁয়ে। কে বুঝবে ওনার মতো করে ওনার মেয়েকে ?
পৃথা কখন পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিল উনি বোঝেন নি। পাতলা কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে দিয়ে মাথার টুপিটা ঠিক করে দিল মেয়ে, তারপর ইশারায় জানতে চাইলো কি হয়েছে?
অমিত বাবু ইশারায় মেয়ের সাথে গল্প শুরু করলেন। ছোটর থেকে বাবা আর মেয়ে এভাবেই মনের ভাব প্রকাশ করে এসেছে। অমিত বাবু স্পষ্ট শুনতে পান মেয়ের অনুচ্চারিত কথাগুলো। হৃদয়ের থেকে ভেসে আসে ওর সব কথা। কান পাতলেই অমিত বাবু সেসব বুঝতে পারেন। মাঝরাত অবধি চলে বাপ মেয়ের আড্ডা।
পাশের কটেজের একটা অল্প বয়স্ক বৌ যে ওনাদের দু দিন ধরে লক্ষ্য করছেন ওনারা খেয়াল করেন নি। দুএকবার পৃথার সাথে বৌটার চোখাচোখি হলেও পৃথা লাজুক হেসে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
পরদিন সকালে সামনের লনে চা নিয়ে বসেছিলেন অমিতবাবু আর নিপা দেবী। পৃথা তো চঞ্চল, উচ্ছল একটা ঝরনার মতো সর্বদা ছুটে বেরাচ্ছে। একটা খরগোশকে তাড়া করে এদিক ওদিক ছুটছিল ও।
-"কিছু মনে না করলে আমরা কি একটু এখানে বসে গল্প করতে পারি ?" যুবক আর যুবতীর দিকে চোখ তুলে তাকান অমিত বাবু।
অল্প বয়সী কাপল্, ওধারের কটেজে উঠেছে। আগেই দেখেছিলেন উনি। হেসে বললেন-" বসুন না প্লিজ। আমাদের ভালো লাগবে গল্প করতে।"
-"আমি অনয় চ্যাটার্জী, আমার স্ত্রী ঋতুশ্রী । আমরা কলকাতায় কেষ্টপুরে থাকি।" বসতে বসতে যুবক নিজেদের পরিচয় দেয়।
-"আমি অমিত দেব, আমার স্ত্রী নিপা, তোমাদের প্রতিবেশি বলতে পারো, দমদম পার্কে বাড়ি। ঐ আমার একমাত্র মেয়ে পৃথা।" মুহূর্তের মধ্যে আলাপচারিতায় গল্প জমে ওঠে। অনয় ইঞ্জিনিয়ার, সেক্টর ফাইভে কাজ করে, ওর বৌ একটা মন্টেসারী স্কুলে পড়ায়। একবছর বিয়ে হয়েছে। বাবা এয়ার ফোর্সে ছিলেন। রিটায়ায় করে সিকিউরিটি কোম্পানি খুলেছেন। মা আর ভাই আছে বাড়িতে।
পরের দিনটা ভালোই কাটলো, অনয়রা চলে গেলো সিকিমের পথে। পাঁচদিন প
রে কলকাতা ফিরবে। পৃথারা কলকাতা ফিরে এলো।
সব কাজের শেষে তনয়ের ঘর একবার ঘুরে প্রভাদেবী রোজ শুতে যায়। তনয় বড্ড অগোছালো, নিজের জিনিস কটা এখনো গুছিয়ে রাখতে শেখেনি। রঙ তুলি আর লেখালেখি ওর জীবন। সারাক্ষণ এঁকে চলেছে, নয়তো কবিতা লিখছে। একটা আর্ট কলেজে পড়ায় ও। সাতাশ বছর বয়স হলো কিন্তু এখনো শিশুর মতো সরল।
ছেলের ঘরটা একটু গোছগাছ করে ওর গায়ের চাদরটা টেনে প্রভাদেবী ফিরে আসেন নিজের ঘরে।
ঠাকুর প্রনাম করে রোজ একটাই প্রার্থনা করেন -"আমার তনয় কে তুমি দেখো ঠাকুর।"
ছেলের চিন্তায় সুগার প্রেশার সব ঘেঁটে বসে আছে।
মলয় বাবু আড় চোখে স্ত্রীকে দেখে বললেন -"এ বার ছেলের একটা বিয়ে দিয়ে চিন্তা মুক্ত হও। কতোদিন আর কোলের ছেলে করে রাখবে?"
