Sayandipa সায়নদীপা

Drama Tragedy

3  

Sayandipa সায়নদীপা

Drama Tragedy

দেখ কেমন লাগে

দেখ কেমন লাগে

7 mins
11.6K


তখন ক্লাস টুয়েলভ, একদিন টিফিন ব্রেকে ক্লাসের মধ্যেই আমরা ছ’জন হুল্লোড়ে মেতেছি। আন্তক্ষরি খেলা হচ্ছে, আমিও অন্যদের সাথে আমার ফাটা বাঁশের মত গলাটা মেলানোর চেষ্টা করছি নিরন্তর। এমন সময় হঠাৎ পেছনের বেঞ্চ থেকে যেন ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ পেলাম, চমকে উঠে ঘুরে তাকিয়ে দেখলাম আমাদেরই এক সহপাঠিনী, সুস্মিতা বেঞ্চে মাথা ঠেকিয়ে কেঁদে চলেছে। এরপর তো আর গান আসেনা গলায়, ছুটে গেলাম ওর কাছে। “কিরে কি হয়েছে?” “কাঁদছিস কেন?” “ওই বল না” ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্নে জর্জরিত করে তুললাম তাকে কিন্তু সে মেয়ে তো কিছুই বলে না। তার পাশে বসে এবার বাচ্চা ছেলেকে ভোলানোর মত করে মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম, “আহা বল না কি হয়েছে, হতেও তো পারে কোনো সাহায্য করতে পারলাম।” আমার কথায় সুস্মিতা বিশেষ ভরসা পেলো বলে মনে হলো না, তবুও কি ভেবে কে জানে ব্যাগ থেকে একটা মোবাইল বের করলো। আমরা তো দেখেই আঁতকে উঠলাম, কেননা আমাদের স্কুলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া ছিল কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ এবং ধরা পড়লে গার্জেন কল আর সেই সাথে এক সপ্তাহের জন্য স্কুল থেকে সাসপেন্ড হওয়া অবধারিত ছিল। তাই আমি আর্তনাদ করে উঠলাম, সুস্মিতা বিরক্ত হলো, “তুই আমার সমস্যা শুনতে চাস তো শোন, অন্য ব্যাপারে মাথা ঘামাবিনা।”

আসলে ব্যাপারটা হলো আমি বরাবরই খুব নিয়ম নিষ্ঠ মানুষ, কোনোদিনও লেট লাইন অবধি হয়নি স্কুলে; আর তাই কাউকে নিয়ম ভাঙতে দেখলে ঠিক হজমও করতে পারতাম না। তবে ভাববেন না যে তার নামে দিদিমনিদের কাছে চুগলি করতে যেতাম, আমি শুধু সেই নিয়ম উলঙ্ঘনকারীর সাথে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতাম। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিস্থিতির বিচারে ওখান থেকে উঠে যেতে পারলাম না। যাইহোক, এরপর সুস্মিতা মোবাইল খুলে ব্লুটুথ ফোল্ডারে রাখা একটা ছবি দেখাল আমাদের, ছবি মানে স্ক্রিনশট, জনৈক চিরন্তন নামক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের ক্লাসেরই মহুলের কথোপকথন। বলাই বাহুল্য গদগদ প্রেমে টইটুম্বুর ছিল সেই চ্যাট। দেখলাম চ্যাটে লেখা -

চিরন্তন - তোমায় একবার দেখতে চাই সোনা, একবার দু’চোখ ভরে দেখতে চাই তোমায়। কাল প্লিজ তোমার টিউশন শেষ হলে দেখা করোনা পি এল পি তে। প্লিজ...

মহুল - আমি গেলে কিন্তু আমার বন্ধুরা সাথে যাবে।

চিরন্তন - কেন? ডোন্ট ইউ ট্রাস্ট মি?

মহুল - না আসলে বাড়িতে কি বলবো?

চিরন্তন - বাড়ির লোক জানবে কি করে? লিশন, তুমি এখন আঠের হয়ে গেছ। ইউ আর এডাল্ট নাও, সব ব্যাপারে বাড়ির লোকের পারমিশন নেওয়ার কোনো মানে হয়না।

মহুল - কিন্তু…

চিরন্তন - কোনো কিন্তু নয়। যদি আমায় বিশ্বাস করো তাহলে তুমি আসবে, আমি অপেক্ষায় থাকবো... (এরপর খান দশেক চুম্বন ইমোজি)

