দু'ভাই এবার শহরে
দু'ভাই এবার শহরে


আজ দনাই খালে হাত ডোবাতেই একটা বড়সড় বোয়াল মাছ উঠে এলো পটকাইয়ের হাতে। এতো বড় বোয়াল পেয়ে তার আনন্দ আর দেখে কে! নাচতে নাচতে সে নিমেষে চলে এলো বুড়ো বটতলার মাঠে। ভাইয়ের সঙ্গে ভাগ করে না খেলে খাবার হজম হয় নাকি!
“খটকাই… এই খটকাই…”
মাঠে এসে হাঁক পাড়ল পটকাই কিন্তু সাড়া দিলো না কেউ। আরেকবার ডাকতে গিয়েই পটকাইয়ের মনে হলো কোথাও যেন কেউ খুব ক্ষীণ স্বরে কেঁদে চলেছে এক নাগাড়ে। আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো পটকাই, নাহ কাউকে তো নজরে পড়ছেনা! এবার কি মনে হতে ওপরের দিকে তাকাতেই সে দেখতে পেল দৃশ্যটা, বুড়ো বটের একটা ডালের ওপর শুয়ে কাঁদছে খটকাই। প্রথমে খানিক অবাক হলেও নিজেকে সামলে নিয়ে তরতর করে গাছে উঠে পড়ল পটকাই, “কিরে কাঁদছিস কেন?”
উত্তর না দিয়ে মুখটা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নিলো খটকাই। পটকাই আবার শুধোলো, “আরে কি হয়েছে বল না।”
“বলে কি হবে?তুই কি আমার দুঃখু বুঝিস?”
“বাহ্ রে আমি তোর দুঃখ বুঝিনা!”
“ না, তুই তো খালি বড়দের মত কথা বলিস। কিছু চাইলেও দিস না। যা, বলবো না তোকে।”
“আচ্ছা বাবা বল না, কথা দিচ্ছি না বলবো না।”
“সত্যি?”
“সত্যি।”
“বলছি যে আমার সঙ্গে শহরে যাবি?”
“কি!”
“দেখলি তো বলেছিলাম না তুই...”
“আরে খামোকা শহরে যাবি কেন?”
“আমার একটা ঢোলক চাই।।”
“ঢোলক?”
“হুঁ। আজ নোনতা কি সুন্দর একটা সুইচ টেপা ঢোলক নিয়ে মাঠে এসেছিল। কি সুন্দর আওয়াজ তার। বলল ওর মাসির ছেলে শহর থেকে এনে দিয়েছে।”
“ছিঃ খটকাই লোকের জিনিস দেখে এরকম বায়না করতে আছে!”
“দেখলি তো বলেছিলাম না! তুই আমার যমজ ভাই অথচ সবসময় এমন কথা বলিস যেন কত্তো বড়।”
“কি আর করব বল তুই আব্দারই এমন সব করিস।”
“তুই কিন্তু কথা দিয়েছিলি পটকাই।”
“আচ্ছা মুশকিল তো! মা বাবা কিন্তু খুব বকবে।”
“মা বাবা তো এখন বাড়ি নেই, সেই সুযোগে চট করে চল না। এই যাবো আর আসবো।”
“কিন্তু…”
“কোনো কিন্তু নয়, কথা দিয়েছিস।”
**********
ভীতস্বন্ত্রস্ত হয়ে চেয়ারে বসেছিল তিমির। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ, দু’বোতল জলেও তেষ্টা মিটছেনা কিছুতেই। মা বাবা ফিরলে কি তুলকালামটাই না হবে কে জানে!
এসব চিন্তাতেই ব্যস্ত তিমিরের হঠাৎ মনে হলো কি যেন একটা ঝপ করে এসে পড়ল ব্যালকনিতে। অবাক হয়ে সে চেয়ার ছেড়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে ব্যালকনিতে মুখ বাড়াতেই প্রথমে বিষম খেল, তারপর গোঁ গোঁ শব্দ করে সংজ্ঞা হারালো সঙ্গে সঙ্গে। যখন আবার জ্ঞান ফিরলো তার তখন চোখ খুলতেই দেখতে পেলো সেই কালো সিড়িঙ্গে মতন জিনিসগুলো ঝুঁকে পড়ে দেখছে তাকে। আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলো তিমির। তার চিৎকারে ওই দুটো লাফ দিয়ে পিছিয়ে গেল কয়েক পা। সেই সুযোগে উঠে বসল তিমির, তারপর ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞেস করল, “তোমরা কি এলিয়েন?”
তিমিরের কথায় সিড়িঙ্গে দুটো একবার মুখ চাওয়াচাওয়ি করল, তারপর ওদের মধ্য থেকে একজন বলে উঠলো, “সে আবার কি গো?”
“তোমরা এলিয়েন নও? তাহলে তোমরা কে?”
