।।একাকিত্ব।।
।।একাকিত্ব।।
পৃথিবীর চোখে সেই প্রাণচঞ্চল মেয়েটি আজ পরিণত। জীবনের পথে চলতে চলতে পাখি আজ কারোর মেয়ে, স্ত্রী, মা, পুত্রবধু আরো কত কি। সম্পর্কের বেড়াজালে তাকে সর্বক্ষণ এতটাই ঘিরে রেখেছে যে মাঝে মাঝে তার দম বন্ধ হয়ে আসে। ক্লান্ত হয়ে ওঠে সে। সারারাত অঝোরে কাঁদলেও চোখের জল মুছে দেওয়ার কেউ নেই পাখির।
এখন সমস্থ রাজ্য জুরে লকডাউন চলছে। করোনা গোটা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। তাই সবাই বাধ্যতামুলক ঘরেই অপেক্ষায় আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যে যার জীবনে আবার ফিরে যাবে। কিন্তু পাখি ? কি করবে ও ? ওর তো কোনো অপেক্ষা ও নেই। বুকের ব্যাথাটা অগ্রাহ্য করেই ভাবতে থাকে পাখি। জীবনের ওঠা পরায় তার নানান ভালো লাগা পরিধিগুলোতে ভাগ্য বিধাতা এতদিনে স্থায়ী ভাবে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন । তাই ওর জীবনে নতুন করে কি আর লকডাউন হবে।
বুকের যন্ত্রনাটা খুব অবাধ্য। একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। পাশে ঘুমন্ত ছেলেটার মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে কখন নিজেও ঘুমিয়ে পরেছে বুঝতেই পারেনি। বুঝতে পারলেও কি বাঁচার শেষ চেষ্টাটা ও করত? গৃহবন্ধী উপেক্ষা করেই নীল দিগন্তে উড়ে গেল পাখি। লকডাউনও আর তাকে আটকে রাখতে পারেনি।