চট জলদি স্ক্রিনশটটা পড়ে নিয়ে ব্যাখ্যার জন্য তাকালাম সুস্মিতার মুখের দিকে, কিন্তু সে কিছু বলার আগেই আমাদের দলের মিতুর উত্তেজিত কন্ঠ শোনা গেল, “এই চিরন্তনই তোর বয়ফ্রেন্ড না?” এবার আমরা সবাই চমকে উঠে মিতুর দিকে তাকালাম, দেখলাম মিতুর চোখ বিস্ফারিত, “বয়ফ্রেন্ড মানে ঠিক সেভাবে নয়, বাট হি লাভস মি, এন্ড আই লাভ হিম টু।“

"হি লাভস মি… এটাই তার লাভের নমুনা?” রেগে বললাম আমি। সুস্মিতা আবার কান্না জুড়লো।

টিফিন শেষে মহুল ক্লাসে ফিরতে তাকে সুস্মিতা আর চিরন্তনের চ্যাট গুলো দেখানো হলো, আর তারপর অবধারিত ভাবে মহুলের চোখ মুখের অবস্থাও সুস্মিতার মত হলো। দু’জনকে অনেক কষ্টে শান্ত করার পর স্থির হলো যে আজ রাতে মহুল আর সুস্মিতা দুজনেই দুজনের স্ক্রিনশট চিরন্তনকে পাঠিয়ে কৈফিয়ত চাইবে। পরের দিন স্কুলে এসেই গেলাম ওদের কাছে (বিধ্বস্ত অবস্থা ওদের, প্রেমে দাগা খেয়ে কেঁদেছে বোধহয় সারারাত)। দুজনে মোটামুটি যা বললো তার সারমর্ম এই যে ওই চিরন্তন দু’জনকেই একই রিপ্লাই দিয়েছে (একজনের মেসেজ বোধহয় অন্যজনকে কপিপেস্ট করে দিয়েছে, হয়তো বা ওর এরকম একটা মেসেজ লিখে রেডি করাই আছে যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে)। তার মেসেজটি হল নিম্নরূপ:

“আমি কবে তোমাকে বলেছি তোমায় আমি ভালোবাসি? তোমাদের মত মেয়েদের এই দোষ বন্ধুত্বের মানে বোঝোনা। ধুপধাপ প্রেমে পড়া অভ্যেস। ভবিষ্যতে আর কোনোদিনও আমাকে ফোন করবেনা…

মহুল কাঁদতে কাঁদতে বললো, “হ্যাঁ রে ও আমাকে শুধুই বন্ধু ভাবত?”

আমি রেগে বললাম, “হ্যাঁ, বন্ধুকেই তো ওরকম প্রেমে গদগদ মেসেজ করে।”

“খবরদার কাঁদবি না ওই ছেলেটার জন্য। তোদের দু’জনকে এক সাথে ফ্লার্ট করে গেল আর তোরা বুঝতেও পারলি না?” বললো বর্ণালী। সুস্মিতা আর মহুল কোনো উত্তর দিল না।