“আমরা? আমি হলাম পটকাই আর এ আমার ভাই খটকাই। আমার হলাম দুটো ছানা ভুত।”
“ভ… ভুত!”
“আহা অমন চিৎকার করছো কেন? আমাদের দেখে কি ভয় লাগছে?” ধমকে উঠলো খটকাই।
তিমির ভাবলো সত্যিই তো এদেরকে ভয় পাওয়ার মতো তো লাগছে না। তাই এবার সে সাহস করে বলল, “তোমরা একই রকম দেখতে কেন? সব ভুত কি একই রকম দেখতে?”
“আহা সবাই কেন একরকম হতে যাবে! আমরা যমজ তো তাই।”
“যমজ ভুত! এমন তো শুনিনি কখনো!”
“আচ্ছা সে যাইহোক, তুমি কি বলতে পারবে কোথায় সুইচ টেপা ঢোলক পাওয়া যায়?” জিজ্ঞেস করল খটকাই।
“সুইচ টেপা ঢোলক! কোথায় আবার দোকানে পাবে।”
তিমিরের কথা শুনে রেগে গিয়ে পটকাই খটকাইকে বলল,“দেখলি ভাই দোকানে কিনতে তো পয়সা দিতে হয়, তুই শুধু জেদ করলি।”
“আরে হয়েছেটা কি?” জানতে চাইল তিমির।
“আর বোলো না। আমার ভাইটা না বড্ড জেদি। আমাদের গ্রামের একটা মানুষের ছানার কাছে একটা ঢোলক দেখে বায়না করে শহরে এসেছে। আমি কত্ত বোঝালাম আমাদের তো পয়সা নেই তুই কি করে কিনবি ঢোলক! কিন্তু শুনলোই না আমার কথা। ঝগড়া করতে করতেই তো তোমার বাড়িতে এসে পড়ে গেলাম।”
“ওহো এবার বুঝেছি।”
“হুমম গো মা বাবা জানলে যা পিটুনি দেবে না!” ব্যাজার মুখে বলল পটকাই। ওর মুখে মা বাবার কথা শোনা মাত্রই তিমিরের পুরোনো ভয়টা আবার নড়েচড়ে বসলো। তিমিরের শুকিয়ে আমসী হয়ে যাওয়া মুখটা নজর এড়ালো না দুই ভাইয়ের। পটকাই বলল, “তোমার কি মন খারাপ?”
ক্ষণিকের জন্য চমকে উঠলো তিমির, তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, “না না মন খারাপ কেন হতে যাবে!”
“আমি কিন্তু তোমাকে দেখে বেশ বুঝতে পারছি তোমার মন খারাপ। তা বলোই না কি হয়েছে।” বলল খটকাই।
“কি হবে তোমাদের বলে! তোমরা আমার সমস্যাটা বুঝবে না। আমি খুব বড় সমস্যার মধ্যে আছি।”
“তুমি বলেই দেখো না তোমার সমস্যা। হয়তো দেখবে আমরা কোনো সাহায্য করতে পারলাম।”
“তোমরা আমাকে সাহায্য করবে? কেন?”
“আমরা তো তোমার বন্ধু তাই।”
“সত্যি বলছো? পারবে আমাকে দিদির স্মার্টফোনটা ফিরিয়ে এনে দিতে?”
“মাঠ ফোন! সেটা আবার কি?”
“আহা মাঠ ফোন নয়, স্মার্টফোন, দামী মোবাইলফোন।”
“ওহো মোবাইল। আচ্ছা সে যাইহোক, তুমি সমস্যাটা কি বলো তো দেখি।” গম্ভীর মুখে বলল খটকাই।
“বলছি শোনো।” বলতে শুরু করলো তিমির, “আমার দিদিভাই হোস্টেলে থেকে পড়াশুনো করে। কিছুদিন আগে সে বাড়ি এসেছিল দিয়ে ফেরার দিন ওর ফোনটা ফেলে চলে যায়।”
“তারপর?”
“তারপর…” আবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো তিমির, “আমার স্কুলের বন্ধুদের সবার স্মার্টফোন আছে, শুধু আমারই নেই। ওরা কি সুন্দর গেম খেলে, সেই দেখে আমারও খুব লোভ হতো। মা বাবাকে অনেক বলেছিললাম একটা স্মার্টফোন কিনে দিতে কিন্তু ওরা কিছুতেই কিনে দিতে রাজি হয়নি।
মা বাবা একটা বিয়ে বাড়িতে দিল্লি গিয়েছেন। আমার পরীক্ষা ছিলো বলে আমি দাদু ঠাকুমার কাছে বাড়িতে রয়ে যাই। এরপর গত পরশু শখ করে দিদির ফোনটা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সাথে খুব গেম খেলি ফোনটা নিয়ে। তারপ
র বাড়ি ফেরার পথে ভাবলাম একটা সেলফি তুলি চার্চ গেটের সামনে। দিয়ে সেই ফোনটা বের করেছি আর তখনই হঠাৎ করে একটা ছেলে আমার হাত থেকে ফোনটা খপ করে ছাড়িয়ে নিল। আমি ছেলেটাকে চিনি, ও বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তার ধারে আড্ডা দেয়, পড়াশুনো করেনা।”
“কি কান্ড! তারপর?”