-"বিয়ে !! বৌ আসলেই সব ঠিক হবে বলছ!! ডাঃ বরুয়ার ছেলের কথা ভুলে গেলে ?"
ওনাদের ঠিক উপরের ফ্ল্যাটে থাকতেন ডাঃ বরুয়া আর ওনার ছেলে। ছেলেটি প্রফেসার। কয়েকমাস আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের একমাস পর মেয়েটা বধু নির্যাতনের কেস করে শ্বশুর স্বামীকে জেলে পুরে টাকা পয়সা গয়না নিয়ে হাওয়া। সবাই অবাক, এত ভদ্র ফ্যামিলিতে এসব কেচ্ছা!! ডাঃ বরুয়ার স্ত্রী বহু বছর আগে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে মারা গিয়েছিলেন। সে সব স্ক্যান্ডাল উঠে এসেছিল এবার।
-"অন্যের ঘরে কি হয়েছে দেখে ছেলের বিয়ে দেবে না!! কে দেখবে ওকে তোমার অবর্তমানে? এখন থেকে একটা গরীব ঘরের মেয়ে এনে সব শিখিয়ে পড়িয়ে নাও।" মলয় বাবু শুয়ে পড়েন।
ঘুম আসে না প্রভাদেবীর চোখে। ছেলের চিন্তায় কাতর মা ভেবে ভেবে কোনো কুল কিনারা পায় না।
সুস্থ স্বাভাবিক ছেলেগুলোকে আজকালকার মেয়েরা নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে। তার তনয় যে জন্ম থেকে কথা বলতে এবং শুনতে পায় না!!
সাত মাসের ছেলে পেটে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন উনি। বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রিম্যাচিওর বেবিকে বাঁচানোটাই ছিল ডাক্তারদের প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য। পাঁচ মাস থেকে সন্দেহটা শুরু হয়েছিল!! তারপর ডাক্তার বদ্যি সব করেও কিছুই হয়নি। বেহালায় থাকতেন তখন, ভালো স্কুলে পড়িয়ে ছেলেকে বড় করেছেন। চাকরীও করে তনয়। বড্ড মা নেওটা। মাকে চোখে হারায় সর্বদা। ছেলেকে ছেড়ে একটা দিন কোথাও যাননি উনি।
ঋতুশ্রীর ইশারায় কথাটা তুলেছিল অনয়। ঘুরতে গিয়ে কি করে অমিত বাবুদের সাথে আলাপ, পৃথার কথা, সব খুলেই বলেছিল বাবা মাকে। পৃথার ফটো মোবাইলে দেখিয়েছিল।
কিন্তু প্রভাদেবী কিছু শুনতেই রাজি নন। ওনার বক্তব্য প্রতিবন্ধী ছেলের বিয়ে কখনো প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে হতে পারে না। কে কাকে দেখবে? ভবিষ্যতে বাচ্চারাও যদি প্রতিবন্ধী হয় !! তাছাড়া দুজনেই যদি কথা না বলতে পারে একসাথে কোথাও গেলে কত প্রবলেম হবে!! এক কথায় বিষয়টা নাকচ করে দিলেন উনি।
অনয় বেরিয়ে যেতেই ঋতুকে ডেকে মলয় বাবু পুরো ব্যাপারটা শুনেলেন আবার। অনেক্ষণ চিন্তা করে বললেন-"তোমরা ওনাদের তনয়ের কথা বলেছো?"
-"না বাবা, কিছু বলি নি।" ঋতু ছোট্ট করে বলে।
রাতে শুয়ে অনয় বলে -"মা হয়তো ঠিক বলছে। ভাইয়ের সাথে আমরা হয়তো সুবিচার করছি না।"
-''একটা নর্মাল মেয়ে এসে সারাক্ষণ ভাইকে কথা শোনাবে, ওকে করুণা করেছে বুঝিয়ে দেবে, আমাদের সাথে ঝগড়া করবে, তোমার মায়ের উপর কথা বলবে ."