এরপর কৌতূহল বশত খোঁজ খবর করে জানতে পারলাম যে ছেলেটি হচ্ছে আমাদের শহরের বিখ্যাত লেডি কিলার। ওর প্রিয় পাস টাইমই হলো ফেসবুকে মেয়েদের ফ্লার্ট করা। ওই করতে গিয়ে পড়াশোনাতে একেবারে বিদ্যাসাগর। গুজব আছে কয়েকজন মেয়ের সাথে নাকি ফ্লার্টিং এর থেকেও অতিরিক্ত কিছু করেছেন মহাশয়। ভাগ্যক্রমে আমার এক পাতানো দাদা ছিল চিরন্তন মহাশয়ের কলেজের ক্লাসমেট, তাই আমার খবর জোগাড় করতে সেরকম অসুবিধা হলো না। সুস্মিতা আর মহুলকে বললাম বেশি ক্ষতি হওয়ার আগেই তোরা ওর আসল রূপ জানতে পেরে গেছিস তোদের ভাগ্য ভালো। আসলে ওই ছেলেটার নাকি এমনই ট্যালেন্ট যে ও কোনো মেয়ের সাথে এমনভাবে কথা বলতে পারে যে মেয়েটা অবধারিত ভাবে ওর প্রেমে পড়বেই, আর যে যার প্রেমের বিষয় লুকিয়ে রাখতেই চায় তাই দুই প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে একসাথে ফ্লার্ট করলেও তারা বুঝতে পারেনা যে তাদের দুজনেরই প্রেমাস্পদ একই ব্যক্তি। সুস্মিতা তো কাকতালীয়ভাবে মহুলের ফোনে উঁকি মারতে গিয়ে চ্যাট খানি আবিষ্কার করেছে; এই ঘটনার পর আমাদের সকলেরই কমবেশি মনে হতে লাগলো যে আমাদের শহরে বসেই একটা ছেলে এরকম নোংরা একটা খেলা খেলে যাচ্ছে মেয়েদের সাথে, এমনকি আমাদের দুই সহপাঠিনীও ওর ফাঁদে পা দিয়ে এখন তাদের বিধ্বস্ত অবস্থা, আর আমরা কিচ্ছু করবোনা! কিন্তু আমাদের ক্ষমতাই বা কতটুকু যে কিছু করবো! বাড়িতে জানালেও বকুনি খেতে হবে। আমাদের মধ্যে নিহার ছিল সবচেয়ে সাহসী। সে বলল, আমাদের ক্ষমতা কম হতে পারে কিন্তু বুদ্ধি নয়। বুদ্ধি দিয়ে এই সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই কিছু একটা করতে হবে আমাদের। সেইমত ভাবতে লাগলাম সবাই, এবং অবশেষে প্ল্যান চলেও এলো মাথায়। ফেসবুকে একটা ফেক একাউন্ট খুলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হলো ছেলেটাকে কিন্তু দিনের পর দিন গেল রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলোনা। অবাক হলাম আমরা। কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মনে হলো প্রোফাইলটায় কোনো ডেস্ক্রিপশন নেই তাই হয়তো একসেপ্ট করেনি। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা ক্যানসেল করে প্রোফাইলে নাম চেঞ্জ করলাম, তারপর কিছু মিথ্যে ডিটেইলস দিলাম প্রোফাইলটায়। বুদ্ধি করে অন্য শহরের নাম, স্কুল দিলাম যাতে ও সহজে কোনো খোঁজ না পায়। কিন্তু এতো কিছু করার পরেও ফেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলোনা। এদিকে আমাদের ধৈর্য্যও শেষের পথে। একদিন তাই ডেসপারেটলি মেসেজ করে দিলাম, “আপনি আমার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেননা? রিপ্লাই এলো দু’দিন পর, “আমি কি আপনাকে চিনি?”

“না। কিন্তু অপরিচিতের মধ্যেই তো পরিচিতির বীজ লুকিয়ে থাকে। অপরিচিত না হলে পরিচিতি হবে কি করে?”

“হে লিশন আমি অন্য টাউনের কারুর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করিনা। ডোন্ট ডিস্টার্ব মি এগেইন।”

ও হরি তাহলে এই সমস্যা! নতুন একাউন্ট খোলা হলো। নতুন নাম, নতুন ডিটেইলস। এইবার কলেজ ছাত্রী যে আমাদের শহরেরই মেয়ে কিন্তু বাইরে থেকে পড়াশুনো করে। এবার আরেকটু বুদ্ধি করে একাউন্ট খোলার পর আগে ওর ফ্রেন্ডদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম, তারপর অন্য কয়েকজনকে। এইভাবে ফ্রেন্ডলিস্টটা একটু বড় হতেই ওকে পাঠানো হলো। কাজ হলো এইবার, একসেপ্ট করল; একাউন্টটার পাসওয়ার্ড আমাদের আট জনের কাছেই ছিল, ওই ফেক একাউন্ট থেকে মেসেজ করলো সুস্মিতা, “হাই”...

“আমি কি তোমায় চিনি?”

“না। তবে আপনি আমার শহরেরই লোক দেখে পাঠালাম। আসলে আমি ফেসবুকে নতুন তাই নিজের শহরের লোকেদের সাথেই বন্ধুত্ব করছি, নিজের শহরের ব্যাপারই আলাদা।”

“হুম। কিন্তু সমস্যা হলো তুমি অন্য শহরে থাকো আর এরকম কারুর সাথে আমি চ্যাট করিনা যার সাথে দেখা হবেনা।”

“অন্য শহরে থাকি বলে কি নিজের শহরকে ভুলে গেছি? বাড়ি তো যেতেই হয়।“

"তাই?”

“হুম।”

