একলা চলো রে
একলা চলো রে


কৃষিপ্রধান দেশ ,কৃষি সঙ্কট পে না কই গৌর ।
আব ইয়া তো আত্মহত্যা , ইয়া ফির আন্দোলন কি ঔর ।
কৃষক দের নিয়ে লেখার ইচ্ছে একদম নেই । এই শ্রেণীর মানুষরা খুব স্বার্থপর বুঝলেন । শুধু নিজের কথা ভাবে । শুনুন ..
এরা ড্রাগ খায় না । মদ খেয়ে মি টু বলে কোন আন্দোলন করে না । চক্রবর্তী দের মেয়ে বা রাজপুতদের ছেলে নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই । এরা তৈমুর এর হাগুর গন্ধ জানতে চায় না কিম্বা কাশ্মীরের RDX নিয়ে মাথা ঘামায় না । হাইড্রক্সি ক্লোরোমুনন্ন আর জামাতি নিয়ে এরা নিস্পৃহ । এমনকি মন্দির মসজিদ কোথায় হবে সেটা নিয়েও রক্ত গরম করে না । সারা ভারতবর্ষ যখন জাস্টিস চেয়ে দিল বেচারা কে হিট করলো বা ৭৬ ইঞ্চির কম্পাঙ্কে যখন সব্বাই থালা বাটি বাজিয়ে ভাইরাস মারলো তখনও এই সালারা মাঠে বেগুন তুলছিল । সবচেয়ে বড় কথা হঠাৎ করে মুম্বাই কে পড়শী দেশ দখল করার পর যখন ঝাঁসির রানী রানাওয়াত গড়ুর রথে চড়ে মুম্বাই এলেন তখন নাকি এরা অযথা রাস্তা জ্যাম করার জন্য লং মার্চ করছিল । সালারা দেশদ্রোহী । সারা বছর ধরে মাঠে ঘাটে ফুর্তি করে বেড়ায় । তাও এদের নোলা কমে না । ব্যাটারা ম্যাক্সিমাম কৃষি লোন নেয় আর শোধ করে না । কিছু বললেই পটাপট সুইসাইড করে । বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে এই কয়েক বছরে গোটা দেশে ৪২ হাজার ৪৮০ জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৩৫৭ কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছিলেন। আর গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে খেতমজুর রয়েছেন ৪ হাজার ৩২৪ জন। ২০১৯ সালে ৫৫৬৩ পুরুষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে, আত্মঘাতী মহিলা কৃষকের সংখ্যা ৩৯৪ জন। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গত এক বছরে দেশের মোট আত্মহত্যাকারীর মধ্যে কৃষক ৭.৪ শতাংশ। । একটি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করেছে । প্রতিদিন গড়ে ৪৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন । আর মজার ব্যাপার হল এদের প্রায় নব্বই শতাংশ টাকার চিন্তায় বা ঋনের বোঝার দায়ে পটল তুলেছেন । এবার বুঝলেন GDP কেন নেমেছে । বললাম না এরা স্বার্থপর । নিজেরা মরবি মর , দেশের GDP ডুবালি কেন ।
সবথেকে বড় ব্যাপার হল একাত্তরের আগের কাগজ দেখতে চাওয়া চা ব্যবসায়ীদের কাছে 2016 থেকে কৃষক আত্মহত্যার কোন সরকারি নথি নেই । মোটা ভাই এ ব্যাপারে বলে হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে ।
এদের কথা কেউই বলে না জানেন । সে কেউটে ধরা চাষার ব্যাটা হোক বা টিকটিক নেটিজেন দের কথা ভাবা সিটিজেন । উরি তে সুড়সুড়ি দেওয়া যেতে পারে কিন্তু বিদর্ভ বললেই ডাইরেক্ট ঘায়ের গন্ধ । আসলে সাহস নেই । নিজেদের উলঙ্গ রূপ দেখানোর সাহস নেই ।
বলি এবার তো কিছু বলুন । সতীনের বর মরার অপেক্ষায় বসে থাকা মানে নিজেকেও বিধবা করা এটা এবার বুঝুন ।
ডিয়ার চাষী ভাই
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে...
আওয়াজ তুমারী খো যায়ে....
আওয়াম ইয়ে বহেরি শো যায়ে...
তবে একলা চল রে ।
#সোজা কথা আপনারা জিতলে আমরা জিতবই...