এবার তোমার পালা!
এবার তোমার পালা!
পার্কে বসে মেয়েটাকে লক্ষ্য করছিলাম। সুশ্রী চেহারা, কিন্তু মুখে একটা ভীতসন্ত্রস্ত ভাব প্রকট।
জিজ্ঞেস করলাম,”তুমি কী কোন সমস্যায় পড়েছ? তাহলে বল, আমি সাহায্য করতে পারি।“
আমার দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলল,”আপনি কোন সাহায্যই করতে পারবেন না। এই কাগজ যে পেয়েছে, তার মৃত্যু আসন্ন।“
মেয়েটি একটা কাগজ আমাকে দিল। তাতে লেখা,”এবার তোমার পালা।“
আমি হেসে মেয়েটিকে অভয় দিলাম,”আরে,তোমার সাথে কেউ মজা করে দিয়েছে হয়তো। এতে ভয় পাবার কিছু নেই।“
মেয়েটি গম্ভীর হয়ে বলল,”আপনি যাই বলুন না কেন তাতে সত্যিটা পাল্টাবে না। আমি এরকম পাঁচজনকে চিনি,যারা এইভাবে মৃত্যুবরণ করেছে।“
মেয়েটি আর কিছু না বলে উঠে চলে গেল। যাওয়ার সময় কিছু একটা হাত থেকে পড়ে গেল, হাতে নিয়ে দেখি মানিব্যাগ। তাতে একটা কার্ডে মেয়েটির নাম ঠিকানা লেখা আছে।
পিছন ঘুরে মেয়েটিকে দিতে গিয়ে দেখি মেয়েটি নেই। আশ্চর্য এত তাড়াতাড়ি কোথায় গেল! যাক গে, এই ঠিকানা দেখে বাড়ি গিয়ে ওকে মানিব্যাগটা দিয়ে আসবখন।
কলিংবেল টিপতেই একজন বয়স্ক লোক বেরিয়ে এল। জিজ্ঞেস করলাম,”এটা কি পূর্বাশার বাড়ি?”
লোকটা হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল। “পূর্বাশা আর নেই গো! গতবছর ঠিক এইরকম দিনে...”
একরাশ বিস্ময় আর ভয় নিয়ে বেরিয়ে এলাম। চোখের সামনে গোটা পৃথিবী দুলছিল। হঠাত করে অনুভব করলাম, সেই কাগজটা ভুলবশত এখন আমারই পকেটে রয়ে গেছে যাতে লেখা,”এবার তোমার পালা।“
শিরদাঁড়া বেয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেল আমার অজান্তেই।