ঋতুর কথা শেষ হওয়ার আগেই অনয় বলে -"তাই হবে এমনটাই ভাবছ কেনো? ভালো মেয়েও তো হতে পারে ?"
-"রাখো তো!! এমনিতেই তোমার ভাই রগচটা, এটা ছুড়ছে, ওটা ভাঙ্গছে। মায়ের আঁচল ধরে বসে রয়েছে। ওর ঐ সব ইঙ্গিতে কথা মা ছাড়া আর কে বোঝে? ভালো ফ্যামেলি, একমাত্র মেয়ে, দেখতেও সুন্দরী, চাকরী করে , আর কি চাই ?"
-"বাদ দাও। তোমার কি লাভ?"
-"আমার লাভ !! ভবিষ্যতে তো আমাদের ঘাড়েই উঠবে!! মা যখন থাকবে না কে দেখবে ওকে ?"
-"ছিঃ ঋতু, আমার ভাই তনয়......"
-"আমি খারাপ কি বলেছি? একটা ভালো মেয়ে খুঁজে দিয়েছি। প্রতিবন্ধীর সাথে এমন মেয়ের বিয়েই মানায়। তোমার মার সাথেও বোবা বৌ ঝগড়া করবে না!! আমাকেও কিছু বলবে না.....-"তনয়ের ব্যাপারে মায়ের কথাই শেষ কথা। বাদ দাও" পাশ ফিরে শোয় অনয়। ঋতুকে কাছে টানে। ভাইএর বিয়ে নিয়ে তার তেমন মাথাব্যাথা নেই আপাতত।
বিগ বাজারেই মলয় বাবুর সাথে অমিত বাবুর আলাপ হয়েছিল । ঋতু শনিবার শ্বশুরকে নিয়ে মাসের বাজার আনতে গেছিল। পৃথা আর অমিতবাবুও গেছিল। মলয় বাবুর পৃথাকে বেশ লাগে। বারবার করে পরদিন বিকেলে ওনাদের চায়ের নিমন্ত্রন করেছিলেন নিজের বাড়িতে।
এরপর পৃথা আর তনয় কাছাকাছি আসতে সময় নেয়নি। ফেসবুক হেয়াটস আ্যপ এসব আজকাল কথা বলিয়ে নেয়। এসব ক্ষেত্রে মৌনতাই এখন প্রেমের মাধ্যম। ইশারায় ওদের এত বকবক করতে দেখে প্রভাদেবী লজ্জাই পাচ্ছিলেন। তবে মেয়েটা ভীষণ চঞ্চল। হাসিখুশি। ও যে কথা বলতে পারে না বোঝাই যায় না। শিক্ষিতা, চাকরী করে। দু হাত জোড় করে ঠাকুরকে ধন্যবাদ দেন উনি।
ছয়মাসের মাথায় চারহাত এক করে দুই পরিবার নিশ্চিন্ত হয়। ততদিনে প্রভা দেবীও বুঝে গেছিলেন পৃথাই তার ছেলের জন্য যোগ্য। ছেলেও মায়ের আঁচল ছেড়ে গুটিগুটি বেরিয়ে এসে পৃথার হাত ধরেছিল। কথা বলতে না পারাটা ওদের কাছে কোনো বাধাই নয় আসলে। এই প্রতিবন্ধকতা তো ওরা বহুদিন আগেই কাটিয়ে উঠেছে। দুজন যে দুজনের মনের কথা শুনতে পেয়েছে ততদিনে।
অবশেষে অনেক আলোচনার পর ঠিক হল আবার সেই রিশপ, পৃথার স্বপ্নের পাহাড়। পৃথার পুরোটাই চেনা। তাই ওখানেই হবে মধুচন্দ্রিমা।
চাঁদের আলোয় প্রকৃতির কোলে আদিম অরণ্য আর পাহাড়কে সাক্ষী রেখে ওরা দুজনে নিস্তব্ধতায় ডুব দিয়ে যে যার হৃদয়ের কথা বলবে .......
সমাপ্ত