দোসর:-
দোসর:-


মনখারাপ করে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে তিতির, সবে মাত্র দুদিন হলো তিতির বাপের বাড়ি বেড়াতে এসেছে। তিতিরের মা রত্নাদেবী তিতিরের মনখারাপের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়,
"শ্বশুরবাড়ির কথা মনে পড়ছে।"
রত্নাদেবী অবাক হয়ে ভাবছেন শ্বশুরবাড়ির প্রতি এতো টান তিতিরের, এই তো সবে দেড়মাস হলো বিয়ে হয়ে মেয়েটা পরের সংসারে গেছে! মাকে অবাক হতে দেখে তিতির মায়ের হাতটা নিজের হাতে নিয়ে একটু মিষ্টি হাসে,
- "মা, আমার প্রাণের দোসর যে ও'বাড়িতে রয়েছে, তোমাদের জন্য মনখারাপ করাতে সে নিজেই তো আমাকে পাঠালো এখানে, কিন্তু এখন ওঁকে মনে পড়ছে খুব।"
রত্নাদেবী স্মিত হেসে, তিতিরের গাল টিপে দিলেন,
- "
আচ্ছা, জামাইবাবা বুঝি তোর প্রাণের দোসর?"
- "না, মা! সে নয়..."
অধিক বিস্ময়ে রত্না দেবীর প্রশ্ন
- "তবে কে সে? তুই কি....মানে, তুই সুখী আছিস তো রে মা?"
- "আহ্ মা! তুমি কি সব ভাবছো বল তো...!"
বিস্ময়ের সুরে রত্নাদেবীর আকুল প্রশ্ন,
- "তাহলে বল, কে তোর প্রাণের দোসর?"
একটু সময় নিয়ে তিতিরের স্বপ্রতিভ উত্তর
- "আমার দাদাশ্বশুর। ওনার সাথেই তো মনের কথা সব বলি গো... ওনার কথাই মনে পড়ছে খুব এখন।"
রত্নাদেবীর চোখে তখন আদরমাখা দৃষ্টি। তিতির কে আশীর্বাদ করে বললেন, "বেঁচে থাকুক অসমবয়সী দুজনের মাঝে এই দোসরের টান।"
_____*______