“তারপর আমি ওকে ফোনটা ফেরৎ দিতে বলতেই ওরা সব হাসাহাসি শুরু করে, আমি ফোনটা নিতে যেতেই ফোনটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে লোফালুফি করতে লাগে। আমি চিৎকার করে লোক ডাকতে যেতেই ছেলেটা আমাকে বলে আমি যদি চিৎকার করি তাহলে স্কুল জানিয়ে দেবে আমি ফোন নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম বলে। এবার আমি চুপচাপ বাড়ি চলে আসি।”
“আচ্ছা তাহলে এই সমস্যা!”
“নাগো সমস্যা এখানেই শেষ না। আমার দিদিভাই খুব ভালো কবিতা লেখে। ফোনেই ও সব কবিতা লিখে রাখতো। এবার ওই ছেলেটা ফোন পেয়ে কাল দিদির একটা কবিতা ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছে।”
“ফেসবুক!”
“হ্যাঁ সে আছে এক জিনিস। ওখানে কবিতাটা পোস্ট করতে সবাই ভাবছে ছেলেটাই লিখেছে ওটা।”
“কিন্তু ওটা তো তোমার দিদির লেখা।”
“সেটাই তো। দিদির রুমমেট রোশনিদিকে দিদি ওর সব কবিতা পড়াতো, তাই রোশনিদি ফেসবুকে কবিতাটা দেখেই চিনতে পারে। দিয়ে সে দিদিকে বলে ব্যাপারটা।”
“তারপর?”
“দিদিভাই ঠিক বুঝে গেছে আমিই নির্ঘাত কিছু গন্ডগোল করেছি। বাড়ির ল্যান্ডফোনে ফোন করে আমাকে বলে সব সত্যি কথা বলতে কিন্তু…”
“হুমম গভীর সমস্যা। বলতো পারো ছেলেটাকে কোথায় পাবো?” গম্ভীর মুখে জিজ্ঞেস করল পটকাই।
**********
গুনগুন করে একটা গানের কলি ভাঁজতে ভাঁজতে খাটে বসল বুম্বা। হাতে তুলে নিলো স্মার্টফোনটা, তারপর ফেসবুকটা খুলতেই পিং পিং করে নোটিফিকেশন আসতে শুরু করলো… তার কবিতাটায় প্রায় খান দুশো লাইক পড়েছে; কমেন্ট এসেছে খান শয়েক। সবাই লিখেছে “দুর্দান্ত”, “অসাধারণ”। এইসব দেখে বুম্বা তো আনন্দে আত্মহারা, এতদিন সবাই তাকে অপদার্থ অপগন্ড বলতো, এইবার সবাই দেখুক বুম্বা কি জিনিস। ফেসবুক থেকে বেরিয়ে গিয়ে ডক্স থেকে আরেকখানা কবিতা কপি করল বুম্বা, এটা আবার ফেসবুকের দেওয়ালে চিটিয়ে দিতে হবে।
“ও কবিমশাই একটা কবিতা শোনাও না।”
আচমকাই ঘরের মধ্যে একটা অজানা গলা শুনতে পেয়ে চমকে উঠলো বুম্বা।
“কে কে…!” চারিদিকে তাকাতে তাকাতে জিজ্ঞেস করল সে।
“এই যে আমি গো আমি।”
“কে? কই?”
“মাথাটা অমন লাট্টুর মত ঘোরাতে হবে না। এই যে আমি…”
কথাটা শোনা মাত্রই বুম্বা দেখলো তার সামনে ধোঁয়ার মত কুণ্ডলী পাকাতে পাকাতে একটা কালো সিড়িঙ্গে মতন কি যেন এসে দাঁড়ালো।
“আঁ… আঁ...ভুত ভুত…” চিৎকার করে উঠে ছুটে রুম থেকে বেরোতে গেল সে কিন্তু তার আগেই দরজাটা দুম করে বন্ধ হয়ে গেল। বুম্বা দেখলো দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আরেকটা ভুত। সেটা দাঁত বের করে বলল, “ও কবি কবিতা না শোনালে তোমাকে তো বেরোতে দেবো না।”
“আমাকে প্লিজ ছেড়ে দাও। আমি কবি নই।”
“হুঁহ বললেই হলো! আমরা জানি তুমি ফেসবুকে কবিতা লেখো। আমাদের শোনাতেই হবে।”
“আচ্ছা ফোনটা নিয়ে বলছি।”
“না না… এমনিই বলো। নিজের কবিতা ফোন দেখে কেন বলতে হবে?”