এইভাবে চ্যাট চলতে থাকলো, মহুল আর সুস্মিতাই একাউন্টটা বেশি হ্যান্ডেল করতো কারণ ওরাই ছোকরার ঘাঁত ঘোঁৎ ভালো জানতো। অবশেষে একদিন আমাদের এখানকার বড়দিনের মেলায় দেখা করার প্রস্তাব দেয় চিরন্তন মহাশয়। আমাদের ফেকু গার্লও রাজি হয়ে যায়। ফোন নম্বর চাইতে সোনালীর দাদার একটা উইদাউট ডকুমেন্টসের সিমের নম্বর (যেটা ওর দাদা আর ব্যবহার করতেন না) দিয়ে দেওয়া হয়। সিমটা একটা ফোনেও লাগিয়ে ফেলে এরপর আসে সেই দিন। যেখানে দেখা করার স্থির হয়েছে তার থেকে কিছু দূরে আমরা গিয়ে অপেক্ষা করছি, সময়ের একটু আগেই। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর তিনি এলেন (ফেসবুকে ছবি দেখেছিলাম তাই চিনতে অসুবিধা হয়নি)। এসেই আশেপাশটা দেখে নিয়ে ফোনে কাকে যেন ডায়াল করলেন। সোনালীর ফোন ভাইব্রেট করতে শুরু করলো। ও ফোন তুলে চাপা গলায় বলল, “এই যে অটোতে আছি আসছি; আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা, চিরন্তন অধৈর্য হয়ে আবার ফোন লাগালো। সোনালী ধরে বললো, “এই তো তোমার সামনে দেখো।”

“অরেঞ্জ টপ কি?” চিরন্তনের কথা শুনে আমরা ওর সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সত্যি সত্যি একটা কমবয়সী অরেঞ্জ কালারের টপ পরা মেয়ে ফোনে কথা বলছে। মেয়েটা তৎক্ষণাৎ ফোনটা কেটে দিল, সেই দেখে তড়িঘড়ি সোনালীও ফোন কাটলো। চিরন্তন কিচ্ছুক্ষণ ফোনে হ্যালো হ্যালো করে যখন বুঝলো লাইন কাটা তখন মেয়েটার দিকে তাকালো, মেয়েটা ওর দিকে সাইড করে দাঁড়িয়েছিল তাই মুখটা ভালো করে দেখতে পাচ্ছিলনা চিরন্তন কিন্তু ওর মনে নিশ্চয় একটা আশঙ্কা কাজ করছিল কেননা আমরা নেট থেকে যে ছবিটা নিয়ে আমাদের ফেকুর ডিপিতে দিয়ে রেখেছিলাম তার সাথে মেয়েটার মুখের কোনো মিল নেই। এদিকে ডিপির ছবিটা অস্পষ্ট তারপর প্রাইভেসি সেটিংস অনলি মি করা ছিল বলে চিরন্তন কখনোই ডিপির মুখটা ভালো করে দেখতে পায়নি (অনেকবার চ্যাটে পরিষ্কার ভালো ছবি চেয়েছিল কিন্তু আমরা বিভিন্ন উপায়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম), তাই নিঃসন্দেহ হতে পারছিল না। পায়ে পায়ে ও মেয়েটার কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল, “হাই, মৌবনি?”

“নো।” কড়া গলায় শব্দটা উচ্চারণ করেই মেয়েটা চলে গেল সেখান থেকে। অধৈর্য চিরন্তন বারবার ফোন লাগলো কিন্তু সোনালী আর ধরেনি সেই ফোন। প্রায় একঘন্টা অপেক্ষা করার পর চিরন্তন চলে গিয়েছিল মেলা ছেড়ে, যাওয়ার সময় ওর মুখটা হয়েছিল চুনের মতো, আসলে কথায় বলে না ওভার কনফিডেন্স ভালো না। চিরন্তনেরও তাই হয়েছিল, ও ভাবতে পারেনি ওর সাথেও কেও এরকম প্রতারণা করতে পারে। তাই কোনো সন্দেহ ছাড়াই চলে এসেছিল দেখা করতে। সেদিন দেখেছিলাম ফেসবুকে ও সেই একাউন্টটায় মেসেজ করেছে, “কেন এমন করলে আমার সাথে? আমি তো এগিয়ে যাইনি তোমার কাছে, তুমি এসেছিলে। তাহলে কেন এভাবে ঠকালে আমাকে।"

কোনো উত্তর দিইনি আমরা, একাউন্টটা সেদিনই বন্ধ করে দিই।

এরপরও আমরা গোপনে খোঁজ রাখতাম কিন্তু ওর কোনো কেচ্ছা কেলেঙ্কারির কথা শুনতে পায়নি এরপর। ও শুধরে গিয়েছিল কিনা জানিনা (যদিও ও পুরোপুরি শুধরাবে বলে বিশ্বাস হয়না), তবে একটা ধাক্কা যে পেয়েছিল সেটা নিশ্চিত। ওর কলেজের থার্ড ইয়ার শেষ হতেই নাকি অন্য শহরে চলে গিয়েছিল। তারপর আর কোনো খোঁজ পাইনি তবে এই ঘটনা থেকে আমরা সবাই একটা শিক্ষা পেয়েছিলাম, ফেসবুকে প্রেম তওবা তওবা…।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama