STORYMIRROR

SHUBHAMOY MONDAL

Thriller

4  

SHUBHAMOY MONDAL

Thriller

দেড়শো সাল পিছিয়ে

দেড়শো সাল পিছিয়ে

7 mins
270

দেড়শো সাল পিছিয়ে

শুভময় মণ্ডল

২৫-০৭-২০২১


কলকাতার একটি সরকারি অফিসের বড়িষ্ঠ করনিক আমি। সরকার বদল হলো, নিয়ম নীতিও বদলালো। এক এক করে শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অফিসগুলোরও স্থান বদল করানো হলো। প্রাইভেট প্রপার্টিতে ভাড়ায় থাকা অফিসগুলোকে সরিয়ে এনে সরকারি আওতায় থাকা বাড়িগুলোতেই এ্যাডজাস্ট করানো শুরু হলো। এই ঘটনাটা সেই সময়ের, মানে আজ থেকে বছর সাতেক আগেকার কথা বলছি।


যথারীতি আমাদের অফিসও সেই স্থানবদলের আদেশের আওতায় পড়ল। আমরা যে বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়ে আসবো বলে স্থির হল সেটা বহু প্রাচীন, ইংরেজ আমলের তৈরী একটি বাড়ি। সম্ভবত সেটা একটি সরকারি অফিস বিল্ডিং হিসেবেই তৈরি করা হয়েছিল। 


খুব সঙ্গত কারণেই, আমি সেই অতি পরিচিত ঐতিহ্যবাহি বাড়িটার সম্পর্কে জনমনে কোনও অপশ্রুতি প্রচার পাক চাইছি না। তাই তার নাম ঠিকানা এখানে বলতে পারছিনা, মাফ করবেন। তবে এটুকু বলি, সেখানে আমাদের প্রায় সকলেরই খুবই পরিচিত এবং জানা এক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের অফিস ছিল।


অবশ্য নামে কি এসে যায়, এই ঘটনাটা সে যে বাড়িতেই ঘটুক না কেন – সম্মুখীন যেই হবে তারই বুক কেঁপে উঠবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। যাই হোক, আর কোনো গৌরচন্দ্রিকা না করে বরং মূল ঘটনাটায় আসি।


আমরা এই বাড়িতে সমূলে উঠে আসার আগে সামান্য কিছু রিপেয়ার মেইনটেনেন্স করানো হয়েছিল। তাই অফিস শিফ্ট করার প্রথম দিন আমরা কয়েক জন গিয়েছিলাম সেই প্রাচীন অফিস বিল্ডিংটা সরেজমিনে দেখতে আর খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন কিছু ফাইলপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সেদিন সেখানে রেখে আসবো বলে। 


তখন বিকেলও প্রায় শেষ পর্বে, আর অফিসে ফেরারও তাড়া নেই। জিনিসপত্র সব সেই নতুন অফিসের একটা ঘরে গুছিয়ে রেখে সটান যে যার বাড়ির দিকে রওনা দেবো ওখান থেকেই। আমাদের সেই গ্রুপটায় সেদিন আমিই পদাধিকারবলে সিনিয়র মোস্ট ছিলাম, তাই আমাকেই আগে ঢুকতে হলো বাড়িটিতে।


বাড়িটি তিন তলা, ভিতরে প্রবেশ করেই উল্টো দিকের বারান্দা থেকে উপরে ওঠার চওড়া সিঁড়ি। আমরা ঢোকার পরেই দোতলার বারান্দায় যেখানে সিঁড়িটা উঠেছে সে দিক পানে চোখ গেল আমার। দেখি, এক লাল মুখো ইংরেজ, পরনে সাবেকি পুলিশের লাল সাদা পোশাক, মাথায় হ্যাট, সেখানে দাঁড়িয়ে স্যালুট করলো আমাদের পানে চেয়ে।


প্রথমে বিষয়টা আমার চোখে লাগেনি, কারণ আমাদের সরকারি দপ্তরটিতেও বড় সাহেবদের স্যালুট করার রীতি এখনও মেন্টেনড্ হয়। কিন্তু কয়েক মুহূর্তূই আমার মাথায় এলো যে, এই অফিসে তো আমরা আজ প্রথম এলাম! এর আগে তো আমাদের কেউই এখানে আসেনি, তাহলে স্যালুট করলো কে? আর কেনই বা করল? তাও আবার প্রাচীন কালের ইংরেজ সৈন্যদের পোশাকে?


চিন্তাটা মাথায় আসতেই আবার উপর পানে চাইলাম কিন্তু দেখি সেখানে কেউ কোথাও নেই! একটু আশ্চর্য লাগলেও আমারই মনের ভুল ভেবে, কাউকে কিছু না বলে বিষয়টা চেপে গেলাম। কয়দিন ধরেই এই প্রাচীন বাড়ি, সেখানে ইংরেজ আমলে ঘটা নানা ঘটনা নিয়ে কত জনশ্রুতি, অপপ্রচার এইসব নিয়ে আলোচনা চলছিল আমাদের অফিসে, তাই ভাবলাম নিশ্চয়ই তারই ফলে অবচেতন মনে ঐরকম খেয়াল এসেছিল আমার।


দোতলার একটা ঘরে ফাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা হচ্ছিল। আমাদের দু’তিনজন কন্টিনজেন্ট স্টাফ মিলে গাড়ি থেকে সেগুলো বের করে এনে সেখানে সাজিয়ে রাখছিল। আমি ঘরটার সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে চারিদিকটা চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম – 

...প্রবল ইংরেজ, বিকীর্ণ করেছে তার তেজ...

...শূন্যপথে চাই, আজ তার কোন চিহ্ন নাই...


এক্সকিউজ মী।


একটি মৃদু সুরেলা নারীকন্ঠের আওয়াজে রবীন্দ্র ভাবনায় ছেদ পড়ল আমার। সাড়া দেব বলে ফিরতেই দেখি এক সাদা গাউনে সর্বাঙ্গ ঢেকে দাঁড়িয়ে এক বিদেশিনী! গোধূলির মৃদু আলোয়, আর সেই বারান্দায় পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর অভাবে তার মুখটা স্পষ্ট দেখতে পেলাম না। আমাকে জিজ্ঞেস করলো – উইল ইউ প্লীজ ইনফর্ম মী হয়্যার ইজ দ্য ল্যাভাটরী হিয়্যার?


আমি কলমপেশা কেরানি, ভাষার দৌড় বাংলার বাইরে ভাঙাচোরা হিন্দি অবধি, সেও টিভিতে খেলার ধারা বিবরণী শুনে শুনে যেটুকু রপ্ত করতে পেরেছি ততটুকুই। এমন চোখা উচ্চারণে ইংরেজি বলতে কাউকে বাপের জন্মে দেখিওনি, শুনিওনি, তায় এ আবার খোদ মেম! আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে তিনি যেচে ইংরেজিতে কথা বলছেন! সেই অকল্পনীয় ঘটনার আকস্মিকতায় ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাওয়া আমার মুখ দিয়ে আর তখন কথা সরলো না, শুধু আঙুলের ইশারায় তাঁকে শৌচাগারটা দেখিয়ে দিলাম। মেমসাহেব দ্রুত গতিতে সেই শৌচাগারে গিয়ে ঢুকলেন। আমি অবাক বিস্ময়ে সেদিক পানে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম নিশ্চুপ।


কতক্ষণ ঐভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে জানি না, হাতের সিগারেটটা ফুরিয়ে এসে আমার আঙুলে আগুনের ছ্যাঁকা লাগতে তবে আমার হুঁশ ফিরলো। তাকিয়ে দেখি জিনিসপত্র সব গুছিয়ে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে নিচে নেমে গেছে বাকিরা। গাড়িটার সামনে জটলা পাকিয়ে গল্পগুজব করছে তারা। তাদের দলে আর সবাইকে দেখলেও অভিজিৎকে দেখলাম না!


অভিজিৎ আমার অধস্তন কলীগ, তার বাড়িও আমার বাড়ির দিকে একই রেল লাইনে, আর কয়েকটি স্টেশন পরেই। আমরা যাতায়াতও করি এক সঙ্গেই, আমার সঙ্গে ট্রেনে গল্প করতে করতে ফিরবে বলেই সেও এসেছে এখানে, নাহলে তার আসার দরকার ছিল না। এই বাড়িটাতে আমার পিছুপিছু সেও ঢুকেছিল, আমার ভালোই মনে আছে।


ভালো করে এদিক ওদিক চেয়েও অভিজিৎকে দেখতে পেলাম না। একটু চিন্তা হলো, তাই ওখান থেকেই আওয়াজ দিলাম আমাদের সেই কনটিন্জেন্ট স্টাফেদের একজনের উদ্দেশ্যে – এই সুমিত, অভিজিৎ কোথায় গেল রে?


সুমিত একটু জোর গলায় সাড়া দিলো – স্যার, অভিজিৎ স্যার বোধ হয় তিনতলায় গিয়েছেন। আপনার সঙ্গেই তো উপরে উঠলেন দেখলাম। নাহলে বাথরুমে হবেন বোধ হয়, দেখুন।


বাথরুমে? কিন্তু ওখানে তো মেমসাহেব গেলেন! আরে বাপরে! দ্রুত সেদিকে পৌঁছে দেখি তার দরজায় তালা ঝুলছে, তাহলে? বাথরুমটায় বোধ হয় প্লাম্বারগুলো কাজ করে নিজেদের যন্ত্রপাতি সব রেখে গেছে বলে তালা... তবে যে সেই মেমসাহেব এসে ঢুকলেন! তালাটা ভালো করে পরখ করলাম – সেভেন লিভারের আলিগড়ের তালা, এত সহজে তো কেউ খুলতে পারবে না! তাছাড়া, আমি তো এদিকে তাকিয়েই দাঁড়িয়ে ছিলাম... তাহলে কি আবার মনের ভুল! কিন্তু তা’ কি করে হবে? সেই মেমসাহেবের অমন ইংরেজি ভাষায় বলা কথাগুলো যে এখনও কানে বাজছে আমার!


এইসব ভাবতে ভাবতেই কানে এলো কিছু তবলা আর হারমোনিয়ামের আওয়াজ। শব্দটা উপর থেকে, মানে তিনতলার কোন ঘর থেকে আসছিল মনে হলো। তাই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম। তিনতলায় একটা বড় রিক্রিয়েশন রুম রয়েছে স্টাফেদের জন্য, তার পাশেই একটা ক্যান্টিনও আছে, আর আছে দু’ তিন জন সিনিয়র অফিসারদের কাজের জন্য বানানো ক্যুপ। আওয়াজটা রিক্রিয়েশন রুম থেকে আসছিল। তাই আমি সেখানেই গেলাম।


রিক্রিয়েশন রুমে একটা কাঠের পাটাতন দিয়ে বানানো স্থায়ী স্টেজ রয়েছে দেখলাম। সেখানে সাজিয়ে রাখা হারমোনিয়াম, তবলা, সানাই দেখে মনে হচ্ছে এখনই বুঝি শুরু হতে চলেছে পরবর্তী শো। আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম সেই সব বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ, কিন্তু বাজনদার কাউকেই নজরে পড়ল না। ভালো করে চেয়ে দেখি স্টেজের ওপর সামনেই পা ঝুলিয়ে বসে আছে অভিজিৎ। একমনে সে যেন সেই অদ্ভুত আবহ সঙ্গীত শুনছে আর মৃদু মৃদু দুলে দুলে তাল ঠুকছে! তার পাশেই রাখা আছে একটা বিকট দর্শন মুখোশ। স্টেজের মৃদুমন্দ আলোয় দেখে মনে হল সেই মুখোশটাও যেন সুরের তালে তালে দোল খাচ্ছে স্টেজের ওপর।


আমি কাছে গিয়ে ডাক দিলাম – অভিজিৎ, অভিজিৎ, চলো সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, বাড়ি ফিরতে হবে তো!


সে কেমন ঘোলাটে দৃষ্টিতে, যেন অনেক কষ্টে, পরিশ্রম করে ধীরে ধীরে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো আমার দিকে। সেই মুখোশটা কিন্তু চট করে ঘুরে গেল আমার দিকে। মা কালীর হাতে রক্তবীজের যে কাটা মুণ্ডুটা দেখি ঠিক যেন সেটাই ছিল ঐ মুখোশটা! অভিজিৎ খুব ক্ষীণ স্বরে বললো – আমায় কিছু বলছেন?


তার গলার আওয়াজ শুনে চমকে উঠলাম – এ কোন বৃদ্ধের কন্ঠস্বর শুনছি আমি? তরুণ অভিজিৎ-এর গলার আওয়াজ তো এটা নয়!


চমকে উঠে প্রশ্ন করলাম – কে আপনি!


আমি? কে? দেখবে?


বলতে বলতে মুখোশটা তুলে মাথায় পরতে গেল অভিজিৎ। কেমন যেন আসন্ন বিপদের সংকেত পেয়ে আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল – না অভিজিৎ, না, ওটা পরো না তুমি, চলে এসো।


এই বলে তাকে আমি হাত ধরে টেনে স্টেজ থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতেই ছিটকে পড়ে গেল মুখোশটা। কিন্তু পরক্ষণেই দেখি সেটা আপনার থেকেই ছিটকে ফিরে আসছে আমার দিকে। ভয় পেয়ে অভিজিৎকে ওখানেই ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে এলাম সেই রিক্রিয়েশন রুম থেকে। সেই মুখোশটা দেখি ঠোক্কর খেতে খেতে দিয়ে আসছে আমার দিকেই। পড়ি-মরি করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকি নিচের দিকে।


দোতলার বারান্দায় দেখি দাঁড়িয়ে আছে সেই লালমুখো ইংরেজটা, আর তার পাশে আমার সঙ্গে কথা বলা সেই মেমসাহেব! আমার দিকে আঙুল তুলে দু’জনে হো হো করে হাসছে আর সেই হাসির শব্দটা মোটেই মানুষের হাসির মত স্বাভাবিক শব্দ নয়, যেন হাড়ে হাড়ে ঠোকা লেগে উৎপন্ন হচ্ছে সেই বিদ্রুপাত্মক হাসি। আমার ভয়ের মাত্রা যেন দশগুণ বাড়িয়ে দিল তাদের সেই হাসি।


আরও দ্রুত বেগে ছুটে নেমে আসি নিচে। সদর দরজার পাশে বেসিনের ট্যাপ থেকে যেন কলকল করে জল পড়ার আওয়াজ পেলাম। রাস্তায় বেরিয়ে যাবার আগে একটু চোখে মুখে জল দেবো বলে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি কোনো জলের লাইন করাই হয়নি তখনও সেখানে অথচ ছড়ছড় করে জল পড়ছে বেসিনের কল থেকে!


“সুমিত” বলে জোর গলায় একটা আওয়াজ দিয়ে চেতনা হারিয়ে লুটিয়ে পড়লাম আমি সেখানেই। দরজার সামনেই রাস্তায় গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অফিসের সবাই ছুটে এল আমার দিকে। সম্পূর্ণ চেতনা হারানোর আগে তিনতলার দিকে আঙুল দেখিয়ে “অভিজিৎ” বলে জ্ঞান হারালাম আমি।


চেতনা ফিরলো যখন, আমি তখন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে। পাশে চিন্তিত মুখে বসে আমার সহকর্মীরা। আমার জ্ঞান ফেরার সংকেত পেয়ে তারা এগিয়ে এসে ধরে বসিয়ে দিল আমায় – শরীরটা কেমন বোধ করছেন? চোট টোট লাগেনি সম্ভবত, তবু কোথাও ব্যথা করছে কি আপনার?


আমি একটু ধাতস্থ হয়ে বললাম – না, কোনো ব্যথা ট্যাথা তো লাগছে না। তারপরেই তাদের জিজ্ঞাসা করলাম – অভিজিৎ? সে কেমন আছে?


সুমিত বললো – অভিজিৎ স্যারের তো জ্ঞান ফেরেনি এখনও। আমরা তিনতলায় গিয়ে দেখি তালাবন্ধ রিক্রিয়েশন রুমের দরজায় একটা রাক্ষসের মুখোশ পরে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। মুখোশটা কিভাবে পরেছেন কি জানি, কিছুতেই খুলতে পারা গেল না। ঐ অবস্থাতেই হসপিটালে নিয়ে আসতে হলো। এই তো পাশের বেডেই আছেন তো স্যার, দেখুন না।


আমি চেয়ে দেখি, অভিজিৎ অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছে বেডে, তার মাথার পাশেই তার মুখ থেকে ডাক্তারের কাঁচি দিয়ে কেটে খুলে রাখা হয়েছে সেই মুখোশটা। আমার অবচেতন মনে কে যেন বললো – ঐ মুখোশটাই যত নষ্টের গোড়া। ওটাকে ধ্বংস না করলে সুস্থ হবে না অভিজিৎ।


আমি পকেটে হাত দিয়ে দেখি সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার দু’টোই আছে সেখানে। লাইটারটা পকেট থেকে বের করে অভিজিৎ-এর বেডের পাশে এসে মুখোশটাকে তুলে নিলাম অন্য হাতে। তারপর জানালার পাশে দাঁড়িয়ে লাইটারের আগুনে পুড়িয়ে ফেললাম মুখোশটা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল মুখোশটা।


বারান্দায় একটা পানীয় জলের ডিসপেন্সার রাখা ছিল। সেখানে গিয়ে জলে ধুলাম হাতটা, নিজের মুখে চোখে একটু জলের ঝাপটা দিলাম। তারপর এক আঁচলা জল এনে ঝাপটা দিলাম অভিজিৎ-এর মুখে। সঙ্গে সঙ্গে চেতনা ফিরে পেয়ে উঠে বসলো সে।




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Thriller