“প্লিজ আমাকে যেতে দাও।”
“উঁহুঁ। আগে কবিতা শোনাও।”
“আমি কবিতা লিখতে পারিনা। ওটা অন্য একজনের কবিতা ছিল।”
“তবে যে তুমি নিজের নামে লিখেছো।”
“ভ… ভুল হয়ে গেছে আমার। আমি ওটা মুছে দেবো। আমাকে ছেড়ে দাও।”
“না না এতো সহজে তোমায় ছাড়লে কি চলে?”
“কেন? আমি তোমাদের তো কোনো ক্ষতি করিনি!”
“আমাদের করোনি কিন্তু আমাদের বন্ধুর করেছো। তুমি আমাদের বন্ধুর ফোন ছাড়িয়ে নিয়েছো, তোমায় কি করে ছাড়ি?
একে নিয়ে কি করা যায় বলতো পটকাই?”
“চল একে নিয়ে বুড়ো বটে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখি। আমরা সবাই ওকে ঢিসুম ঢিসুম করার বস্তা বানাবো।”
“না…! ওরে বাবারে এ কাদের পাল্লায় পড়লাম!
দেখো আমি জানতাম না ওই ছেলেটা তোমাদের বন্ধু...”
“আচ্ছা তারমানে আমাদের বন্ধু যারা নয় তাদের সাথে তুমি এমন অন্যায় করবে?”
“এমা একদম না”, জিভ কেটে বুম্বা বললো, “এই নাক কান মুলছি আর কখনো কারুর থেকে কিছু ছিনতাই করবোনা। প্রমিস।”
“প্রমিস করলে কিন্তু, প্রমিস যদি ভেঙেছো তাহলেই…”
“কক্ষনো না।”
“হুম। তা এক্ষুণি গিয়ে তিমিরকে ফেরৎ দিয়ে এসো ফোনটা।”
“দাঁড়া খটকাই তার আগে কবিতা ডিলিট করুক আর লিখে দিক যে ওটা অন্য একজনের লেখা ছিল।”
“এই প্লিজ এরকম বোলোনা। ডিলিট করছি কিন্তু ওইরকম পোস্ট করলে আমার প্রেস্টিজ বলে আর কিছু থাকবেনা।”
“তারমানে তুমি কথা শুনবে না? খটকাই নিয়ে চল একে…”
“এই না না… লিখছি লিখছি।”
“হুঁ।”
**********
ডিংডং…
কলিংবেলটা বাজতেই লাফিয়ে গিয়ে আইহোলে চোখ লাগিয়ে তিমির দেখলো বুম্বা দাঁড়িয়ে আছে উদ্বিগ্ন মুখে। দরজাটা একটু ফাঁক করলো তিমির। আর সঙ্গে সঙ্গে সেই ফাঁক দিয়ে ফোনটা বাড়িয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বুম্বা বলল, “সরি।”
এই বলে আর দাঁড়ালো না সে। ফোনটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখল তিমির, তার বিশ্বাসই হতে চাইছে না যে ফোনটা ফেরৎ পেল শেষমেশ। দরজার তলা দিয়ে টুক করে ঘরে ঢুকে পটকাই বলল, কি বন্ধু খুশি তো এবার?”
তিমির এক গাল হেসে বলল, “খুব খুশি। থ্যাংক ইউ সো মাচ।”
কিন্তু পটকাই গম্ভীর মুখে বলল, “মা বাবার কথা না শুনলে কেমন বিপদ হয় দেখছিস তো খটকাই। কারুর জিনিস দেখে লোভও করতে নেই।”
“হুঁ রে, ঠিকই বলেছিস। চল আমরা বাড়ি ফিরে যাই। ঢোলকে কাজ নেই আমার।”
“তোমরা চলে যাচ্ছ?” শুকনো গলায় জিজ্ঞেস করলো তিমির।
“হ্যাঁ যেতে তো হবেই।”
“তোমরা আমার এতো বড় উপকার করলে আর আমি তোমাদের কিছুই দিতে পারবো না! চকোলেট খাও তোমরা?”
“নাগো আমরা ওসব খেতে পারিনা। তবে বন্ধু সত্যিই যদি কিছু দিতে চাও একটা কথা দেবে?” মুচকি হেসে বলল পটকাই।
“কি কথা?”
“তোমার মা বাবা ফিরলে সব সত্যিটা বলে দেবে।”
“কি!” চমকে উঠলো তিমির।
“পারবে না?”
একটুক্ষণ চুপ করে থেকে তারপর একগাল হেসে তিমির বলে উঠল, “পারব; কথা দিলাম।”
শেষ।